অবাধ যৌন মিলনে দেশে এইডস রোগী বৃদ্ধি পাচ্ছে : চট্টগ্রামে জাতীয় রোগী কল্যাণ সোসাইটি

প্রেস বিজ্ঞপ্তি-১ ডিসেম্বর বিশ্ব এইডস দিবস উপলক্ষে বাংলাদেশের সকল মানুষের সুচিকিৎসার বাস্তবায়নের জন্য কাজ করে যাচ্ছেন জাতীয় রোগী কল্যাণ সোসাইটির চট্টগ্রাম জেলা শাখার  উদ্যোগে এইডস সম্পর্কে জনসচেতনতা তৈরিতে আলোচনা সভা ও বিনামূল্যে ওষুধ বিতরণ ভাটিয়ারীস্থ কার্যালয়ে বিকাল ৩ টায় কর্মসূচির আয়োজন করে।
জাতীয় রোগী কল্যাণ সোসাইটির প্রতিষ্ঠাতা সদস্য  মুহাম্মাদ সাইফুল ইসলাম চৌধুরীর সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশের বিশিষ্ট গবেষক ও জাতীয় রোগী কল্যাণ সোসাইটির প্রতিষ্ঠাতা ডা.মুহাম্মাদ মাহতাব হোসাইন মাজেদ। প্রধান আলোচক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জাতীয় রোগী কল্যাণ সোসাইটির প্রতিষ্ঠাতা সদস্য ডা.শাহাদাৎ হোসাইন,মানবাধিকার সংস্থার স্বাস্থ্য বিষয়ক সম্পাদক ডা.জামাল উদ্দিন জাতীয় কল্যাণ সোসাইটির নোয়াখালী জেলা শাখার সদস্য সচিব মুহাম্মাদ আনোয়ার হোসাইন,কক্সবাজার জেলা শাখার সদস্য সচিব ডা.আবদুল হালিম।প্রধান অতিথি তার বক্তব্যে বলেন, সারাবিশ্বে ১৯৮৮ সালের ১ ডিসেম্বর থেকে বিশ্ব এইডস দিবস পালন করা হচ্ছে।  এইডস আর এইচআইভি ভাইরাস এক না। এইচআইভি ভাইরাস আর এইডস অসুস্থতা। হিউম্যান ইমিউলো ডেফিসিয়েন্সি যাকে সংক্ষেপে বলে এইচআইভি। এইডস হচ্ছে চূড়ান্ত পরিনতি যার মাধ্যমে মৃত্যু অবধারিত।  পরিসংখ্যানে দেখা গেছে সারা পৃথিবীতে বর্তমান রোগের সংখ্যা ৪ কোটি ৪১ লাখ ৩৬ হাজার ১৩৪ জন। এখন পর্যন্ত মৃত্যুবরণ করেছে ১৫ লাখ ৪০ হাজার ৬৯ জন। বাংলাদেশে বর্তমানে ২৮ দশমিক ৫ শতাংশ নারী এইডস সম্পর্কে বিশেষ কিছু জানেনা। তবে ৭১ দশমিক ৫ শতাংশ নারী এইডস সম্পর্কে বেশ ধারণা রাখে। ভাইরাসের সবগুলো বাহক সম্পর্কে জানে ৩৬ শতাংশ নারী। মূলত অনিয়ন্ত্রিত ও  অনিরাপদ যৌন মিলনের ফলে এইচআইভি এইডস হওয়ার ঝুঁকি বেশি। নিরাপদ রক্ত গ্রহণ, অন্যের ব্যবহৃত খুর বা ব্লেট ব্যবহার থেকে বিরত থাকা। এইচআইভি এইডস হলে ওজন কমে যাওয়া, ডায়রিয়া হওয়া, জ্বর, টিভি রোগ হতে পারে। বর্তমানে বাংলাদেশে এইডস রোগীর সংখ্যা সঠিক ভাবে জানা যায়নি। আর বর্তমান সময়ে সামাজিক অবক্ষয় ও অস্থিতিশীলতার কারণে মানুষের নৈতিকতা ও মানবিক মূল্যবোধ দিন দিন কমে আসছে। যার ফলে লিভ টুগেদার অর্থাৎ বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্ক দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে। বাংলাদেশে এই বিষয়ে সুনির্দিষ্ট আইন না থাকার ফলে সামাজিক বহির্ভূত সম্পর্ক বৃদ্ধি পাওয়ায় এইডস রোগের পরিমাণ বৃদ্ধি পাচ্ছে।আর আমাদের সবাইকে সামাজিক মূল্যবোধ বৃদ্ধি ও জ্ঞানের চর্চা করতে হবে। সবাইকে ধর্মীয় চর্চা ও সুস্থ সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডের মাধ্যমে আগামীর দিনগুলোকে পরিচালিত করতে হবে। আগামী প্রজন্মের জন্য নিরোগ ও পরিবেশবান্ধব বাংলাদেশ গড়তে সবাইকে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করতে হবে।আমরা জাতীয়  রোগী কল্যাণ সোসাইটি রোগীর স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিতের জন্য জনসচেতনতা তৈরি ও প্রতিকারের জন্য কাজ করে যাচ্ছি। আজকে বিশ্ব এইডস দিবস উপলক্ষে বিনামূল্যে ওষুধ বিতরণের ব্যবস্থা করেছি। দেশের প্রত্যেকটি ডাক্তার যদি রোগীদের কল্যাণ চিন্তা করে তাহলে মানবিক বাংলাদেশ গড়ে তোলা খুব সহজ। আগামীর  দিনগুলোতে জনগণের স্বাস্থ্য সেবা নিশ্চিত করতে আমাদের সংগঠন ধারাবাহিক কর্মসূচি চালিয়ে যাবে।

সর্বশেষ সংবাদ