৬ হাজার তরমুজ গাছ কর্তন, কৃষকের আহাজারি

পটুয়াখালীর গলাচিপায় জমি সংক্রান্ত বিরোধের জেরে প্রতিপক্ষের বিরুদ্ধে এক কৃষকের সাড়ে ৬ হাজার ফলন্ত তরমুজ গাছ কর্তনের অভিযোগ উঠেছে। শুক্রবার (১৮ ফেব্রুয়ারি) রাতে উপজেলার গ্রামার্দন গ্রামের কৃষক গিয়াস উদ্দিনের ক্ষেতে এ ঘটনা ঘটে। এতে ওই কৃষকের প্রায় ২০ লাখ টাকার ক্ষতি হয়েছে। এছাড়া ওই কৃষককে মারধরও করা হয় বলে জানিয়েছে ওই কৃষক। কৃষক গিয়াস জানায়, শুক্রবার বিকেলে জমি সংক্রান্ত বিরোধের জেরে গিয়াস উদ্দিনকে মারধর করে ওই এলাকার জহিরুল মৃধা ও মনিরুল মৃধাসহ বেশ কয়েকজন। এ ঘটনায় সন্ধ্যায় ওই দুইজনসহ ৯ জনের নাম উল্লেখ করে গলাচিপা থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেন গিয়াসের স্ত্রী আছমা বেগম। এ ঘটনাকে কেন্দ্র করেই গভীর রাতে তরমুজ গাছগুলো উপড়ে ফেলা হয়েছে বলে দাবি তার। বর্তমানে গিয়াস বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। কৃষক গিয়াস উদ্দিনের স্ত্রী আছমা বেগম বলেন, আমার স্বামীকে ১০/১৫ জন মিলে একসঙ্গে মেরেছে। তার ডান হাত কুপিয়ে জখম করা হয়েছে। গলাচিপা হাসপাতালে নেওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই বরিশালে রেফার করা হয়। রাতে আমাদের তরমুজ খেতের সকল গাছ উপড়ে ফেলা হয়েছে। আমরা একেবারে নিঃস্ব হয়ে গেলাম। এ বিষয়ে জহিরুল মৃধা ও মনিরুল মৃধার মুঠোফোনে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তা সম্ভব হয়নি। গলাচিপা উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা আরজু আক্তার জানান, জমিজমা সংক্রান্ত বিরোধের জেরে এ ঘটনা ঘটানো হয়েছে। কী পরিমাণে তরমুজ গাছ ওপরে ফেলা হয়েছে সেটা এখনও নিশ্চিত বলা যাচ্ছে না। তবে অনেকটা ক্ষতি হয়েছে। গলাচিপা থানার ওসি শওকত আনোয়ার জানান, মাধরের অভিযোগ পেয়েছি। অভিযুক্তদের গ্রেফতারে সর্বোচ্চ চেষ্টা অব্যাহত রয়েছে। এছাড়া সরেজমিনে পরিদর্শনে তরমুজ গাছ কর্তনের সত্যতা পেয়েছি। তবে এ ঘটনায় এখনো আলাদা অভিযোগ পাইনি। অভিযোগ পেলে ব্যবস্থা নেব।

সর্বশেষ সংবাদ