খাবারে ঝাল বেশি! জেনে নিন করণীয়

ঝাল কম বেশি অনেক মানুষই পছন্দ করেন। তবে কখনো অসাবধানতায় খাবারে অতিরিক্ত ঝাল হয়ে গেলে তখন বাড়ে বিপদ। তখন তাতে সামান্য স্বাদের পার্থক্য আনা বুদ্ধিমানের কাজ।

তাইতো এমন কিছু উপায় জানা জরুরি, যা এই সমস্যা থেকে পরিত্রাণ দিবে সহজেই। জীবনযাপন-বিষয়ক একটি ওয়েবসাইটে প্রকাশিত প্রতিবেদন থেকে খাবারে অতিরিক্ত ঝাল কমানোর উপায় সম্পর্কে জানানো হল-

দুধ-জাতীয় খাবার
খাবারে ঝাল মসলা বেশি হলে দুধ জাতীয় খাবার যেমন- দুধ, দই অথবা ক্রিম ইত্যাদি মেশাতে পারেন। এছাড়াও ঝাল খাবার খাওয়ার পরে পানির বদলে দুধ পান করে ঝালের রেশ কমাতে পারেন।

আরো উপাদান মেশানো
খাবার বানাতে গেলে ভুল বশত মসলা, ঝাল বেশি হতেই পারে সেক্ষেত্রে খাবারের স্বাদ ঠিক রাখতে এতে যোগ করতে পারেন বাড়তি উপাদান। যেমন- স্যুপ বানানোর পর যদি মনে হয় বেশি ঝাল হয়েছে তখন যোগ করতে পারেন অতিরিক্ত পানি। আবার নুডুলস বা পাস্তায় আরো পেঁয়াজ, গাজর, আলু, মটর ইত্যাদি যোগ করে ঝালের পরিমাণ কমিয়ে ফেলতে পারেন।

বাদামের মাখন
খাবারের স্বাদ বাড়াতে এবং অতিরিক্ত মসলাভাব কমাতে বাদামের মাখন উপকারী। এই মাখন খাবারে মসলার ঝাঁঝ কমায় এবং পুষ্টিমান বাড়ায়।

অ্যাসিড
অ্যাসিড উপাদান যেমন- ভিনেগার, সিট্রাস বা টক ফলের রস এমনকি ক্যাচআপ খাবারের বাড়তি মসলাভাব কমাতে সহায়তা করে।

লেবুর রস
অ্যাসিডের মতোই লেবুর রস খাবারের ঝালভাব কমায়। লেবুর কড়া স্বাদ বাড়তি মসলা কমিয়ে খাবারের স্বাদের ভারসাম্য বজায় রাখতে সহায়তা করে।

মিষ্টি
যেকোনো ঝাল খাবার খাওয়ার পর সাধারণত মিষ্টি খেতে ইচ্ছে করে। তাই আলাদা মিষ্টি খাওয়ার চাইতে বরং অতিরিক্ত ঝাল করে রান্না করা খাবারেই যোগ করতে পারেন মিষ্টি, অর্থাৎ চিনি, মধু বা গুড়। এতে খাবারে মিষ্টি ভাব আসবে। তবে মিষ্টি দেয়ার সময় অবশ্যই এর পরিমাণের দিকে খেয়াল রাখতে হবে। সরাসরি মিষ্টি না দিয়ে এতে মিষ্টি জাতীয় খাবার- পেঁয়াজ ও টমেটো ইত্যাদি মিশিয়েও ঝালভাব কমানো যায়।

উপরের এই পদ্ধতিগুলো ছাড়াও ঝাল ও মসলাদার খাবার ভিন্নভাবে খেতে পারেন। যেমন- সাধারণভাবেই ঝাল কমার জন্য তা ঠাণ্ডা হওয়া পর্যন্ত অপেক্ষা করা যেতে পারে। এছাড়াও অন্যান্য খাবারের সঙ্গে এই মসলা ব্যবহার করে স্বাদের ভারসাম্য বজায় রাখতে পারেন।

সর্বশেষ সংবাদ