এক পুলিশ সদস্যকে প্রতারণার মাধ্যমে ফাঁসিয়ে ১০ (দশ) লক্ষ টাকার রেজিস্ট্রি তৈরী করে তা আদায়ে অপকৌশল করছে অভিযোগ করে সোমবার বেলা ১২টায় বগুড়া প্রেস ক্লাবে সাংবাদিক সম্মেলন করেছেন নৌ-পুলিশ নারায়নগঞ্জ অঞ্চলে কর্মরত পুলিশ সদস্য লালমনিহাট জেলার আদিতমারী থানার মসড় দৈলজোড় গ্রামের মোঃ অছিম উদ্দিন সরকার-এর পুত্র মোঃ শাজাহান। সাংবাদিক সম্মেলনে তিনি জানিয়েছেন, সরল বিশ^াসে প্রতারণা শিকার হয়েছেন তিনি। তিনি লিখিত বক্তব্যে জানান, গত ৩০-০৮-২০২০ইং তারিখে বগুড়া আমার পূর্ব পরিচিত মোঃ বায়েছ উদ্দিন, পিতাঃ সামছুল হক ব্যাপারী গ্রাম: হাড়িয়াকান্দি, সোনাতলার সঙ্গে মেয়ে দেখতে বগুড়া শহরের ঝোপগাড়ীর মোহাম্মদ আলীর বাড়িতে যাই। মেয়ে দেখা শেষে আমার অপছন্দ সত্তে¡ও তারা বিয়ে করতে বাধ্য করেন। এক (০১) লক্ষ টাকা মোহরানায় তারা ঝোপগাড়ী হাজীপাড়ার মোহাম্মাদ আলীর মেয়ে নাহিমা সুলতানার সঙ্গে বিবাহ পড়ে দেন। আমি ঐ রাতেই সংসার না করে কর্ম¯’লে যাই। পরবর্তীতে তাকে তালাক দেয়ার সিদ্ধান্ত নেই। তাদের নিযুক্ত উকিল দিয়ে আমাকে ফোন দিয়ে তালাক ও মহোরানা প্রদানের মাধ্যমে মিমাংসার কথা বলে। আমি আশ^াস্ত হয়ে তাদের নিযুক্ত উকিল (এ্যাডভোকেট) মোঃ ফজলুল হক (সবুজ) এর চেম্বারে ল ফার্মে যাই। তিনি ১,১৫,০০০/- (এক লক্ষ পনের হাজার) টাকা দিলে মিমাংসা বা তালাক করে দিবে বলে জানান। আমি সরল বিশ^াসে ঐ টাকার নগদ ৯০,০০০/- (নব্বই হাজার) টাকা গত ২২/০৯/২০২০ তারিখে ফজলুল হককে প্রদান করলে তিনি অপরিচিত ২/৩ জন লোকের উপ¯ি’তিতে কিছু ফরম ফরমেটে আমার সহি ও ছবি গ্রহণ করেন। যে সহি নিয়ে তিনি পরদিনই মহোরানা রেজিসিট্্র ১০,০০০,০০/- (দশ লক্ষ) টাকা দেখিয়েছেন গত ২৩/০৯/২০২০ তারিখ। এবং অবশিষ্ট ২৫,০০০/-(পাঁচিশ হাজার টাকা) ৬/১০/২০২০ তারিখে টাকা প্রদান করি। এ্যাড: ফজলুল হক (সবুজ) এর জুনিয়র-তার পুত্র মোঃ নাহিদ পারভেজ জনির সহযোগিতায় আমার প্রাক্তন স্ত্রী মোছা: নাহিমা সুলতানার বাদীত্বে করা যৌতুক নিরোধ আইনের ৩ ধারায় সি, আর ১৭৯৯/২০২০ (সদর) ও পারিবারিক ২৭৭/২০২০ (সদর) মামলা করেন আমার বিরুদ্ধে। তারা ষড়যন্ত্র করে আমাকে ফাঁসানোর প্রতারণার আশ্রয়ে নতুন কাবিন নামা সৃষ্টি করেছে। তিনি প্রশ্ন করেন, যে স্ত্রীকে বিবাহের রাতে সংসার না করে চলে যায়, যে আইনের আশ্রয়ে দেন মোহরানা পরিশোধ করে তালাক প্রদান করে সে কি করে পরদিনই (১০,০০০০০/=) দশ লক্ষ টাকায় আবারো অপছন্দের ঐ মেয়েকেই বিবাহ রেজিস্ট্রি করে? আমার প্রতি যে অন্যায় ও অনৈতিকতার পরিচয় দিয়েছে যেসব আইনজীবি এবং যারা আমাকে ফাঁসিয়ে চাকুরীর ভয় দেখিয়ে বা দশ লক্ষ টাকার লোভে মিথ্যা, বানোয়াট ও প্রতারণায় আশ্রয়ে যে দশ লক্ষ টাকার রেজিস্ট্রি মামলা করেছে তা প্রশাসনের মাধ্যমে সঠিক তদন্ত করে মামলা থেকে অব্যাহতির আবেদন জানাচ্ছি। আমি বগুড়া জেলা এ্যাডভোকেট বার সমিতিতে লিখিত অভিযোগ দিয়েছি।
বগুড়ায় পুলিশ সদস্যকে ফাঁসিয়ে প্রতারণায় জড়িতদের শাস্তির দাবিতে সাংবাদিক সম্মেলন
2 weeks ago
28 Views

You may also like
সর্বশেষ সংবাদ
সারিয়াকান্দিতে ঐতিহাসিক ৭ই মার্চ পালিত
6 hours ago
বগুড়া প্রেসক্লাবের আলোচনা সভা
7 hours ago
বগুড়া নতুন করে করোনায় আক্রান্ত ৭ জন
7 hours ago

