শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালকসহ ১১ জনকে শোকজ

ঝালকাঠির কাঁঠালিয়া সহকারী জজ আদালতের বিচারক নুরুল আমীন শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালকসহ ১১ বিবাদীকে কারণ দর্শানোর নোটিশ দিয়েছেন।

কাঁঠালিয়া চেচরীরামপুর এমএল মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকের অনিয়ম, দুর্নীতি, স্বেচ্ছাচারিতা ও অর্থ আত্মসাতের বিরুদ্ধে ম্যানেজিং কমিটির সিদ্ধান্ত বরিশাল শিক্ষা বোর্ড গ্রাহ্য না করায় আদালত এই নোটিশ দেন। স্থানীয় ইউপি সদস্য ও অভিভাবক মান্নান হাওলাদার গত ২৭ আগস্ট এ বিষয়ে আদালতে মামলা করেন।

এ মামলায় পরদিন আদালত নোটিশের মাধ্যমে আগামী এক মাসের মধ্যে বিবাদীদের জবাব দিতে বলেছেন। এই মামলায় অন্য বিবাদীরা হলেন- বিদ্যালয়ের বরখাস্তকৃত প্রধান শিক্ষক মেহেদী হাসান, শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব (প্রশাসন ও অর্থ/উন্নয়ন), অতিরিক্ত সচিব (অডিট ও আইন), বরিশাল মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের চেয়ারম্যান, বরিশাল অঞ্চল মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের উপপরিচালক, সচিব, বিদ্যালয় পরিদর্শক, জেলা শিক্ষা কর্মকর্তা, কাঁঠালিয়া উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা, ওই বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক সরোয়ার হোসেন।

মামলায় উল্লেখ করা হয়, প্রধান শিক্ষক মেহেদী হাসান বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটির সিদ্ধান্ত উপেক্ষা করে এসএসসির ফরম পূরণে অতিরিক্ত অর্থ নিয়ে দুই লাখ টাকা, স্কুলের কোষাধ্যক্ষের কাছ থেকে ভাউচারহীন চেক নিয়ে প্রায় দেড় লাখ টাকা, সভাপতির স্বাক্ষর জাল করে ভুয়া নিয়োগে ছয় লাখ টাকা, অডিট দেখিয়ে প্রায় আড়াই লাখ টাকা, প্রকাশনী কোম্পানি থেকে এক লাখ টাকা উপঢৌকন গ্রহণ করে আত্মসাৎ করেছেন। এ ছাড়াও বিদ্যালয়ের হাজিরা খাতায় অনুপস্থিত লেখা থাকলেও তার ওপর স্বাক্ষর করেন মেহেদী হাসান। এসব বিষয়ে সভাপতি তাকে তিনবার কারণ দর্শানো নোটিশ দিলেও কোনো জবাব না দেওয়ায় প্রধান শিক্ষককে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়।

সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে একাধিকবার আবেদন করেও কোনো প্রতিকার না পাওয়ায় মেহেদী হাসানের বিরুদ্ধে আদালতে মামলা করেন সভাপতি ও ইউপি চেয়ারম্যান জাকির হোসেন। মামলায় প্রধান শিক্ষক জেলহাজতে থাকলেও ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষককে শিক্ষা বোর্ড উল্লেখিত অভিযোগের বিষয়ে আইনানুগ ব্যবস্থা নিতে বলা সত্ত্বেও কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। এ বিষয়টি আদালতকে মান্নান হাওলাদার অবহিত করলে এ আদেশ দেওয়া হয়।

সর্বশেষ সংবাদ