প্রমোশনের কথা বলে ১০ লাখ টাকা দাবি স্ত্রীর মামলায় কারাগারে এএসআই

ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় স্ত্রীর যৌতুক মামলায় হুমায়ুন কবির নামের পুলিশের এক সহকারী উপ-পরিদর্শককে (এএসআই) কারাগারে পাঠিয়েছেন আদালত। বৃহস্পতিবার দুপুরে তাকে আদালতে তোলা হলে সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট বেগম আরেফিন আহমেদ হ্যাপি কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন। হুমায়ুন কবির কুমিল্লার ব্রাহ্মণপাড়া উপজেলার মৃত বাচ্চু মিয়ার ছেলে। বর্তমানে তিনি লক্ষীপুর জেলার হাজিরহাট তদন্ত কেন্দ্রের এএসআই পদে কর্মরত। মামলা সূত্রে জানা যায়, ২০১১ সালের ১৫ মে কুমিল্লার দেবিদ্বার উপজেলার তারু মিয়ার মেয়ে খাদিজা আক্তারকে পারিবারিক ভাবে বিয়ে করেন হুমায়ুন কবির। তাদের সংসারে এক মেয়ে ও এক ছেলে রয়েছে। হুমায়ুন এর আগে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার বিজয়নগর থানায় কর্মরত ছিলেন। ৭-৮ মাস আগে পদোন্নতির কথা বলে শ্বশুর-শাশুড়ির কাছে ১০ লাখ টাকা দাবি করেন। টাকা না পেলে আবার বিয়ে করবেন বলে হুমকি দেন। ২০২১ সালের ২১ ডিসেম্বর হুমায়ুন কবিরের মোবাইলে তার মেয়ে গেম খেলছিল। এ সময় সে মোবাইলে তার বাবার সঙ্গে অন্য এক মেয়ের অন্তরঙ্গ ছবি দেখে মা খাদিজা আক্তারকে জানায়। এ বিষয়ে খাদিজা আক্তার তার স্বামী হুমায়ুন কবিরকে জিজ্ঞাসা করলে তিনি জানান, বাবার বাড়ি থেকে ১০ লাখ টাকা এনে না দিলে মোবাইলে ছবির মেয়েটিকে বিয়ে করবেন। একথা বলে বাসা থেকে বের হয়ে যান। এরপর ফোন দিলে রিসিভ করেনি। বিষয়টি নিয়ে ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর সার্কেল অফিসে লিখিত অভিযোগ দিলে সেখান থেকে দু’জনকে মিলিয়ে দেওয়া হয়। এরপর খাদিজার মা ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা শহরের মেড্ডায় মেয়ে জামাইয়ের বাসায় বেড়াতে আসেন। গত ৪ মার্চ হুমায়ুন স্ত্রীর মামা ওয়ালিউল­াহ ও বড় ভাই কাওসারের সামনে শাশুড়ির কাছে নিজের পদোন্নতির কথা বলে পুনরায় ১০ লাখ টাকা দাবি করেন। সেই টাকা দিতে অপরাগতা জানালে খাদিজার সঙ্গে সংসার করবেন না বলে বাসা থেকে বের হয়ে যান হুমায়ুন। এরপর আর যোগাযোগ করেননি। বাদীপক্ষের আইনজীবী সাইফুল ইসলাম বলেন, যৌতুক দাবির ঘটনায় এএসআই হুমায়ুন কবিরকে আসামি করে খাদিজা আক্তার বাদী হয়ে গত ১১ এপ্রিল আদালতে মামলা করেন। মামলায় আদালত গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেন। বৃহস্পতিবার আসামি আদালতে হাজির হলে বিচারক তাকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।

সর্বশেষ সংবাদ