তানোর প্রতিনিধি: মসজিদের ইমামতি করতে এসে শিক্ষা বানিজ্য শুরু করেছেন রাজশাহীর তানোর থানা মসজিদের ইমাম মামুনুর রশিদ বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে । এঘটনায় গত ১১ মে বুধবার আল হেরা প্রতিষ্ঠানের প্রতিষ্ঠাতা ইসাহাক আলী ও আবুল কালাম আজাদ বাদি হয়ে এবং থানা মসজিদের ইমাম দায়িত্ব প্রাপ্ত পরিচালক মামুনুর রশিদকে বিবাদী করে ঘটনার পরিত্রাণ পেতে উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান লুৎফর হায়দার রশিদ ময়নার নিকট লিখিত অভিযোগ দেওয়া হয়েছে। এর আগে গত ২৮ মার্চ প্রতিষ্ঠান সংক্রান্ত বিষয়ে তিনজন ৩০০ টাকার নন জুডিশিয়াল স্ট্যাম্পে চুক্তি নামা সম্পাদন করা হয়। চুক্তি নামা অনুযায়ী মামুন অন্য কোন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খুলতে পারবে না, এবং আল হেরার কোন শিক্ষার্থী ও শিক্ষক নিতে পারবে না মর্মে ষ্ট্যাম্পে চুক্তি করা আছে। কিন্তু থানা মসজিদের ইমাম মামুনুর রশিদ ক্ষমতার দাপট দেখিয়ে নতুন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খুলে শিক্ষার্থী ও শিক্ষক তার নতুন প্রতিষ্ঠানে নিয়েছেন। এতে করে তিনি সকল ধরনের চুক্তি ভঙ্গ করে পুলিশ প্রশাসনের দাপটে প্রতিষ্ঠান চালিয়ে যাচ্ছেন। ফলে আল হেরা শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের আরো দুই মালিকের সাথে চরম প্রতারণা করেছেন এবং বেইমানি করে প্রতিষ্ঠান খুলেছেন। আবার তাকে কিছু বললে পুলিশ দিয়ে নানা ভাবে হুমকি দিচ্ছেন বলে নিশ্চিত করেন আল হেরা প্রতিষ্ঠানের পরিচালকরা। ফলে থানার ইমামের এমন শিক্ষা বানিজ্যের খবর ছড়িয়ে পড়লে এলাকায় চরম ক্ষোভ দেখা দিয়েছে। স্হানীয়রা জানান, থানা মসজিদে তিনি ইমামতি করতে এসেছেন। তিনি কেন বিতর্কিত কর্মকাণ্ডে জড়াবেন। তার কাজ নামাজ পড়ানো। সে কেন এধরণের কার্যক্রম করবেন। যারাই তাকে শিক্ষক হিসেবে পথ চিনালেন তাদের সাথেই প্রতারণা। একজন মসজিদের ইমাম মানে অনেক সম্মান। সেটাই করা তার উচিৎ ছিল। চুক্তি পত্রে উল্লেখ, বিগত ২০১৪ সালে তানোর পৌর এলাকার ব্র্যাকের মোড়ে ভাড়া বাড়িতে রেজুলেশনের মাধ্যমে ইসলামিক একাডেমি আল হেরা নামের শিক্ষা প্রতিষ্ঠান স্হাপন করে ২০১৪ সাল থেকে ক্লাস আরম্ভ করা হয়। দুই প্রতিষ্ঠাতা ইসাহাক ও আবুল কালাম আজাদ মামুনুর রশিদ কে পরিচালনার দায়িত্ব দেন। কিন্তু তিনি দায়িত্বে কোন ধরনের হিসাব নিকাশ থেকে শুরু একাই একশো বনে যান। সেখান থেকে বের হয়ে আরেকটি প্রতিষ্ঠান খুলে আল হেরার শিক্ষক শিক্ষার্থীদের কৌশলে তার প্রতিষ্ঠানে নিয়ে যান। অথচ চুক্তি নামায় এসব কিছু করবেন না বলে স্বাক্ষর করেন মামুন। এসব বিষয়ে অপর দুই পরিচালক ইসাহাক ও আবুল কালাম আজাদ নিষেধ করেও শোনেন না। যার কারনে নিরুপায় হয়ে সুষ্ঠু সমাধানের জন্য চেয়ারম্যানের নিকট লিখিত অভিযোগ দেন। প্রতিষ্ঠাতা ইসাহাক ও আবুল কালাম আজাদ জানান, আমরা তাকে বিশ্বাস করে পরিচালনার দায়িত্ব দেওয়া হয়েছিল থানা মসজিদের ইমাম মামুন কে। কিন্তু তিনি প্রতিষ্ঠানের আয় ব্যয় থেকে শুরু করে কোন কিছুর হিসেব দেয় না। তিনি পরিকল্পিত ভাবে আল হেরা প্রতিষ্ঠান কে ধ্বংস করার জন্য মরিয়া হয়ে পড়েছেন। অথচ এসব কিছু করবেনা বলে যে চুক্তি নামায় স্বাক্ষর করেছেন সেটা তিনি মানছেন না। আমাদের বোধগম্য নয় তিনি কেন এসব করবেন। নিজেই চুক্তিতে স্বাক্ষর করল আবার তিনিই ভঙ্গ করছেন। শুধু মাত্র থানার ইমাম বলে ক্ষমতার দাপটে এসব করছেন। আবার তাকে চুক্তির বিষয়ে অবহিত করলে প্রশাসনের লোক দিয়ে ভয় হুমকি দিচ্ছেন। যদি এসবই করবেন তাহলে ৩০০ টাকার স্ট্যাম্পে কেন স্বাক্ষর করলেন। এজন্য বাধ্য হয়ে সুষ্ঠু সমাধানের জন্য চেয়ারম্যান নিকট লিখিত অভিযোগ দেওয়া হয়েছে। থানা মসজিদের ইমাম মামুনুর রশিদ অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, প্রতিষ্ঠান যে কেউ খুলতে পারেন। উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান লুৎফর হায়দার রশিদ ময়না বলেন, অভিযোগ পেয়ে ভাইস চেয়ারম্যান আবু বাক্কার সিদ্দিক কে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে, আসা করে সুষ্ঠু সমাধান হবে। ভাইস চেয়ারম্যান আবু বাক্কার সিদ্দিক জানান, আগামী বুধবারে বাদি বিবাদীকে নিয়ে বসে সমাধান করা হবে।
তানোর থানা মসজিদের ইমামের শিক্ষা বানিজ্য
1 month ago
13 Views

You may also like
সর্বশেষ সংবাদ
বগুড়ায় মধুমতী ব্যাংকের ৪৭ তম শাখার উদ্বোধন
21 hours ago
বগুড়ায় কৃষক লীগের প্রস্তুতিমূলক সভা
22 hours ago
লোক সাংস্কৃতিক উৎসবে বগুড়ায় আলোচনা লোকগান ও নৃত্য
22 hours ago
বগুড়ায় বিজয় টিভির সাংবাদিক স্বরনের ছোট ভাইয়ের মৃত্যু
22 hours ago
গাইবান্ধা পৌরসভার শহর সমন্বয় কমিটির সভা
22 hours ago