৫৫০ পিস ইয়াবাসহ ২ কারারক্ষী আটক

সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে অনলাইনে অর্ডার দিলে মোটরসাইকেলে করে বরিশাল শহরের বিভিন্ন এলাকায় ইয়াবার চালান পৌঁছে দিত তারা। কিন্তু বিধি বাম হলো মঙ্গলবার (২৩ নভেম্বর) দুপুরে। নগরীর বিএম কলেজের প্রথম গেটের ঠিক বিপরীতে মল্লিক প্লাজার সামনে ধরা পড়ল চক্রটি। গোয়েন্দা পুলিশ প্রথমে সাধারণ ইয়াবা ব্যবসায়ী ভেবে আটক করলেও পরক্ষণেই জানতে পারেন তারা বরিশাল কেন্দ্রীয় কারাগারের কারারক্ষী। তিনজনের মধ্যে একজন পালিয়ে গেলেও এক কারারক্ষী ও তার সহযোগীকে ৫৫০ পিস ইয়াবাসহ আটক করা হয়েছে। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন মেট্রোপলিটন গোয়েন্দা পুলিশের উপ-পুলিশ পরিদর্শক রাফসান জানী। তিনি জানান, আটককৃতদের বিরুদ্ধে কোতয়ালী মডেল থানায় মামলা দায়ের করা হয়েছে। তাদের বরিশাল অতিরিক্ত চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে সোপর্দ করা হলে আদালত কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন। জানা গেছে, বরিশাল কেন্দ্রীয় কারাগারের কারারক্ষী (ব্যাচ নং-৪১৯৬৭) সালাউদ্দিন রাজা, কারারক্ষী (ব্যাচ নং-৪২৬৭৪) ইয়াছিন খান এবং তাদের সহযোগী নাঈমুল ইসলাম জিতু মিলে বরিশাল শহরে দীর্ঘদিন ধরেই ইয়াবা ব্যবসা করে আসছিল। তারই ধারাবাহিকতায় অনলাইনে অর্ডার পেয়ে মঙ্গলবার (২৩ নভেম্বর) দুপুর ১২টার দিকে বিএম কলেজ এলাকায় মোটরসাইকেলে করে ইয়াবা নিয়ে যায় তারা। খবর পেয়ে মেট্রোপলিটন গোয়েন্দা পুলিশ অভিযান চালালে কারারক্ষী সালাউদ্দিন রাজা কৌশলে পালিয়ে যায়। তবে আটক হয় অপর কারারক্ষী ইয়াছিন খান এবং সহযোগী নাইমুল ইসলাম জিতু। গোয়েন্দা উপ-পরিদর্শক রাফসান জানী জানান, আটককৃতদের দেহ তল্লাশীকালে নাইমুল ইসলাম জিতুর পরিহিত জিন্সের প্যান্টের বাম পাশের পকেট থেকে তিন প্যাকেটে ৫৫০ পিস ইয়াবা পাওয়া যায়। যার আনুমানিক বাজার মূল্য পৌনে তিন লাখ টাকা। এদের মধ্যে প্রধান আসামি নাইমুল ইসলাম জিতু বরগুনা জেলার আমতলী উপজেলার কুকুয়া ইউনিয়নের জসিম উদ্দিন মৃধার ছেলে। এছাড়া বরিশাল কেন্দ্রীয় কারাগারের কারারক্ষী ইয়াছিন খান বরগুনা জেলার বামনা উপজেলার ডৌয়াতলা ইউনিয়নের উত্তর কাকচিড়া গ্রামের শাহ আলম খানের ছেলে এবং পলাতক কারারক্ষী সালাউদ্দিন রাজা পটুয়াখালী জেলার বদরপুর ইউনিয়নের সিরাজ উদ্দিনের ছেলে। বরিশাল কেন্দ্রীয় কারাগারের সিনিয়র জেল সুপার প্রশান্ত কুমার বনিক বলেন, ইয়াবা ব্যবসায় জড়িত দুইজন কারারক্ষীর বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে। বিষয়টি আমরা জেনেছি। তাদের মধ্যে একজনকে আটক করেছে পুলিশ। তাকে আদালত কারাগারে পাঠিয়েছে। আমরা ওই কারারক্ষীকে আসামি হিসেবে কারাগারে পেয়েছি। অভিযুক্ত দুইজনের বিরুদ্ধেই বিধি মোতাবেক কারা কর্তৃপক্ষ ব্যবস্থা নিচ্ছে। এই কর্মকর্তা বলেন, ইয়াবা ব্যবসায় জড়িত কারারক্ষী দুজন ওইদিনও কেন্দ্রীয় কারাগারে দায়িত্ব পালন করেছিল।

সর্বশেষ সংবাদ