ডিসি-ইউএনওর নাম ভাঙ্গিয়ে প্রতারণা, অবশেষে ধরা

বাগেরহাট জেলা প্রশাসক ও সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার নাম ভাঙ্গিয়ে প্রতারণার অভিযোগে এক ব্যক্তিকে আটক করেছে পুলিশ। রোববার (১৮ সেপ্টেম্বর) গভীর রাতে বাগেরহাট পৌরসভার সোনাতলা এলাকা থেকে মো. ফিরোজ আলী খন্দকার (৪৫) নামের ওই ব্যক্তিকে আটক করা হয়। আটক মো. ফিরোজ আলী খন্দকার গোপালগঞ্জ জেলার কোটালিপাড়া উপজেলার নোয়াদা এলাকার মৃত মোকসেদ আলী খন্দকারের ছেলে। সদর উপজেলার আলামিন হোসেন নামের এক ভুক্তভোগী বলেন, কিছুদিন পূর্বে ফিরোজ খন্দকারের সাথে আমার পরিচয় হয়। সে আমাকে সরকারি ভাবে বিদেশ যাওয়ার প্রস্তাব দেয়। আমি রাজি হলে অনলাইন আবেদন, মেডিকেল টেস্ট ও পুলিশ ক্লিয়ারেন্স বাবদ ১২ হাজার টাকা নেয়। পরে তার দেয়া একটি একাউন্টে ৫০ হাজার টাকা জমা দিতে বললে আমার সন্দেহ হয়। তখন আমি বিষয়টি সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে জানালে তিনি আমাকে থানায় অভিযোগ দিতে বলেন। শুনেছি আমাদের এলাকার আরও কয়েকজনের সাথে সে এমন প্রতারণা করেছে। ভয়াবহ তথ্য আটককৃতের বিষয়ে বাগেরহাটের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মাহামুদ হাসান বলেন, ফিরোজ আলী খন্দকার বাগেরহাট সদর উপজেলার বিভিন্ন এলাকার ২০ থেকে ২৫ জন ব্যক্তিকে জেলা প্রশাসক ও সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার মাধ্যমে কানাডা, রোমানিয়া, মালয়শিয়াসহ ইউরোপের বিভিন্ন দেশে নেয়ার কথা বলে ডাক্তারি পরীক্ষা করিয়েছেন। এ বাবদ ভুক্তভোগীদের কাছ থেকে মোটা অংকের টাকা হাতিয়ে নিয়েছেন তিনি। এছাড়া বিশ্বাসযোগ্যতা অর্জনের জন্য বাগেরহাট থেকে ২২০ জন সরকারি ব্যবস্থাপনায় বিদেশ যেতে পারবে বলে প্রচার চালিয়েছেন। পরবর্তীতে প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংক থেকে সাড়ে ৬ লাখ টাকা ঋণ পাইয়ে দেয়ারও আশ্বাস দেন।

সর্বশেষ সংবাদ