সেতুর সংযোগ সড়ক ৫ বছরেও শেষ হয়নি, দুর্ভোগে মানুষ

সাজ্জাদুল তুহিন, মান্দা (নওগাঁ) প্রতিনিধি, ৫ বছরেও শেষ হয়নি আত্রাই নদীর উপর নির্মিত নওগাঁর মান্দা উপজেলার জোতবাজার খেয়াঘাট সেতুর কাজ। সেতু নির্মাণ শেষ হলেও সংযোগ সড়কের অভাবে সেতুটি কোন কাজে আসছেনা। এর মধ্যে কাজটি সম্পন্ন করার জন্য কয়েক দফা মেয়াদ বাড়ানো হলেও শেষ হয়নি সংযোগ সড়কের কাজ।
সরেজমিন বুধবার (২৭ সেপ্টেম্বর) গিয়ে দেখা যায়, উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ী ঢলে নদীর পানি বিপদ সীমার উপর দিয়ে প্রভাবিত হচ্ছে। শুধুমাত্র সংযোগ সড়ক না থাকায় জীবনের ঝুঁকি নিয়ে নৌকা যোগে পার হচ্ছে দুই পারের মানুষ। সংযোগ সড়কের অভাবে বিঘ্নিত হচ্ছে দৈনন্দিন কাজকর্ম ও ব্যবসা বানিজ্য। এতে করে বেড়েছে মানুষের চরম ভোগান্তি। এই নিয়ে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কোন মাথা ব্যাথা নেই। স্থানীয়রা জানান, সেতু নির্মাণ শেষ হলেও শেষ হয়নি সংযোগ সড়কের কাজ। এতে করে উন্নয়নের সুফল ভোগ করতে পারছেন না সাধারণ মানুষজন। দীর্ঘদিনের সমস্যা যেন মানুষের নাভীশ্বাস হয়ে দাঁড়িয়েছে।
দীর্ঘদিনের চাওয়া-পাওয়ার অবসান রোধে গত ২০১৮ সালে নুরুল্যাবাদ ইউপির জোতবাজার খেয়াঘাটে সেতুর নির্মাণ কাজ শুরু হয়। ২০২২ সালে অনেকটাই এগিয়ে গেছে সেতু নির্মাণ এবং সড়কের জন্য অধিগ্রহণকৃত জায়গা দখলের কাজ। বাকি রয়েছে শুধুমাত্র সেতুর এক পাশের সংযোগ সড়কের কাজ। ব্রিজটি সম্পন্ন হওয়ার অপেক্ষায় রয়েছে নদীর দুই পাড়ের মানুষ। ব্রিজটি দৃশ্যমান হলে উপজেলার ৬টি ইউনিয়ন ও রাজশাহী জেলার বাগমারা উপজেলার, গোবিন্দপাড়া ইউনিয়ন, হাট দামনাশ এলাকার মানুষ বেশি সুফল পেত। কিন্তু কাজ সম্পূর্ণ না হওয়ায় সুফলের পরিবর্তে পৌহাতে হচ্ছে ভোগান্তি।
জানা গেছে, ‘পল্লী সড়কে গুরুত্বপূর্ণ সেতু নির্মাণ’ প্রকল্পের আওতায় উপজেলার জোতবাজার খেয়াঘাটে আত্রাই নদীর ওপর ২১৭ মিটার দৈর্ঘ্য ও ৯ দশমিক ৮ মিটার প্রস্থের একটি সেতুর নির্মাণ কাজের জন্য দরপত্র আহ্বান করে এলজিইডি। নির্মাণ ব্যয় ছিল ১৮ কোটি ৮১ লাখ ২৫ হাজার টাকা। দরপত্রের মাধ্যমে কাজটি পান মিলন এসিএল এবং এমএএইচসিএল (জেভি) নামের একটি ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান।
সেতুটি নির্মাণের জন্য ২০১৮ সালের ১৪ এপ্রিল ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে চুক্তিনামা সম্পাদন করে সংশ্লিষ্ট দপ্তর। এরপর ১৭ এপ্রিল কার্যাদেশ দেওয়া হয়। চুক্তিনামায় ২০২০ সালের ২৯ অক্টোবরের মধ্যে সেতুটির নির্মাণ কাজ শেষ করার সময়সীমা নির্ধারণ থাকলেও তা শেষ হয়নি। পরবরর্তীতে আবার নতুন ভাবে সময় বাড়ানো হয় ২০২৩ সালের ২০ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত। এই সময়সীমা পার হলেও থমকে আছে সংযোগ সড়কের কাজ।
মান্দা উপজেলা প্রকৌশলী শাইদুর রহমান মিঞা বলেন, কাজটি দ্রুত শেষ করার জন্য চেষ্টা চলছে।মাটির অভাবে কাজটি শেষ করা যাচ্ছে না। তবে আসন্ন জাতীয় নির্বাচনের আগেই কাজটি শেষ করা হবে।