রাঙামাটিতে আ.লীগ অফিস ভাঙচুরের অভিযোগ

রাঙামাটির লংগদু উপজেলার ভাসান্যাদাম ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনকে ঘিরে ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের মনোনীত প্রার্থীর অফিস ভাঙচুরের অভিযোগ উঠেছে। শুক্রবার (২৮ জানুয়ারি) রাতে রাঙামাটির লংগদু উপজেলার ভাসান্যাদম ইউনিয়নে এ ঘটনা ঘটে বলে অভিযোগ করেন ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও ইউনিয়ন চেয়ারম্যান প্রার্থী মো. ইসমাইল হোসেন। স্থানীয়রা জানান, আগামী ৭ ফেব্রুয়ারি সপ্তম ধাপে ইউপি নির্বাচনে ভাসান্যাদম ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে দলীয় মনোনয়ন চেয়েছিলেন ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি হযরত আলী ও সাধারণ সম্পাদক মো. ইসমাইল হোসেন। আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মো. ইসমাইলকে দলীয়ভাবে মনোনয়ন দেওয়া হলেও বিদ্রোহী প্রার্থী হিসেবে নির্বাচন করছেন ইউনিয়নে আওয়ামী লীগের সভাপতি হযরত আলী। নৌকার প্রার্থী ও ইউনিয়নে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মো. ইসমাইল হোসেন অভিযোগ করে বলেন, শুক্রবার রাতে দলীয় নেতাকর্মীরা দলীয় কাজ শেষ বাড়ি ফিরে যায়। শনিবার (২৯ জানুয়ারি) সকালে দলীয় অফিস খুলতে গেলে এসব কাণ্ড দেখে পুলিশ এবং উপজেলার নেতৃবৃন্দদের খবর দেয়া হয়। তারাও বিষয়টি দেখেছেন। তিনি আরও বলেন, স্বতন্ত্র প্রার্থী হযরত আলী দলীয় শৃঙ্খলা না মেনে নির্বাচন করছেন এবং এটি তার লোকজনের কাজ। তবে বিদ্রোহী প্রার্থী ও ভাসান্যাদম ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি হযরত আলী তার বিরুদ্ধে আনিত অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, আমাকে বিপাকে ফেলতে ও নির্বাচনের পরিবেশ নষ্ট করার জন্য তারা নিজেরাই এমন ঘটনা ঘটিয়ে আমার ওপর দোষ চাপানোর চেষ্টা করছে। উপজেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক বাবুল দাশ বাবু বলেন, আমরা সকালে বিষয়টি সম্পর্কে অবগত হয়ে সকালে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছি। সেখানে আমাদের প্রার্থীর অফিস ভেঙেছে, পোস্টার ব্যানার ছিঁড়েছে, এতেই তারা নিবৃত হয়নি, অফিসে রাখা বঙ্গবন্ধু ও প্রধানমন্ত্রীর ছবি ছিঁড়েছে। এ বিষয়ে আমরা লংগদু থানা, রিটার্নিং কর্মকর্তা ও উপজেলা নির্বাহী অফিসারকে লিখিত অভিযোগ দিয়েছি। তিনি আরও বলেন, এ ঘটনাটি আমরা জেলা অওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদককেও অবহিত করেছি। এছাড়া দলের বিদ্রোহী প্রার্থীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে একটি তালিকা জেলায় প্রেরণ করা হয়েছে। বিদ্রোহী প্রার্থীদের বিরুদ্ধে দ্রুতই ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে জেলা সাধারণ সম্পাদক আমাকে আশ্বস্ত করেছেন। লংগদু থানার অফিসার ইনচার্জ মো. আরিফুল আমিন বলেন, আমি ঘটনা শুনেই এলাকায় আসি। উভয় পক্ষের সাথে কথা বলেছি। লংগদু ফিরে আসার পরে উপজেলা আওয়ামীলীগ লিখিত অভিযোগে স্বতন্ত্র প্রার্থীকে দোষারোপ করেছে। ঘটনা তদন্তে পুলিশ কাজ করছে।

সর্বশেষ সংবাদ