স্টাফ রিপোর্টার, ঝিনাইদহঃ জমি আছে ঘর নেই প্রকল্পের আওতায় এবার ঝিনাইদহের শৈলকুপায় ৩৭টি ঘর বরাদ্ধ এসেছে। ঘর নির্মানের শুরুতেই নিম্নমানের ইট ও বালু দেয়ার অভিযোগ উঠেছে। নিম্নমানের ইট ও বালু গ্রহণ করেনি সুবিধাভোগিরা। জানা যায়, এবার ঘর প্রতি বরাদ্ধ এসেছে ১ লাখ ২০ হাজার টাকা। শৈলকুপা উপজেলায় ৩৭টি ঘর বাবদ বরাদ্ধ এসেছে ৪৪ লাখ ৪০ হাজার টাকা। সুবিধা ভোগিদের মধ্য থেকে মনোহরপুর গ্রামের মনিরুদ্দিনের ছেলে সেলিম ও নাকোইল গ্রামের মৃত তোফাজ্জেলের ছেলে কামিরুল জানান, তারা অনেক চেষ্টার পর ঘর বরাদ্ধ পেয়েছেন। কিন্তু এই ঘর নির্মানের জন্য তাদের বাড়ীতে যে ইট ও বালু পাঠানো হয়েছে তা খুবই নিম্নমানের। এরকম নিম্নমানের সামগ্রী দিয়ে ঘর নির্মান করলে তা বসবাসের অনুপযোগি হবে। এ বিষয়ে তারা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে অবহিত করেছেন। তথ্য অনুসন্ধানে জানা যায়, ৩৭টি ঘর বাবদ বরাদ্ধের ৪৪ লাখ ৪০ হাজার টাকা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ সাইফুল ইসলাম নিজের একাউন্টে রেখে তিনি পছন্দের লোক দিয়ে ঘর নির্মাণ করাচ্ছেন। তার অফিসের কম্পিউটার অপারেটর মিন্টুকে দিয়ে নির্মাণ সামগ্রী ক্রয় করাচ্ছেন বলেও জানা গেছে। নিম্নমানের নির্মাণ সামগ্রীর বিষয়ে এলাকাবাসী ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, বিগত উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা উসমান গনির আমলে জমি আছে ঘর নেই প্রকল্পে মাত্র ১ লাখ টাকা বরাদ্ধ আসে। সেই টাকার মধ্যে অটো ব্রিকস্ দিয়ে ভালো মানের ঘর নির্মান করে দিয়েছিলেন তিনি। এই নজির দেখে দেশের অন্যান্য উপজেলাতেও একই মানের ঘর নির্মাণ হয়েছিলো। যে কারনে সারাদেশে বিগত ইউএনও প্রসংশিত হয়েছিলো। অথচ এবার বরাদ্ধ ১ লাখ ২০ হাজার টাকা হলেও কাজের শুরুতেই এত নিম্নমানের নির্মাণ সামগ্রী কেন পাঠানো হচ্ছে এমন প্রশ্ন দেখা দিয়েছে সচেতন মহলে। এ বিষয়ে শৈলকুপা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ সাইফুল ইসলামের কাছে জানতে চাইলে তিনি সাংবাদিকদের বলেন, সুবিধাভোগিদের বাড়ীতে যে ইট ও বালু পাঠানো হয়েছে তা নিম্নমানের বলে অভিযোগ পাওয়ায় তিনি সরেজমিনে পরিদর্শণ করে তা পরিবর্তন করে দেয়ার নির্দেশ দিয়েছেন।
শৈলকুপায় ৩৭টি ঘর বরাদ্ধ: জমি আছে ঘর নেই প্রকল্পে নিম্নমানের ইট ও বালু
5 months ago
10 Views

You may also like
সর্বশেষ সংবাদ
ডিমলায় ফাইনাল ব্যাটমিন্টন টুর্ণামেন্ট অনুষ্ঠিত
2 hours ago
রাবির আইন বিভাগের নতুন সভাপতি হাসিবুল আলম প্রধান
2 hours ago

