আপিলের রায়ের আগেই ফাঁসি কার্যকর

খালাস চেয়ে করা আপিল শুনানি করতে এসে জানা গেল ৪ বছর আগেই ফাঁসি কার্যকর হয়েছে দুই আসামির। এমন ঘটনায় চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে দেশের উচ্চ আদালতে। ক্ষতিপূরণের পাশাপাশি বিচার বিভাগীয় তদন্ত চেয়েছে পরিবার। আইনজীবীরা বলছেন, আপিল নিষ্পত্তির আগে ফাঁসি কার্যকরের ঘটনা নজিরবিহীন। আপিলের রায়ের আগেই ফাঁসি কার্যকর! দেশে যে কোনো আসামির ফাঁসি কার্যকরের আগে রায় অনুমোদন নিতে হয় হাইকোর্টের। এরপর আপিল হলে তা নিষ্পত্তি হতে হয়। তারপর রিভিউ করার বিষয়ও রয়েছে। কিন্তু মোকিম ও ঝডু নামক দুই আসামির মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করে ফেলা হয়েছে আপিল বিভাগে মামলা বিচারাধীন থাকা অবস্থাতেই। ১৬ নভেম্বর ২০১৭ সালে যশোর কারাগারে তাদের ফাঁসিতে ঝোলানো হয়। ঘটনা ১৯৯৪ সালের ২৮ জুন। চুয়াডাঙ্গায় খুন হন ইউপি মেম্বার মনোয়ার হোসেন। এ ঘটনায় ২০০৮ সালে ১৭ এপ্রিল মোকিম, ঝডুসহ তিনজনের মৃত্যুদণ্ড দেন। ২০১৩ সালে মোকিম ও ঝড়ুর ফাঁসি বহাল রাখেন হাইকোর্ট। এরপর আপিল করে এই দুই অসহায় পরিবার। কিন্তু তারপর আর কেউ খোঁজ রাখেনি। ৩ নভেম্বর মামলাটি শুনানির জন্য আসে আপিল বিভাগের কার্যতালিকায়। এরপর আসামির সঙ্গে যোগাযোগ শুরু করেন মামলার আইনজীবী হুমায়ুন কবীর। তখনই জানা যায়, ফাঁসি কার্যকর হয়েছে তাদের। এ অবস্থায় তাদের আইনজীবীর মাধ্যমে ক্ষতিপূরণ চাওয়ার পাশাপাশি এমন ঘটনায় বিচার বিভাগীয় তদন্ত চাইল পরিবার। ব্রিটিশ শাসনের সময় ওয়ারেন হেস্টিং যখন উপমহাদেশ শাসন করছিলেন তখন এমন একটি ঘটনা ছিল। কিন্তু স্বাধীন ভারত, পাকিস্তান ও বাংলাদেশে আপিল চূড়ান্ত নিষ্পত্তি হওয়ার আগে ফাঁসি কার্যকরে নজির নেই। এ ঘটনায় আগামী সপ্তাহে আপিল শুনানি হবে দেশের সর্বোচ্চ আদালতে।

সর্বশেষ সংবাদ