পলাশবাড়ীর পবনাপুর ইউপি চেয়ারম্যানের নানা অনিয়ম-দূর্ণীতি অভিযোগ দাখিল

আরিফ উদ্দিন,গাইবান্ধা প্রতিনিধিঃ গাইবান্ধার পলাশবাড়ী উপজেলার পবনাপুর ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান মাহাবুবুর রহমান মন্ডলের বিরুদ্ধে নানা অনিয়ম-দূর্ণীতি, অর্থ আত্মসাৎ ও স্বেচ্ছাচারিতায় অনাস্থা প্রস্তাব এনে ইউএনও বরাবর ৯ ইউপি সদস্যের অভিযোগ।
উপজেলা নির্বাহী অফিসারসহ বিভিন্ন দপ্তরে দাখিলকৃত লিখিত অভিযোগে ইউপি সদস্যরা চেয়ারম্যানের প্রতি অনাস্থা প্রস্তাব আনয়ন করেছেন।
অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, ২০২১ সালে অনুষ্ঠিত ইউপি নির্বাচন পরবর্তি অত্র ইউনিয়নের সার্বিক কার্যক্রম শুরু হয়। চেয়ারম্যান মাহাবুবুর রহমান মন্ডল নিয়মনীতির কোনো তোয়াক্কা না করে একচ্ছত্র আধিপত্য বিস্তারের মাধ্যমে সরকারি পরিপত্র উপেক্ষা করে মনগড়া ভূমিকা পালন করে আসছেন। এক্ষেত্রে ইউপি সদস্যদের সাথে কোনরূপ পরামর্শ না করে বেপরোয়া মানসিকতায় অবৈধ পন্থায় পরিষদের কার্যক্রম অব্যাহত চালিয়ে যাচ্ছেন। ফলে ইউনিয়নবাসী সরকারি প্রকৃত সেবা প্রাপ্তি থেকে যেমন বঞ্চিত হচ্ছেন তেমনি উন্নয়নমূলক কর্মকান্ড থেকে অত্রালাকা পিছিয়ে পড়ছে।
অভিযোগে গত ২০২১-২২ অর্থবছরে ভূয়া প্রকল্প দেখিয়ে ১% অর্থ ছাড়াও পরিষদের আদায়কৃত অর্থ ব্যাংকে জমা না রেখে তিনি নিজেই পকেটস্থ করেছেন। এছাড়া জন্ম নিবন্ধনের সরকারি নির্ধারিত ফি’র অতিরিক্ত ফি আদায় অব্যাহত চালিয়ে যাচ্ছেন।
অপরদিকে; জনসাধারণের নিকট গ্রাম আদালতের বিপরীতে ১০/২০ টাকা নেয়ার কথা থাকলেও চেয়ারম্যান সেখানে ৪’শ টাকা পর্যন্ত ফি নিচ্ছেন। টিসিবি সুবিধাভোগীর নামীয় কার্ডের পণ্যসামগ্রী তিনি নিজেই উত্তোলন করে আত্মসাৎ করছেন। ভিজিএফ-এর ৮৪ বস্তা চাল কার্ডধারীদের মাঝে বিতরণ না করে কালোবাজারির মাধ্যমে বিক্রয় করেন। পরবর্তীতে থানা পুলিশ চালের বস্তা সমূহ জব্দ করেন। ২০২৩-২৪ অর্থ বছরের ভিডব্লিউবি কর্মসূচির ক্ষেত্রে অগ্রাধিকার অন্তর্ভূক্তির তালিকা অনিয়ম করে অর্থের বিনিময় দরিদ্রদের বাদ দিয়ে নিজস্ব আত্মীয়-স্বজনের মাঝে এসব কার্ড বিতরণ করেন। ২০২১-২২ অর্থ বছর এলজিএসপি’র বরাদ্দকৃত অর্থ ভূয়া প্রকল্প দাখিলের মাধ্যমে আত্মসাৎ করেন। চেয়ারম্যান মাহাবুবুর রহমানের মুঠোফোনে তাঁর মতামত জানতে চাইলে তিনি জানান ভিডব্লিউবির বিভাজনের ভাগ বন্টন নিয়ে ইউপি সদস্যদের সাথে আমার দ্বিমত রয়েছে। একারণে আমার বিরুদ্ধে পরিকল্পিত মিথ্যাচারের মাধ্যমে অপপ্রচার চালিয়ে যাচ্ছেন। আনীত অভিযোগ সম্পুর্ণ মিথ্যা বানোয়াট ও ভিত্তিহীন। বাস্তব অর্থে আমি নিজেও অভিযোগ সমূহের সরেজমিন তদন্ত দাবী করছি।
ভারপ্রাপ্ত উপজেলা নির্বাহী অফিসার সহকারী কমিশনার (ভুমি) এস.এম. ফয়েজ উদ্দীন বলেন, বিষয়টি সরেজমিন মাঠপর্যায় খতিয়ে দেখে প্রয়োজনীয় কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

সর্বশেষ সংবাদ