নরসিংদীতে ২ ইউপি চেয়ারম্যানসহ গ্রেফতার ১৮, অস্ত্র উদ্ধার

নরসিংদীতে পৃথক অভিযান চালিয়ে দুই ইউপি চেয়ারম্যানসহ ১৮ জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। এ সময় দুটি বিদেশি পিস্তলসহ দেশীয় অস্ত্র উদ্ধার করা হয়েছে। গ্রেফতাররা ডাকাতি, চরাঞ্চলে সহিংসতাসহ বিভিন্ন অপরাধে জড়িত বলে জানিয়েছে পুলিশ। গত দুইদিনে (রোব ও সোমবার) নরসিংদী সদর, পলাশ, রায়পুরা ও মাধবদী থানা এলাকায় পৃথক ৪টি অভিযানে তাদের গ্রেফতার করা হয়। মঙ্গলবার (১ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে জেলা পুলিশ সুপার কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে এই তথ্য জানান অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সাহেব আলী পাঠান। গ্রেফতাররা হলেন- মাধবদী থানার আমদিয়া এলাকার জাহিদুল হক টিপু, মো. শাহ আলম, সোহাগ মিয়া, পলাশের ঘোড়াশাল এলাকার নূরে আলম, রুবেল, আল আমিন ও আবু তাহের। তারা সকলেই ডাকাত দলের সদস্য। অন্যদিকে, সদর উপজেলার আলোকবালী এলাকার আলোকবালী ইউপি চেয়ারম্যান দেলোয়ার হোসেন দ্বীপু (৫০), আবদুল মতিন মেম্বার (৫৮) ও তাদের পাঁচ সহযোগী, রায়পুরা থানার মির্জারচর এলাকার মির্জারচর ইউপি চেয়ারম্যান মো. জাফর ইকবাল মানিক ও স্থানীয় আরও তিন টেটাযুদ্ধের হোতা। সংবাদ সম্মেলনে পুলিশ জানায়, গত ৩১ জানুয়ারি সন্ধ্যায় মাধবদী থানার আমদিয়া ইউনিয়ন এলাকায় অভিযান চালিয়ে ডাকাতির প্রস্তুতিকালে কুখ্যাত ডাকাত শাহ আলমসহ তার দুই সহযোগীকে গ্রেফতার করে মাধবদী থানা পুলিশ, এর আগে গত ২৯ জানুয়ারি দিবাগত রাত দেড়টার দিকে ঘোড়াশাল মিয়াপাড়া এলাকা হতে ডাকাতির প্রস্তুতি কালে বিদেশি পিস্তল , কাভার্টভ্যান ও সিএনজিসহ মোট চার ডাকাতকে গ্রেফতার করা হয়। অন্যদিকে, গত ৩০ জানুয়ারি বিকেলে সদর উপজেলার আলোকবালী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান দেলোয়ার হোসেন দ্বীপু (৫০), স্থানীয় টেটাযুদ্ধের হোতা হিসেবে চিহ্নিত আবদুল মতিন মেম্বার (৫৮) , আসাদুল্লা মিয়া ও তাদের ৪ সহযোগীকে গ্রেফতার করে পুলিশ। তাদের বিরুদ্ধে আধিপত্য বিস্তারের উদ্দেশে গ্রাম বাসিদের একাধিক ভাগে বিভক্ত করে টেটাযুদ্ধের উসকানির অভিযোগ আছে। এছাড়া, গত ৩১ জানুয়ারি রাত ৮টার দিকে রায়পুরা উপজেলার মির্জারচর ইউপি চেয়ারম্যান মো. জাফর ইকবাল মানিককে একটি দুই নলা বন্ধুক ও চারটি কার্তুজসহ গ্রেফতার করে রায়পুরা থানা পুলিশ। একই দিনে মির্জারচর ও বাঁশগাড়ি এলাকার টেটাযুদ্ধের সহকারী হিসেবে চিহ্নিত আরও তিনজনকে গ্রেফতার করে পুলিশ। তাদের বিরুদ্ধেও আধিপত্য বিস্তার ও টেটাযুদ্ধের মাধ্যমে সহিংসতা সৃষ্টির অভিযোগ আছে। পৃথক ৪টি অভিযানে গ্রেফতার আসামিদের কাছ থেকে ২টি বিদেশি পিস্তল, ১টি পাইপগান, ২টি চাইনিজ কুড়াল, ৬টি কার্তুজ, ৫ রাউন্ড গুলি, ১টি রামদা, ২টি ছোরা, ১টি কাভার্টভ্যান ও ১টি সিএনজি জব্দ করা হয়। নরসিংদীর অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ( অপরাধ ) সাহেব আলী পাঠান জানান, গ্রেফতারদের মধ্যে সাতজনই ডাকাত। তাদের সকলের বিরুদ্ধেই জেলার বিভিন্ন থানায় একাধিক ডাকাতি ও অস্ত্র মামলা রয়েছে। অন্যদিকে, সদর উপজেলার আলোকবালী এলাকার টেটা যুদ্ধের হোতা আসাদুল্লাহ ও তাদের সহযোগীদের গ্রেফতার করে আদালতে পাঠানো হয়েছে। আর মির্জারচর ও বাঁশগাড়ি এলাকায় টেটাযুদ্ধের সহকারী মানিক মিয়ার নামেও পূর্বের খুনসহ একাধিক মামলা আছে। গ্রেফতারদের বিরুদ্ধে আইগত ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। সেই সঙ্গে আমাদের অভিযান অব্যাহত আছে।

সর্বশেষ সংবাদ