স্টাফ রিপোর্টারঃ বগুড়ায় অবস্থিত নওয়াববাড়ী প্যালেস মিউজিয়ামের জমি ব্যক্তিগত ও বৈধ পন্থায় কেনা হয়েছে উল্লেখ করে সংবাদ সম্মেলন করেছেন বগুড়া চেম্বার অব কর্মাসের সভাপতিমাছুদুর রহমান মিলন।বুধবার বেলা ১২ টার দিকে জেলা প্রেসক্লাবে এই সংবাদ সম্মেলন আয়োজিত হয়। পেশায় ব্যবসায়ীমাছুদুর রহমান মিলন জেলা আওয়ামী লীগের কোষাধ্যক্ষ। এ ছাড়া তিনি জেলা আওয়ামী লীগের সাবেকসভাপতি মমতাজ উদ্দিনের ছেলে। সংবাদ সম্মেলনে মিলন বলেন, সম্প্রতি নওয়াববাড়ীর জমি কেনার কারনে আমাকে দুর্নীতিবাজ বলা হয়েছে। সরকারের রাজস্ব ফাঁকি দিয়েছি বলা হয়েছে। কিন্তু এসব কথা পুরোপুরি মিথ্যা মন্তব্য করে মিলন বলেন, ওই জমি বৈধভাবে কেনা হয়েছে। সম্প্রতি গণমাধ্যমসহ বিভিন্ন মাধ্যমে জমি কেনা নিয়ে কিছু ভুল তথ্য প্রচার হচ্ছে। সেই ভুলগুলো নিয়ে আলোচনা করার জন্য আসা।তিনি বলেন, ২০১৬ সালের ১৫ এপ্রিল ২৭ কোটি ৬০ লাখ টাকায় তিন জন মিলে নওয়াববাড়ির জমি কবলাসূত্রে কেনা হয়। এর আগে র্যাংগস কোম্পানি ২৩ শতক, রানার প্লাজা ৬৩ শতক জমি কিনেছে। অথচ আমরা জমি কেনার পর জানানো হয়, ২০০০ সালের ১২ মে প্রত্নতত্ব বিভাগের একটি গেজেট অনুযায়ী আমাদের কেনা জমিসহ ৩ দশমিক ৪২ শতাংশ জায়গা প্রত্নতাত্বিক এলাকাভুক্ত উল্লেখ করা হয়। এতে কিন্তু যখন রানার প্লাজা, র্যাংগসের অফিস করা হল তখন এসব কোনো নোটিশ দেয়া হয়নি। মিলন জানান, এ ঘটনার পরে তারা প্রত্নতত্ব বিভাগের সাথে যোগাযোগ করা হয়। এখানকার দায়িত্বপ্রাপ্ত বিভাগীয় পরিচালক নাহিদ সুলতানা বিষয়টি নিয়ে মন্ত্রনালয়ে চিঠি দেন। তবে তার কোনো জবাব আজো আসেনি। এর মধ্যে আমরা হাইকোর্টে একটি রিট করি জমির অধিকার নিয়ে। পাঁচ বছর মামলা চালানোর পর গত বছরের ৩ সেপ্টেম্বরে রায় পাই। এতে অতিসত্বর জমির মালিকরা ব্যবস্থা নিতে বলা হয়। ওয়াকফ সম্পত্তি প্রসঙ্গে মাছুদুর রহমান মিলন বলেন, এটি পুরোপুরি ব্যক্তি মালিকানা সম্পত্তি। তিনি দাবি করেন, ১৯৩২ সালে আলতাফ আলী চৌধুরী তিন দশমিক ৪২ জমির বন্ধক রেখে তৎকালীন বগুড়ার লোন ব্যাংক থেকে ১২ হাজার টাকা ঋণ নেন। সেই ঋণ শোধ না করায় নিলামে উঠলে মোহাম্মদ আলী ১২ হাজার টাকায় কিনে নিয়েছিলেন। মিলন বলেন, ওয়াকফ সম্পত্তি হলে এই জায়গার কেস চলে ব্যক্তির উপর, খাজনা আদায় হয়, বিক্রি হয়েছে ব্যক্তি মালিকানা দেখিয়ে। শুধু আমরা কিনতে গেলেই ওয়াকফ সম্পত্তি হয়? এখন হাইকোর্ট থেকে রায় পাওয়ার পরে করোনার সময়ে আমরা সেখানে কিছু সংস্কার কাজ শুরু করি। কিছু কিছু ঘর ভাঙ্গা হয়েছে। এসব তথ্য আলোচনা করে মাছুদুর রহমান মিলন ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, গণমাধ্যমে যেভাবে সংবাদ প্রচার করা হয়েছে তা অত্যন্ত দুঃখজনক। সংবাদে যা সত্য তা অবশ্যই লেখুক। কিন্তু অসত্য, বানোয়াট খবর না ছাপানোই যৌক্তিক।
বগুড়া চেম্বার অব কমার্সের সভাপতি মিলনের সংবাদ সম্মেলন
1 month ago
116 Views

You may also like
সর্বশেষ সংবাদ

