বগুড়ায় ভর্তির লটারিতে এক ছাত্রীর নাম উঠলো তিনবার

স্টাফ রিপোর্টার:বগুড়া সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ে তৃতীয় শ্রেণির ভর্তি পরীক্ষার লটারিতে এক ছাত্রীর নাম উঠলো তিনবার। এতে অভিভাবকদের মধ্যে লটারি কার্যক্রম নিয়ে নানা আলোচনা-সমালোচনা শুরু হয়েছে।বগুড়া সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় সূত্রে জানা যায়, এবার এই শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ৮ হাজার ৭৭৯ ছাত্রী তৃতীয় শ্রেণিতে ভর্তির আবেদন করে। এর মধ্যে প্রভাতি এবং দিবা শাখা মিলিয়ে মোট ২০৬ জন শিক্ষার্থী ভর্তির সুযোগ পাবে। নতুন বছরে শিক্ষার্থী ভর্তি করতে তৃতীয় শ্রেণিতে নিয়ম অনুযায়ী লটারির ব্যবস্থা করা হয়। সোমবার লটারিতে শরমিলা আক্তার নামে এক ছাত্রীর নাম তিনবার ওঠে।লটারির পর ভর্তির জন্য এদিন বিকেল পাঁচটায় আনুষ্ঠানিকভাবে ফলাফল ঘোষণা করা হয় অনলাইনে ও স্কুলের নোটিশ বোর্ডে। সেই ভর্তি হওয়ার তালিকায় শরমিলা আক্তার প্রথম, দ্বিতীয় ও ষষ্ঠ স্থানে অবস্থান করছে। তার নাম ও ছবির সঙ্গে তিনটি জন্মনিবন্ধন নম্বর ২০১৪১০১২১৭৭১০৯৭৮৭, ২০১৩১০১৮৪৫৩১০৫৩৬৪ ও ২০১৪১০১২০৭৭১০৯৭৮৭ ব্যবহার করা হয়েছে। এমনকি ওই ছাত্রীর আবেদনের সময় করা ইউজার আইডিতেও ভিন্নতা রয়েছে। আবেদনের ইউজার আইডিতে ভিন্নতা থাকলেও শরমিলা আক্তারের বাবার নাম শফিকুল ইসলাম, মাতার নাম নাছিমা আকতার ব্যবহার করা হয়েছে। এছাড়াও ক্লাস ও শিফট দিবা শাখা সবকিছুতেই মিল রয়েছে।স্কুল সংশ্লিষ্টরা জানান, লটারিতে ব্যবহার করা সফটওয়্যারের দুর্বলতার কারণে একজনের নাম একাধিকবার আসার সুযোগ হয়েছে। তবে একজন একবারই ভর্তি হওয়ার সুযোগ পাবে।বগুড়া সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক রাবেয়া খাতুন জানান, এ রকম ঘটনা এর আগেও ঘটেছে। সেক্ষেত্রে একটি বাতিল করে একটি ভর্তি করা হয়েছে। হয়তো সেগুলো ঘটনা মিডিয়া বা গণমাধ্যমে যায়নি। কিন্তু এবারের বিষয়টি সম্পন্ন আলাদা। এক ছাত্রীর নামে তিনটি নিবন্ধন বা আবেদন করা হয়েছে। যেটি একজন অভিভাবকের পক্ষে কখনও করা উচিত হয়নি। এ বিষয়ে বিদ্যালয়ের সভাপতি জেলা প্রশাসক মহোদয়ের সাথে আলোচনা করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। ভর্তির ক্ষেত্রে সব কাগজপত্র যাচাই-বাছাই করে ভর্তি নিশ্চিত করা হয়। এক্ষেত্রে ওই ছাত্রীর কোনো ত্রুটি থাকলে আইন অনুযায়ী ভর্তির সুযোগ বাতিল হবে।

 

সর্বশেষ সংবাদ