রেলওয়ে মহাপরিচালক পদ পেতে প্রতিযোগিতা চলছে নিয়োগ বিধিমালা-২০২০ সংশোধনের খবর নাই

নিজস্ব প্রতিনিধি: বাংলাদেশ রেলওয়ের বর্তমান মহাপরিচালকের অবসরের সময় যতই ঘনিয়ে আসছে ততই মহাপরিচালকের পদ পেতে চলছে চরম অস্থিরতা ও আগ্রহী প্রার্থীদের মধ্যে শুরু হয়েছে অসম প্রতিযোগিতা। অতীত হতে বর্তমান কোন কালেই যোগ্যতার মাপকাঠিতে বিচার বিবেচনা করে মহাপরিচালক নিয়োগ পেয়েছেন কিনা সন্দেহ? করে দুর্নীতি, স্বজনপ্রীতি, রাজনৈতিক প্রভাব, শক্তি সামর্থের হুংকারে ডিজি পদে লড়াই চলে। এই সময় রেলের কাজকর্ম হয়ে পড়ে গতিহীন এবং দলভারী ও বদলের পালার প্রভাবে রেল প্রশাসনের উপর থেকে নিচে পর্যন্ত কর্মকর্তা—কর্মচারীদের মধ্যে প্রভাব ফেলে, ফলে সংকটময় ক্রান্তিকাল পরিক্রমা পার করতে হয়।

বর্তমান মহাপরিচালকের অবসর জনিত শূন্য পদে যিনি সকলের সিনিয়র তিনি হওয়াই শ্রেয় কিন্তু দুর্ভাগ্য হলেও সত্য যে, তিন জনের মধ্যে সরাসরি ও গোপনে জোর লড়াই চলছে। সিনিয়র পরবর্তী জুনিয়র এবং তৎপরবর্তী ব্যক্তি জিএম পদ মর্যাদার মধ্যে লড়াই যতই দিন ঘনিয়ে আসছে ততই একে অপরের দুর্গন্ধ বাতাসে ছড়াচ্ছেন। পানি ঘোলা করে পদ দখলের ঘৃনিত অপচেষ্টা চলছে।

অথচ মহাপরিচালক ডিএন মজুমদারকে আহ্বায়ক করে গত ২৭ ডিসম্বের ২০২১ইং তারিখে ১৮ সদস্য বিশিষ্ট নিয়োগ বিধিমালা ২০২০ সংশোধনে কমিটি গঠন করা হলেও প্রায় ১১ মাস অতিবাহিত হলেও সংশোধনের কোন আলামত দেখা যাচ্ছে না। এরই ফাঁকে নতুন নিয়োগ বিধিমালা—২০২০ অনুযায়ী একের পর এক শূন্য পদ পূরণের বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ ও লিখিত—মৌখিক পরীক্ষা সমাপনান্তে ফলাফল ঘোষণা এবং লোকবল নিয়োগ কার্যক্রম পরিচালনা করে আসছে। যা আইনের চরম লংঘন এবং রেলওয়ে শ্রমিক—কর্মচারী ও রেল পোষ্যদের অধিকার লুন্ঠিত হচ্ছে। ফলে ভুক্তভোগীরা আইন—আদালতের দারস্থ হচ্ছেন, রেলওয়ে ভাবমূর্তি নষ্ট হচ্ছে। অথচ প্রথম শ্রেণীর কর্মকর্তা নিয়োগ, পদোন্নতি সচল রেখে ১০—২০ তম গ্রেডের পদোন্নতি যোগ্যদের পদোন্নতি না দেওয়ায় তারা হতাশায় ভুগছে। অন্যদিকে মহাপরিচালক পদ নিয়ে কাড়াকাড়ি চলছে। এক দেশে কতো ধরনের নিয়ম নীতি অনুসরণ করা হচ্ছে।

রেলওয়ে শ্রমিক—কর্মচারী ও পোষ্যরা চান তাদের অধিকার প্রতিষ্ঠা হোক এবং রেল শ্রমিক—কর্মচারী ও রেল পোষ্যবান্ধব একজন রেলওয়ের নতুন মহাপরিচালক হিসেবে নিয়োগপ্রাপ্ত হোক। এ বিষয়ে তারা দুর্নীতি ও স্বজনপ্রীতি এড়াতে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।

সর্বশেষ সংবাদ