কুড়িগ্রামে শীত জেঁকে বসায় বিপাকে পড়েছে খেটে খাওয়া মানুষ

সাইফুর রহমান শামীম,কুড়িগ্রাম-কুড়িগ্রামে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করছে আবহাওয়া অধিদপ্তর। শীত বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে হাসপাতালে ঠাণ্ডাজনিত রোগে আক্রান্তদের সংখ্যাও বাড়ছে। কুড়িগ্রামের রাজারহাট কৃষি আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগার কেন্দ্রের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা তুহিন মিয়া জানান, বৃহস্পতিবার সকাল ৯টায় জেলায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ১২ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করা হয়। গত ২৪ ঘণ্টায় শূন্য দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা কমেছে।

 

এদিকে জেলায় মধ্যরাত থেকে ভোর পর্যন্ত ঘন কুয়াশার চাঁদরে ঢাকা থাকে চারদিক। আলো ফোটার পরও অনেক সময় যানবাহন চলাচল করে হেডলাইট জ্বালিয়ে। শীত জেঁকে বসায় কাজে যেতে না পেরে বিপাকে পড়েছে খেটে খাওয়া সাধারণ মানুষ।শীতে বেশি কষ্ট পাচ্ছে শিশু ও বয়স্করা; ঠাণ্ডাজনিত রোগের প্রকোপ বাড়ায় চাপ বাড়ছে হাসপাতালে। কুড়িগ্রাম জেনারেল হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডা. শাহিনুর রহমান সরদার জানান, শীত বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে ঠাণ্ডাজনিত রোগ নিউমোনিয়া, শ্বাসকষ্ট ও ডায়রিয়ার প্রকোপ বাড়ছে। তাদের হাসপাতালেও এসব রেগীর চাপ বেড়েছে।বেডের তুলনায় বর্তমানে দ্বিগুণ রোগী সেবা নিচ্ছে। আক্রান্তদের মধ্যে বয়স্ক ও শিশুর সংখ্যাই বেশি। তিনি বলেন, “আমাদের কাছে পর্যাপ্ত ওষুধ রয়েছে। জনবলের ঘাটতির পরও আমরা সেবা দিয়ে যাচ্ছি।” কুড়িগ্রাম পৌর বাজারের সবজি বিক্রেতা আব্দুস সাত্তার বলেন, “কনকনে ঠাণ্ডার মধ্যে ভোর বেলা মাঠ থেকে সবজি সংগ্রহ করে আনি। কিন্তু সূর্যের আলো না ফোটা পর্যন্ত ক্রেতাদের দেখা মেলে না। বেচা-বিক্রি কমে যাওয়ায় আর্থিক কষ্টে আছি।” ওই এলাকার রিকশা চালক হোসেন বলেন, “তীব্র শীত আর ঘন কুয়াশার কারণে সকাল ৯টা-১০টা পর্যন্ত তো রাস্তায় লোকজনই তেমন থাকে না। তাই ভাড়াও পাইনা। এই ঠাণ্ডার মধ্যে বের হতে আমারও খুব কষ্ট হয়। কিন্তু সংসার তো চালাতে হবে,তাই সব উপেক্ষা করেই বের হই।

সর্বশেষ সংবাদ