তানোরে নিম্মমানের ড্রেন নির্মান ও রাস্তা সংস্কারের নামে হরিলুট

তানোর প্রতিনিধি: রাজশাহীর তানোরে নিম্মমানের সামগ্রী দিয়ে ড্রেন নির্মান ও মাটির রাস্তা নাম মাত্র সংস্কার করে বরাদ্দের সিংহভাগ টাকা তসরুপ করা হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। উপজেলার কলমা ইউনিয়ন(ইউপির) ঘৃতকাঞ্চন গ্রামে ড্রেন নির্মান ও সালতালা শুরি পুকুরে মাটির রাস্তা সংস্কারের ঘটনাটি ঘটে রয়েছে। এতে করে স্থানীয়দের মাঝে চরম ক্ষোভ বিরাজ করছে। এ দুটি কাজসহ কাবিটা প্রকল্পের প্রতিটি কাজের বিষয়ে সরেজমিন তদন্ত করলেই বেরিয়ে আসবে ভয়াবহ অনিয়ম দুর্নীতি বলে দাবি এলাকা বাসীর।
শনিবার সরেজমিনে দেখা যায়, উপজেলার কলমা ইউপির ঘৃতকাঞ্চন গ্রামের ওয়াজেদের বাড়ির উত্তরে ও পাকা রাস্তার দক্ষিনে ১৫০ ফিট ড্রেন নির্মান করা হয়েছে। যার বরাদ্দ ৩ লাখ টাকা। প্রকল্প সভাপতি সংশ্লিষ্ট ওয়ার্ড মেম্বার সাজ্জাদ হোসেন। দুই নম্বর ইট ব্যবহার করা হয়েছে। সিমেন্ট যত সামান্য। এক কথায় একেবারেই দায়সারা কাজ হচ্ছে। তিন জন মিস্ত্রি কাজ করছিলেন। তাদের কাছে কাজের বিষয়ে জানতে চাইলে তারা বলেন, আমাদের হেড মিস্ত্রি যে ভাবে বলেছেন সে ভাবে কাজ করা হচ্ছে।
হেড মিস্ত্রি জানান, কাজের স্থান থেকে সবে মাত্র বাড়িতে এসেছি। মেম্বার সাজ্জাদ যে ভাবে বলেছে সে ভাবেই করা হচ্ছে। বরাদ্দ কিংবা সিডিউল বিষয়ে জানতে চাইলে জানান, এসব মেম্বার বলতে পারবেন। মেম্বার সাজ্জাদ হোসেনের সাথে মোবাইলে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান, রাজশাহীতে আছি, অফিস থেকে যে ভাবে বলেছে সে ভাবে কাজ করা হয়েছে।
এদিকে সালতালা শুরি পুকুরের ধার দিয়ে মাটির রাস্তায় পুনরায় মাটি ফেলা হয়েছে। একই প্রকল্পের কাজ ও বরাদ্দ ৩ লাখ টাকা। কিন্তু ১ লাখ টাকারও মাটি ফেলা হয় নি বলে গ্রামবাসীর দাবি। প্রকল্প সভাপতি সংশ্লিষ্ট ওয়ার্ড মেম্বার নাজিম উদ্দিন।
মেম্বার নাজিম জানান, অনেকদিন হল কাজ করা, কর্তৃপক্ষ এসে কাজ দেখে গেছেন। আমি বাহিরে আছি বলে এড়িয়ে যান।
স্থানীয়রা জানান, এসব কাজ তো না ছ্যাপ দিয়ে ছাতু শানার মত অবস্থা। এত নিম্মমানের কাজ বলায় যাবেনা। কিছু বললে সাব কথা বরাদ্দের ৪০% টাকা নাকি আগেই কর্তন হয়ে গেছে। প্রতিবাদ করলে নানা ঝামেলায় ফেলা হবে বলেও হুমকি ধামকি এবং ভোট করার সময় টাকা খরচ হয়েছে সেটা তুলতে হবে ও আগামীতে ভোট করতে হবে, যা হচ্ছে এটাই অনেক এমন নানা অজুহাত মেম্বারদের। বরাদ্দের আগেই যদি ৪০% কাটা হয় তাহলে কয় টাকার কাজ হবে এমন কথা তাদের। কাজ শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত কোন কর্মকর্তাকে দেখা যায় নি।
উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা প্রকৌশলী তারিকুল ইসলাম জানান, নিয়ম অনুযায়ি কাজ না করলে ও অভিযোগ পেলে তদন্ত করে অনিয়ম হলে বিল বন্ধ করে দেওয়া হবে। বরাদ্দের নাকি ৪০% টাকা কেটে নেওয়া হয় জানতে চাইলে জানান, এসব মিথ্যা বানোয়াট, নিজেদের অনিয়ম দুর করতে ফাকা আওয়াজ ছাড়া কিছুই না।

সর্বশেষ সংবাদ