বিয়ের প্রলোভনে তরুণীকে ধর্ষণ,পুলিশ সদস্য গ্রেফতার

বরিশালে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে ধর্ষণ এবং অন্তঃসত্ত্বা করার অভিযোগে জেলা পুলিশের এক কনস্টেবলের বিরুদ্ধে থানায় মামলা করেছেন এক তরুণী। পরে মামলার পরিপ্রেক্ষিতে কাওছার হোসেন নামের ওই পুলিশ সদস্যকে গ্রেফতার করা হয়েছে। কাওছার হোসেন বরিশাল জেলা পুলিশের কনস্টেবল হিসেবে পুলিশ হাসপাতালে কর্মরত রয়েছেন। তিনি বরগুনা জেলা সদরের আমড়াঝুড়ি এলাকার আলম শিকদারের ছেলে। তবে চাকরির সুবাদে কাওছার বরিশাল নগরের দক্ষিণ আলেকান্দা এলাকার বুকভিলা গলির একটি বাসায় ভাড়া থাকতেন। বৃহস্পতিবার (২৫ আগস্ট) রাতে কোতোয়ালি মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোহাম্মদ আজিমুল করিম বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানান, কাওছার হোসেন নামে জেলা পুলিশের এক কনস্টেবলের বিরুদ্ধে বিয়ের প্রলোভনে ধর্ষণের অভিযোগ করে এক তরুণী বৃহস্পতিবার সকালে থানায় মামলা করে। কাওছার আহম্মেদ গত জানুয়ারি থেকে স্ত্রী ও এক সন্তান নিয়ে বুকভিলা গলির ভিকটিমের বাবার মালিকানাধীন ফ্ল্যাট বাসায় ওঠেন। সেই সুবাদে বাড়ির মালিকের ১৯ বছরের মেয়ের সঙ্গে সখ্য গড়ে ওঠে। পরে তরুণীর সরলতার সুযোগ নিয়ে কাওছার তার সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক গড়েন। এরপর গত ফেব্রুয়ারি থেকে বিভিন্ন সময়ে কিশোরীকে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে একাধিকবার ধর্ষণ করেন। পরে কিশোরী অসুস্থ হয়ে পড়লে তার মা ও খালাকে বিষয়টি জানান এবং পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে জানতে পারেন প্রায় ২০ সপ্তাহের অন্তঃসত্ত্বা ওই তরুণী। এদিকে অভিযুক্ত কাওছারকে আটক করতে নগরীর ৩০ গোডাউন এলাকায় অভিযান চালানো হয়। এ সময় নিজেকে বাঁচাতে কীর্তনখোলা নদীতে ঝাঁপ দেন কাওছার। পরে নদী থেকে উদ্ধার করে তাকে থানায় নিয়ে আসা হয়। অভিযুক্ত কাওছারকে আদালতে হাজির করা হবে বলে জানান আজিমুল করিম।

সর্বশেষ সংবাদ