বগুড়ায় বিশ্ব এ্যানেসথেসিয়া দিবস উদযাপন

নিজস্ব প্রতিবেদক-র‌্যালি, আলোচনাসহ নানা আয়োজনের মধ্য দিয়ে বগুড়ায় ১৭৬ তম বিশ্ব এ্যানেসথেসিয়া দিবস উদযাপন করা হয়েছে।
বাংলাদেশ সোসাইটি অব এনেসথেসিওলজিষ্টস ক্রিটিক্যাল কেয়ার এন্ড ফিজিসিয়ান (বিএসএ-সিসিপিপি) জেলা শাখার উদ্যোগে গতকাল রোববার সকালে বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালে এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।
এদিন সকাল ৯টার দিকে একটি বর্ণাঢ্য র‌্যালি হাসপাতাল এলাকার বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ শেষে কনফারেন্স রুমে এক আলোচনা সভা করা হয়।
বাংলাদেশ সোসাইটি অব এনেসথেসিওলজিষ্টস ক্রিটিক্যাল কেয়ার এন্ড ফিজিসিয়ান (বিএসএ-সিসিপিপি) জেলা শাখার সভাপতি ডা. নিতাই চন্দ্র সরকারের সভাপতিত্বে এতে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালের অধ্যক্ষ ডা. রেজাউল আলম জুয়েল।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি বলেন, আজ বিশ্ব এনেসথেসিয়া দিবস। আজকের দিনটিকে ইথার ডেও বলা হয়। ১৮৪৬ সালে ডায়েথিল ইথারের এনেসথেসিয়ার সফল প্রয়োগের পর এই দিনটিকে অ্যানাস্থেসিয়া দিবস হিসেবে পালন করা হয়। যে কোনও অপারেশনের আগে রোগীকে অচেতন করতেই এনেসথেসিয়া প্রয়োগ করা হয়। চিকিৎসকের পরামর্শ মতো এবং গুরুত্ব বুঝেই এনেসথেসিয়া প্রয়োগ করেন বিশেষজ্ঞ।
অপারেশনের সময় রোগী যাতে কোনও যন্ত্রনা, কষ্ট অনুভব করতে না পারেন সেই কারণেই তাঁর দেহের নির্দিষ্ট কোনও অঙ্গ কিছু সময়ের জন্য অসাড় করে দেওয়া হয়। এই পদ্ধতি রোগীর জন্য আরামদায়ক ও নিরাপদ। কারণ এতে অপারেশন পরবর্তী যন্ত্রণা কিছুটা হলেও কম টের পান রোগী।
সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক মোসলেহ উদ্দিন রাসেলের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন শজিমেক পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মোহম্মদ মহসিন, ডেপুটি ডিরেক্টর ডা. আব্দুল ওয়াদুদ, ভাইস প্রিন্সিপাল ডা. সুশান্ত কুমার সরকার, মোহাম্মাদ আলী হাসপাতালের তত্বাবধায়ক ডা. নুরুজ্জামান সঞ্চয়, ডা. জাকারিয়া রানা, বীর মুক্তিযোদ্ধা আশরাফ সাঈদসহ প্রমুখ।
শেষে দিবসটি উদযাপন উপলক্ষে কেক কর্তন করেন অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথিসহ অন্যান অতিথিরা।

সর্বশেষ সংবাদ