নাটোরে ভুয়া কাগজে স্কুল শিক্ষকের অভিনব ঋণ জালিয়াতি

নাটোর প্রতিনিধি: নাটোরের সিংড়া উপজেলায় জমির ভুয়া দলিল ও কাগজপত্র দিয়ে ব্যাংক ঋণ নিয়ে আত্মসাতের অভিযোগ উঠেছে স্কুল শিক্ষক  আব্দুর রবের বিরুদ্ধে। ওয়ারিশগণের জমিতে ভুয়া দলিল ও কাগজের মাধ্যমে জমি বন্ধক রেখে ইসলামী ব্যাংক নাটোর শাখা হতে মেসার্স রঙ্গন এন্টারপ্রাইজের নামে ৬০লক্ষ টাকা ব্যাংক ঋণ নিয়েছে আব্দুর রব।
পরিবার সূত্রে জানা যায়, নাটোর জেলার গুরুদাসপুর উপজেলার চন্দ্রপুর মৌজায় পারিবারিক পুকুর ও জমি রয়েছে। সেখানে ২১জন অংশিদার থাকলেও আব্দুর রব জাল দলিলের মাধ্যমে জমি বন্ধক রেখে ঋণ নেয়। জমি বন্ধক থাকায় অন্য অংশিদাররা তাদের নিজ জমি হতে বঞ্চিত হচ্ছে।
ভুক্তভোগী অংশীদার রমজানুল আলম ও নাজাতুল সাব্বির জানিয়েছেন, পুকুরে তাদের ভাগ অভিযুক্ত রবের তুলনায় অধিক থাকা সত্ত্বেও তাদের না জানিয়ে জালিয়াতির মাধ্যমে জমি ব্যাংকের কাছে বন্ধক রেখে মোটা অংকের ঋণ গ্রহণ করেছে রব। তারা আরোও জানিয়েছেন, নামমাত্র লিজমানি দিয়ে দীর্ঘদিন যাবত আব্দুর রব পুকুরটি ভোগদখল করে আসছিলেন। পরে তিনি জালিয়াতির মাধ্যমে ঋণ গ্রহণ করেন।
আরেক অংশিদার রেজাউল করিম জানিয়েছেন, কাউকে না জানিয়েই রব এ প্রতারণা করেছেন। যা নিয়ে তিনি উদ্বিগ্ন।
অন্যান্য অংশীদারগণ জানান, আব্দুর রব প্রতারণার মাধ্যমে কাউকে না জানিয়ে জাল কাগজপত্রের মাধ্যমে উক্ত জমি বন্ধক ঋণ উত্তোলণ করেছেন। উক্ত জমিতে আব্দুর রবের জমির পরিমাণ প্রায় দেড় বিঘার মতো থাকলেও তিনি ভুয়াভাবে প্রায় ৯বিঘা জমি বন্ধক রেখে এ ঋণ গ্রহণ করেছেন। এ ব্যাপারে ভুক্তভোগী অংশীদারগণ আইনগত পদক্ষেপ গ্রহণের প্রস্তুতি নিচ্ছেন বলে জানিয়েছেন।
অভিযুক্ত আব্দুর রব জানিয়েছেন, বড় পরিবার বিধায় জমিজমায় ভুল থাকতে পারে। আমরা পারিবারিকভাবে বসে সমাধান করবো
ইসলামী ব্যাংক নাটোর শাখার ব্যবস্থাপক জানান, এ ব্যাপারে অভিযোগ পেয়েছি। বিষয়টি তদন্তপূর্বক ব্যবস্থাগ্রহণের জন্য আইনজীবীকে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
বিশেষজ্ঞদের মতে, এ ধরনের ঘটনা যেন বারবার না ঘটে এজন্য দায়ীদের বিরুদ্ধে ফৌজদারি বিধি অনুযায়ী শাস্তির ব্যবস্থা প্রয়োজন। নয়তো ব্যাংকগুলো ক্ষতির সম্মুখীন হবে।

সর্বশেষ সংবাদ