চাঁদাবাজির অভিযোগে পৌর মেয়রসহ ২৪ জনের বিরুদ্ধে মামলা

চাঁদাবাজির অভিযোগে যশোরের কেশবপুর পৌরসভার মেয়র রফিকুল ইসলাম মোড়লসহ ২৪ জনের নামে আদালতে মামলা হয়েছে। রোববার (১৩ মার্চ) কেশবপুরের বোগতী নরেন্দ্রপুর গ্রামের মনিরুল ইসলামের স্ত্রী মোমতাজ বাদী হয়ে এ মামলা করেন। জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের বিচারক আরমান হোসেন অভিযোগটি পিবিআইকে তদন্ত করে প্রতিবেদন জমা দেওয়ার আদেশ দিয়েছেন। মামলার অপর আসামিরা হলেন- ভোগতী নরেন্দ্রপুর গ্রামের আরিফ, বরনডালি গ্রামের রেজা হাসান সবুজ, বেগমপুর গ্রামের ওয়াহিদ্জ্জুামন, শহিদ, আলাউদ্দিন, রবিউল, চন্টা, সোবহান, আকতার, আমিনুর, বারুইহাটি গ্রামের আলমগীর সিদ্দিক টিটু, মধ্যকুল গ্রামের কামরুজ্জামান, সাইফুল, বাপ্পি, জিল্লুর রহমান, শামীম, সাবদিয়া গ্রামের মুন্না, মো. মুন্না, কেশবপুর সাহাপাড়ার মাহি, বায়শা গ্রামের কবির হোসেন, মুস্তাসিন ও বরনডালি গ্রামের জামাল। মামলার অভিযোগে উল্লেখ করা হয়েছে, ভোগতী নরেন্দ্রপুর গ্রামের মনিরুজ্জাম ও তার স্ত্রী মোমতাজ তাদের গ্রামে মেসার্স জামান ব্রিকস নামে একটি ইটভাটা পরিচালনা করে আসছেন। ৬ মাস আগ থেকে আসামিরা মনিরুজ্জামানের কাছে ১০ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করে আসছিল। গত ৫ মার্চ রাতে আসামিরা মনিরুজ্জামানের ইটের ভাটায় যান। এরপর তারা অফিসে গিয়ে চাকুর ভয় দেখিয়ে ৫ দিনের মধ্যে চাঁদার ১০ লাখ টাকা দিয়ে দিতে বলেন। সময়মত চাঁদার টাকা পরিশোধ না করায় ১২ মার্চ সকালে আসামিরা ভাটা গিয়ে চাঁদার টাকা দাবি করে হামলা ও ভাংচুর শুরু করেন। এ সময় কেশবপুর থানা পুলিশকে জানালে দুইজন পুলিশ কর্মকর্তা এসে আসামিদের পক্ষ নিয়ে চাঁদাবাজিতে সহযোগিতা করেন। আসামিরা পুলিশের উপস্থিতিতে ভাটার লোকজনদের মারপিট করে একটি ট্রাক্টর ও অফিসের ক্যাশবক্স থেকে সাড়ে ৩ লাখ টাকা নিয়ে যায়। আসামিরা প্রভাবশালী হওয়ায় তিনি আদালতে এ মামলা করেছেন। এ বিষয়ে জানতে চাইলে মেয়র রফিকুল ইসলাম মোড়ল বলেন, রাজনৈতিক প্রতিহিংসা চরিতার্থ করতে মিথ্যা অভিযোগে মামলা দেয়া হয়েছে। এর আগেও চক্রটি তিনটি মামলা করেছিল। সেগুলো তদন্ত প্রমাণিত না হওয়ায় পুলিশ ফাইনাল রিপোর্ট দিয়েছে।

সর্বশেষ সংবাদ