মাছ সংকটে চলনবিলের তিন শতাধিক শুঁটকি চাতাল

এ এইচ খোকন চলনবিল প্রতিনিধিঃ চলনবিলের পানি নামতে শুরু করার সাথে সাথেই জেলেদের জালে টেংরা, পুঁটি, খলসে, বাতাসি, চেলা, মলা, টাকি, বাইম, শোল, গুতুম, বোয়াল, গজার, মাগুর, শিং, কৈসহ নানা প্রজাতির মাছ পাওয়া যায়। আর  এ মাছ প্রক্রিয়াজাত করতে ব্যস্ত হয়ে উঠে চলনবিল সংলগ্ন নয়টি উপজেলার তিন শতাধিক শুটকি চাতালের শ্রমিকেরা৷ প্রায় ১২৫ বর্গকিলোমিটার আয়তনের ২২টি জলাশয় ও ১৬টি নদীর সমন্বয়ে গঠিত সাড়ে পাঁচ হাজার হেক্টর আয়তনের চলনবিলের মাছ যায় এসব চাতালে।
চলনবিলে মূলত আশ্বিন-অগ্রহায়ণ পর্যন্ত চলে শুঁটকি উৎপাদন। তিন মণ তাজা মাছ শুকালে এক মণ শুটকি পাওয়া যায়। শুঁটকি প্রক্রিয়াকরণ চাতালগুলোয় কর্মসংস্থান হয়েছে কয়েক হাজার মানুষের।
সেপ্টেম্বর থেকে শুরু করে ডিসেম্বর মাস পর্যন্ত এ অঞ্চলের শুটকি ব্যবসায়ীরা বিভিন্ন মাছের আড়তের আশপাশে চাঁতাল তৈরি করে এসব শুটকি উৎপাদন করেন। প্রতি চাঁতালে ১০ থেকে ১৫ জন শ্রমিক কাজ করেন। এদের মধ্যে ‍অবশ্য সংখ্যায় নারী শ্রমিক বেশি।
চলনবিলের সুস্বাদু শুঁটকির চাহিদা রয়েছে দেশজুড়ে। কিন্তু প্রতি বছরই মাছের সংকটে এর উৎপাদন আশঙ্কাজনক হারে কমছে। বন্ধ হয়ে যাচ্ছে শুঁটকি পল্লীগুলো। ফলে পেশা সংকটে পড়ছেন এর সঙ্গে জড়িত কয়েক হাজার শ্রমিক। অথচ একসময় এখানে প্রচুর মাছ ধরা পড়ায় গড়ে উঠেছে অসংখ্য শুঁটকি পল্লী।প্রায় তিন শতাধিক চাতালে তৈরি শুঁটকি এলাকার চাহিদা মেটানোর পর দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে সরবরাহ করা হয়৷ কিছু অংশ যায় বিদেশে৷
বিল হরিবাড়ী এলাকার শুঁটকি শ্রমিক মোঃ জামাল মিয়া জানান ,জেলেদের চায়না ম্যাজিক জাল ব্যবহারের কারনে এ বছর  চলনবিল অঞ্চলে  মাছের পরিমাণ কম। শুঁটকি উৎপাদনে খরচও বেড়ে গেছে কয়েক গুণ। তেমন লাভ না হওয়ায় মালিকরা শুঁটকি চাতাল বন্ধ করে দিচ্ছেন।

সর্বশেষ সংবাদ