এমভি কুয়াকাটা-২ থেকে নারীর মরদেহ উদ্ধার

ঢাকা থেকে বরিশালগামী এমভি কুয়াকাটা-২ লঞ্চ থেকে এক নারীর মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। ওই নারীর আনুমানিক বয়স ২৫ বছর। শুক্রবার (১০ ডিসেম্বর) লঞ্চের নিচ তলার পেছনের দিকে স্টাফ কেবিন থেকে তার মরদেহ উদ্ধার করা হয়। পিবিআইয়ের পরিদর্শক শহিদুল ইসলাম জানান, ফিঙ্গার প্রিন্টের মাধ্যমে তার পরিচয় জানা গেছে। মেয়েটির নাম শারমিন আক্তার। তিনি ঢাকার কুনিপাড়া এলাকার বাসিন্দা। তার বাবার নাম মো. এনায়েত ফকির ও মা নুরুন নাহার। তবে স্বজনরা মরদেহ শনাক্ত না করা পর্যন্ত এ বিষয়ে বেশি কিছু বলতে রাজি হননি নৌ পুলিশ। নৌ পুলিশের সহকারী সুপার মো. হাবিবুর রহমান বলেন, পিবিআই মৃতের আঙ্গুলের ছাপ দিয়ে নাম জানলেও পূর্ণাঙ্গ ঠিকানা এখনও জানতে পারেনি। পূর্ণাঙ্গ ঠিকানার পাশাপাশি স্বজনদের বিষয়ে খোঁজ নেওয়া হচ্ছে। এদিকে লঞ্চের স্টাফরা জানায়, রাতে ঢাকার সদরঘাট থেকে ওই নারীর সঙ্গে আরও একজন ব্যক্তি এমভি কুয়াকাটা-২ লঞ্চে ওঠেন। তারা স্বামী-স্ত্রী পরিচয় দিয়ে স্টাফ কেবিনটি ভাড়া নেন। রাত ১১ টার দিকে একজন লস্কর তাদের টিকেট দিতে সেখানে যান, তখন স্বাভাবিক অবস্থাতেই তাদের দেখতে পান। ধারণা করা হচ্ছে রাত ৩ টার পরে ওই নারীকে শ্বাসরোধ করে হত্যা করা হয়েছে। পরে সকালে লঞ্চটি বরিশাল নদী বন্দরে পৌঁছালে স্টাফ কেবিনের বাইরে থেকে তালা দিয়ে পালিয়ে যায় তার সঙ্গে আসা ব্যক্তি। এরপর অন্য একটি চাবি দিয়ে তালাটি খুলে ওই নারীর মরদেহ কেবিনের মধ্যে পড়ে থাকতে দেখি। বিষয়টি নৌ-পুলিশকে জানালে তারা এসে মরদেহ উদ্ধার করে। বরিশাল সদর নৌ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) হাসনাত জামান বলেন, নিহতের মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে পাঠানো হয়েছে, পাশাপাশি যথাযথ আইনগত ব্যবস্থাও নেওয়া হচ্ছে। টার্মিনাল ও লঞ্চের সিসি ক্যামেরার ফুটেজ দেখে সঙ্গে থাকা ব্যক্তিকে শনাক্ত করার চেষ্টা চলছে। পাশাপাশি মেয়েটির পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা চলছে।

সর্বশেষ সংবাদ