নির্বাচনে হেরে ভোটারকে দেওয়া টাকা ফেরত নিলেন প্রার্থী

ভোট না দেওয়ায় এক ইউপি সদস্যের কাছ থেকে টাকা ফেরত নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে পটুয়াখালী জেলা পরিষদ নির্বাচনে পরাজিত নারী সদস্যপ্রার্থী রুবিনা আক্তারের বিরুদ্ধে। সোমবার (১৭ অক্টোবর) রাতে স্থানীয় ওই ইউপি সদস্যের সঙ্গে টাকা ফেরত চাওয়া নিয়ে বাগবিতণ্ডার একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হয়। ভিডিওতে দেখা যায়, রাতে বাউফল উপজেলার বকুলতলা বাজারে রুবিনা আক্তারের সঙ্গে ভোট দেওয়ার কথা বলে টাকা নেওয়া আনিসুর রহমান নামের স্থানীয় ওই ইউপি সদস্যের বাগবিতণ্ডা চলছে। এসময় তাকে লাঞ্ছিত করা হয়। মোসা. রুবিনা আক্তার (বাউফল ও দশমিনা) ২ নম্বর সংরক্ষিত ওয়ার্ডের সদস্যপ্রার্থী ছিলেন। তিনি দশমিনা উপজেলার জসিম জোমাদ্দারের দ্বিতীয় স্ত্রী। এ বিষয়ে রুবিনা আক্তার জানান, ‘আমার সামর্থ্য অনুযায়ী তাকে দুই হাজার টাকা দিয়েছি। টাকা নেওয়ার সময় আমাকে আশ্বাস দিয়েছেন— আপা আপনি মন খারাপ করিয়েন না আমরা আপনাকেই ভোট দিবো, আপনি আমাদের নাস্তা খাওয়ার জন্য যে টাকা দিয়েছেন এতেই আমরা খুশি। কিন্তু টাকা নেওয়ার পরেও তারা আমাকে ভোট দেয়নি। তিনি আরও জানান, ‘আনিসুর রহমানের কাছে টাকা ফেরত চাইলে তিনি অস্বীকৃতি জানান। পরে অবশ্য টাকা ফেরত দিয়েছেন। কিন্তু তিনি আমার সঙ্গে খারাপ ব্যবহার করে লাঞ্ছিত করেছেন। দশমিনা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. মহিউদ্দিন আল হেলাল বলেন, ‘বিষয়টি আমিও দেখেছি। নির্বাচনে টাকার লেনদেন করা অবৈধ। তারা দুজনই অপরাধ করেছেন। লিখিত অভিযোগ দিলে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়া হবে।’ এর আগে সোমবার সকাল ৯টা থেকে দুপুর ২টা পর্যন্ত জেলা পরিষদ নির্বাচনে ইভিএমের মাধ্যমে ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়। বাউফল ও দশমিনা উপজেলার সংরক্ষিত নারী ওয়ার্ডে চারপ্রার্থী ছিলেন। এদের মধ্যে কামরুন নাহার দোয়াতকলম প্রতীক নিয়ে ১৪৬ ভোট পেয়ে বিজয়ী হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বীপ্রার্থী পশরি রানী হরিণ প্রতীক নিয়ে পেয়েছেন ১২০ ভোট। রুবিনা আক্তার পেয়েছেন ৩৬ ভোট। আরেকজন প্রার্থী মিসেস ফাতেমা আলম কোনো ভোট পাননি।

সর্বশেষ সংবাদ