আওয়ামী লীগ কর্মীকে হত্যার চেষ্টা টাকা ছিনতাই 

তানোর প্রতিনিধি: রাজশাহীর তানোরের সীমান্তবর্তী মান্দার ভারশোঁ ইউপিতে, পুর্ববিরোধের জের ধরে ইউপি আওয়ামী লীগের সক্রীয় কর্মী,
আব্দুল্লাহ আল মামুন ওরফে কাজলকে হত্যার উদ্দেশ্যে কুপিয়ে  রক্তাক্ত জখম করে ৮০ হাজার টাকা ছিনিয়ে নিয়েছে
হামলাকারীরা। গত ২৫ মার্চ শনিবার  ভারশোঁ ইউপির চৌবাড়িয়া বাজারে এই ঘটনা ঘটেছে। গুরুতর জখম কাজল চৌবাড়ীয়া বাজার গ্রামের মৃত নজিবুর সাহার পুত্র। প্রকাশ্যে দিবালোকে ফিল্মি-স্টাইলে আওয়ামী লীগ কর্মীকে হত্যা চেষ্টা এবং ছিনতাইয়ের  ঘটনায় এলাকাবাসীর মধ্যে উদ্বেগ ও চরম আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে। ঘটনার সঙ্গে সম্পৃক্তদের দৃষ্টান্তমুলক শাস্তির দাবিতে গ্রামবাসী বিক্ষুব্ধ হয়ে উঠেছে। এ ঘটনায় গত ২৭ মার্চ আহত কাজলের পুত্র সজল হোসেন
বাদি হয়ে আলতাজ উদ্দিনকে  প্রধান আসামি করে মোট ৬ জনের নামে মান্দা থানায় হত্যা চেষ্টা ও ছিনতাইয়ের মামলা করেছে।  এদিকে থানা (১৪৩/১৪১/৩২১/৩২৬/৩০৭/৩৭৯/৫০৬/১১৪/প্যানেল কোড ১৮৬০/) ধারায়
মামলাটি রেকর্ড করেছেন।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, এদিন মাগরিব নামাজ শেষে আবদুল্লাহ আল মামুন (কাজল)  চৌবাড়ীয়া বাজারে হোসেন আলীর চায়ের দোকানে চা পান করতে বসেন। এসময় মৃত লহীর উদ্দিনের পুত্র
আলতাজ উদ্দিন, আবুল হোসেন, আতাউর রহমান এবং  আবুল হোসেনের পুত্র শিশির হোসেন, সিরাজ হোসেনের পুত্র রিপন হোসেন ও রাজিব হোসেন। তারা দেশীয় অস্ত্র সজ্জিত হয়ে কাজলের ওপর মধ্যযুগীয় কায়দায় নির্যাতন ও হত্যার চেষ্টা করে ৮০ হাজার টাকা ছিনিয়ে নিয়েছে। স্থানীয়রা মুমূর্ষু অবস্থায় কাজলকে উদ্ধার করে রাজশাহী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে (রামেক) ভর্তি করেছেন। স্থানীয়রা জানান, বিগত ইউপি নির্বাচনে আলতাজ উদ্দিন নৌকার বিরুদ্ধে স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়। তবে নির্বাচনে কাজল প্রকাশ্যে নৌকার পক্ষে কাজ করেন। এনিয়ে আলতাজের সঙ্গে কাজলের মতবিরোধ সৃষ্টি হয়। তার পর থেকে আলতাজ ও আতাউর বিভিন্ন কৌশলে কাজলকে হত্যার চস্টা করে আসছে। এমনকি এর আগেও আলতাজের বিরুদ্ধে হত্যা চেষ্টা মামলা করা হয়েছিল, কিন্ত্ত স্থানীয়ভাবে মিমাংসা করতে কাজলকে বাধ্য করা হয়েছিল। এবিষয়ে  ভুক্তভোগী আবদুল্লাহ আল মামুন (কাজল) জানান, ঘটনার দিন মাগরিবের নামাজ শেষে চৌবাড়ীয়া বাজারের হোসেন আলীর চায়ের দোকানে চা খেতে যায়। এ সময় প্রথমে আলতাজ  ও আতাউর অতর্কিত হামলা করে এবং
এর পর আবুল হোসেন তার লোকজন তাদের সঙ্গে যোগদেন। এসময় আতাউর দেশীয় অস্ত্রসহ প্রকশ্যে হুমকি দিয়ে বলেন,কাজলকে জানে মেরে ফেল যা টাকা লাগে আমি দিবো। এবিষয়ে জানতে চাইলে আলতাজ উদ্দিন প্রামানিক  মারপিটের সত্যতা স্বীকার করে বলেন, তার ভাই আবুল হোসেন কথা কাটাকাটির এক পর্যায়ে রাগান্বিত হয়ে চায়ের কাপ দিয়ে আব্দুল্লাহ আল মামুন কাজলকে মারধর করেছে। আলতাজের কাছে প্রশ্ন ছিল আপনি চাঁদার টাকা না পেয়ে না কি কাজলকে মারপিট করেছেন, এই প্রশ্নের কোনো সদোত্তর না দিয়ে রাগান্তিত হয়ে  বলেন আপনার যা খুশি লেখেন বলে ফোন কেটে দেন। এবিষয়ে আহত আব্দুল্লাহ আল মামুন কাজলের পুত্র সজল হোসেন বলেন, আসামিরা মামলা তুলে নেওয়ার জন্য প্রতিনিয়ত হুমকি ধামকি প্রদানসহ প্রকাশ্যে ঘুরে বেড়ালেও পুলিশ কোন ব্যবস্থা নিচ্ছেন না। এমনকি গত বুধবার সন্ধ্যায় আতাউর হাতে রাম-দা নিয়ে তাকে ধাওয়া করেছে। এবিষয়ে  মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা এসআই শামীম রেজা জানান, ওই ঘটনাই ইতিমধ্য মামলা রুজু করা হয়েছে। আসামিদের গ্রেফতারের তৎপরতা চলছে।

সর্বশেষ সংবাদ