বগুড়া শজিমেক হাসপাতালে আনসার সদস্যদের হাতে পুলিশের এএসআই ও তার স্ত্রী মারধরের শিকার

স্টাফ রিপোর্টার:বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ (শজিমেক) হাসপাতালে সস্তানের চিকিৎসা করাতে এসে আনসার সদস্যদের হাতে এক পুলিশ সদস্য ও তার স্ত্রীকে মারধরের শিকারের অভিযোগ উঠেছে। সোমবার বেলা পৌণে ১১টার দিকে হাসপাতালের শিশু ওয়ার্ডে ওই ঘটনা ঘটে।মারধরের শিকার সিরাজগঞ্জের চৌহালি থানার এএসআই সাহিদুল ইসলাম ও তার স্ত্রী রুমা খাতুন। তবে মারধরের অভিযোগ অস্বীকার করেছে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ।হামলার শিকার পুলিশ সদস্য সাহিদুল ইসলাম জানান, তার দেড় মাস বয়সী ছেলে সিয়াম মাহমুদ নিউমোনিয়ায় আক্রান্ত। চারদিন আগে তাকে শজিমেক হাসপাতালে শিশু ওয়ার্ডে ভর্তি করা হয়। সেই থেকে তিনি এবং তার স্ত্রী হাসপাতালেই অবস্থান করছেন। সোমবার সকালে তিনি ওয়ার্ডের বাইরে থাকার সময় বাইরে যান। সকাল সাড়ে ১০টার দিকে মোবাইল ফোনে স্ত্রী রুমা খাতুন জানান, ছেলে সিয়াম মাহমুদকে ইনজেকশন দেওয়ার জন্য ওয়ার্ডের বাইরে নিয়ে যেতে হবে। ফিরে না আসা পর্যন্ত যেন তিনি ওয়ার্ডের ভেতর এসে নির্ধারিত বেডে বসে সেখানে থাকা পাশ সহ প্রয়োজনীয় সরঞ্জামগুলো দেখে রাখেন।পুলিশের এএসআই সাহিদুল ইসলাম বলেন, ‘স্ত্রীর ফোন পেয়ে বেলা পৌণে ১১টার দিকে আমি পাঁচ তলায় শিশু ওয়ার্ডের সামনে যাই। ততক্ষণে চিকিৎসকদের রাউন্ড দেওয়াও শেষ হয়ে গেছে। আমি নিজের পরিচয় দিয়ে ভেতরে যেতে চাইলে গেটে কর্তব্যরত আনসার সদস্যরা আমাকে বাধা দেন। এ নিয়ে তাদের সঙ্গে কথা বলার সময় এক আনসার সদস্য আমাকে অকথ্য ভাষায় গালি গালাজ শুরু করে। তখন আমার স্ত্রী সেখানে এসে আমাকে বাধা দেওয়ার কারণ চাইতে চাইলে আনসার সদস্যরা আরও ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠেন। এক পর্যায়ে রুবেল নামে এক আনসার সদস্য আমার স্ত্রীর গালে থাপ্পড় দেন। রাগ সামলাতে না পেরে আমার স্ত্রীও তাকে আঘাত করে। এর পর পরই সেখানে থাকা আনসার সদস্য শফিকুল ইসলাম, সাদ্দাম হোসেন ও মোমিন আমাকে এলোপাথারি মারধর শুরু করে। এক পর্যায়ে আমার তলপেটেও লাথি দেয়।’ওই ঘটনায় হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের কাছে কোন অভিযোগ দিয়েছেন কি’না- এমন প্রশ্নের জবাবে এএসআই সাহিদুল ইসলাম দুপুর একটার দিকে বলেন, ‘না এখন পর্যন্ত কোন অভিযোগ দিইনি। তবে হাসপাতালের পরিচালক স্যার আমার কাছ থেকে ঘটনার বর্ণনা শুনতে চেয়েছেন। আমি বর্তমানে তাঁর অফিসের সামনে অপেক্ষা করছি।চৌহালি থানার ওসি হারুণ অর রশিদ জানান, সন্তানের চিকিৎসার জন্য এএসআই সাহিদুল ইসলাম ছুটি নিয়েছেন। তাকে মারধরের অভিযোগ পাওয়ার পর বিষয়টি পুলিশ সুপার মহোদয়কে জানানো হয়েছে।সিরাজগঞ্জের পুলিশ সুপার আরিফুর রহমান মন্ডল জানান, বিষয়টি বগুড়ার পুলিশ সুপারকে অবহিত করা হয়েছে।তবে অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে শজিমেক হাসপাতালের উপ-পরিচালক ডা. আব্দুল ওয়াদুদ জানান, কোন মারধরের ঘটনা ঘটেনি। তবে কথা কাটাকাটি হয়েছে। বিষয়টি নিয়ে আমরা পরিচালক স্যারের অফিসে বসেছি। দুই পক্ষের কথা আমরা শুনছি।’

 

সর্বশেষ সংবাদ