লক্ষ্মীপুরের রায়পুরে আওয়ামী লীগের দুই গ্রুপের সংঘর্ষের পর ২৩৭ জনের নামে মামলা

লক্ষ্মীপুরের রায়পুরে আ’লীগের দুই গ্রপের হামলা, সংঘর্ষ ও ভাংচুরের ঘটনায় সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যানসহ ২৩৭ কর্মীর নামে মামলা হয়েছে। রোববার সকালে উত্তর চরবংশী ইউনিয়ন আ’লীগের যুগ্ন আহবায়ক-রাশেদ হাসান খলিফা বাদী থানায় এ মামলা করেছেন।

উল্লেখ্য- শুক্রবার রাত ১১টা থেকে শনিবার গভির রাত পর্যন্ত-উপজেলার উত্তর চরবংশী ইউপির খাসেরহাট বাজার ও কয়েকটি বাড়ীতে ঘটনাগুলো ঘটেছে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে রায়পুর থানা ও হাজিমারা ফাঁড়ি থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে অবস্থান করছেন। তবে এরিপোট লেখা পর্যন্ত মামলায় কাউকে আটক করতে পারেনি পুলিশ।

চরবংশীর খাসেরহাট বাজারের নেতা-কর্মীরা জানান, উপজেলা নির্বাচনের পর থেকে সতন্ত্র প্রার্থী সাবেক চেয়ারম্যান আলতাফ হোসেন মাষ্টার ও আ’লীগের আহবায়ক ওসমান খাঁর অনুসারীদের মধ্যে উত্তর চরবংশী ইউনিয়ন আ’লীগ দুই ভাগে বিভক্ত হয়ে দলীয় কর্মকান্ড চলছিলো।-কয়েকবার সংঘর্ষ, ভাংচুর, আহত ও পাল্টাপাল্টি একাধিক মামলা হয়েছে। এ অবস্থায় আ’লীগ নেতা ওসমান খাঁ ও আলাউদ্দিন খাঁ চেয়ারম্যান আলতাফ মাষ্টারের সাথে মিমাংসা হয়ে যান এবং মামলা তুলে নেয়ার প্রক্রিয়াও চলছিলো। কিন্তু-খালেদ দেওয়ান ও রুহুল আমিন খলিফা মিমাংসা না হয়ে আলতাফ মাষ্টার লোকদের সাথে বিরোধ চালিয়ে আসছিলো। এ অবস্থায় শুক্রবার সকালে রুহুল আমিন খলিফার অনুসারী এক কর্মী ‘খাসেরহাট স্বাধীন হয়েছে ও প্রয়োজনে আবার স্বাধীন হবে’ এ পোষ্ট তার ওয়ালে লেখার উত্তরে আ’লীগ নেতা আলতাফ মাষ্টারের ভাতিজা যুবলীগ নেতা আওলাদ ‘খাসের হাট কবে স্বাধীন হয়েছে’ জানতে চাই” এ পোষ্ট লেখেন। এতেই দুই গ্রুপের মধ্যে আবার হুমকি শুরু হলে রাতেই সংঘর্ষে লিপ্ত হয়। উভয় পক্ষের প্রায় ২০ নেতা কর্মী আহত হন। গুরুত্বর জখম ১০ জনকে উদ্ধার করে রায়পুর, লক্ষ্মীপুর ও ঢাকা পঙ্গু হাসপাতারে ভর্তি করা হয়েছে। এসময় আলতাফ মাষ্টারের গাড়ি ও কার্যালয় ভাংচুর করায় তার ক্ষুদ্ধ অনুসারীরা তাদের প্রতিপক্ষদের বাড়ীঘর কুপিয়ে ভাংচুর করে। এর পাল্টা জবাবে শনিবার রাত পর্যন্ত রুহুল আমিন খলিফা, খালেদ দেওয়ানে লোকদের সাথে আলতাফ মাষ্টার লোকদের ধাওয়া -পাল্টা ধাওয়া ও সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। তবে কেও আহত হয়নি।। পরিস্থিতি নিয়ন্তন্রনে পুলিশ খাসেরহাট বাজারে অবস্থান করছেন।

এঘটনায় আ’লীগ নেতা রাশেদ খলিফা জানান, শুক্রবার রাতে আ’লীগের অস্থায়ী কার্যালয়ে দলীয় সভা করছিলাম। এ সময় সবেক উপজেলা চেয়ারম্যান আলতাফ মাষ্টারের ভাতিজা আলাউদ্দিন মিথ্যা অজুহাতে ঝগড়া লাগিয়ে সংঘর্ষের সৃষ্টি করেছে। আমাদের ৬ নেতা-কর্মী লক্ষ্মীপুর ও ঢাকা পঙ্গু হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন। চেয়ারম্যানের লোকদের অত্যাচার-জুলুম-হামলা থেকে বাঁচতে এ মামলা করেছি।

রায়পুর থানার ওসি আব্দুল জলিল জানান, আ’লীগের দুই পক্ষের হামলা-সংঘর্ষ রোধে ও পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে রাখতে পুলিশ অবস্থানে রাখা হয়েছে। এক পক্ষের মামলা হয়েছে।-কাউকে আটক করা হয়নি।

 

সর্বশেষ সংবাদ