গণতন্ত্র উদ্ধারের জন্যই বিএনপি আন্দোলনে মাঠে নেমেছে-ইকবাল হাসান মাহমুদু টুকু

প্রেস রিলিজ-বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ইকবাল হাসান মাহমুদু টুকু বলেছেন, গণতন্ত্র ছিল না বলেই ১৯৭১ সালে মহান মুক্তিযুদ্ধে লাখো মানুষ রক্ত দিয়ে বাংলাদেশ স্বাধীন করেছিল। কিন্তু গত ২০০৮ সাল থেকে এই গণতন্ত্র হারিয়ে গেছে। সেই গণতন্ত্র উদ্ধারের জন্যই বিএনপি আন্দোলনে মাঠে নেমেছে। আমরা গণতন্ত্র পুনপ্রতিষ্ঠার ১০ দফা দিয়েছি যে, সরকার ক্ষমতা ছেড়ে নির্দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচন দিতে হবে। কেন দিতে হবে তা ১০ দফার মধ্যে উল্লেখ আছে। আমরা ২৭ দফা দিয়েছি রাষ্ট্রকে মেরামত করতে। এই ফ্যাসিস্ট সরকার যে দেশের রাষ্ট্র কাঠামো ভেঙে ফেলেছে সেটাকে মেরামত করার জন্যই আমাদের ২৭ দফা। বিএনপি ক্ষমতায় আসলে আমাদের কি দিবে এই প্রশ্ন জনগণের মনে আছে। সেই সকল প্রশ্নের উত্তর-ই এই ২৭ দফায় আছে। আর এগুলোই জনগণকে বোঝাতে হবে। আজ বৃহস্পতিবার সকালে বগুড়া জেলা বিএনপির উদ্যোগে দলীয় কার্যালয়ের বিএনপি ঘোষিত আন্দোলনের ১০দফা এবং রাষ্ট্র কাঠামো মেরামতের রূপরেখা বিষয়ে ব্যাখ্যা ও বিশ্লেষণধর্মী আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। টুকু আরো বলেন, ‘বাম নেতারা বলেছেন, বিএনপি যে ২৭ দফার রূপরেখা দিয়েছে, সেটি যেন ভবিষ্যতে বাস্তবায়ন করা হয়। সেইসাথে আগামীতে নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নির্বাচন হলে এবং সে নির্বাচনে জয়ী হলে আন্দোলনকারী দলগুলোকে নিয়ে জাতীয় সরকার করে ২৭ দফা বাস্তবায়ন করে দেশকে পরবর্তী প্রজন্মের জন্য বাসযোগ্য করতে হবে। মুক্তিযুদ্ধের অঙ্গীকার- গণতান্ত্রিক বাংলাদেশ, অর্থনৈতিক মুক্তি আনতে হবে। তিনি বলেন, বিএনপি কেন সরকার পতনের ১০ দফা দাবি এবং রাষ্ট্র কাঠামোর মেরামতের জন্য ২৭ দফা রূপরেখা দিয়েছে সেগুলো তৃণমূল নেতাদের মাধ্যমে জনগণের কাছে পৌঁছানোর জন্যই বিএনপি সারাদেশে বিশ্লেষনধর্মী সভা করছে। এ সভা থেকে নেতারা আন্দোলনের লক্ষ্য ও উদ্দেশ্যে জেনে-বুঝে তা সাধারণ জনগণের মাঝে ছড়িয়ে দিয়ে জনগণকে গণতন্ত্র উদ্ধারের আন্দোলনে সক্রিয় করবে। ইকবাল হাসান মাহমুদু টুকু বলেন, আপনারা সবাই জানেন আমাদের চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া মিথ্যা ভিত্তিহীন মামলায় রাজনৈতিক কারণে গৃহবন্দি অবস্থায় আছেন। একই অবস্থা আমাদের দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানও। তিনি বিদেশে থাকতে বাধ্য হচ্ছেন। আমাদের দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস ও সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভীসহ বহু নেতাকর্মী গ্রেপ্তার হয়ে কারাবন্দি অবস্থায় আছেন। তাদের জন্য সবাই দোয়া করবেন। তাদেরকে যেন আমরা মুক্ত করতে পারি। দেশবাসীর কাছে আহ্বান জানিয়ে বিএনপির এই নেতা বলেন, আপনারা আমাদের চলমান গণতান্ত্রিক আন্দোলনে আমাদের পাশে থাকুন। যাতে করে আমাদের নেতৃবৃন্দ মুক্ত হয়ে আপনাদের পাশে দাঁড়াতে পারেন। ইকবাল হাসান মাহমুদু টুকু বলেন, আপনারা জানেন, আমার-আপনার নেত্রী ও গণতন্ত্রের মাতা বেগম খালেদা জিয়া শীতের রাতে অসহায় মানুষের মাঝে শীতবস্ত্র বিরতণ করতেন। আপনারা সবাই দোয়া করবেন, হঠাৎ করে যেন আপনাদের নেত্রী গৃহবন্দী অবস্থা থেকে মুক্ত হয়ে আপনাদের পাশে দাঁড়াতে পারে। নিশ্চিয়ই আপনারা খুশী হবেন।
বগুড়া জেলা বিএনপির সভাপতি ও পৌর মেয়র মোঃ রেজাউল করিম বাদশা সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় বিশেষ অতিথি হিসাবে বক্তব্য রাখেন বিএনপির রাজশাহী বিভাগীয় সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক ওবায়দুর রহমান চন্দন। আরো বক্তব্য রাখেন বগুড়া জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আলী আজগর তালুকদার হেনা, জেলা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক সহিদ উন নবী সালাম, কে এম খায়রুল বাশার ও জাহিদুল ইসলাম। আলোচনা সভায় জেলা, উপজেলা ও পৌর বিএনপিসহ সকল অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের সকল পর্যায়ের নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।

সর্বশেষ সংবাদ