স্টাফ রিপোর্টার: বগুড়ায় ১৬ বছর পর স্ত্রী হত্যার দায়ে এক ব্যক্তিকে মৃত্যুদন্ড দিয়েছেন আদালত। রবিবার দুপুরে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-১ এর বিচারক এ,কে,এম ফজলুল হক এ রায় ঘোষণা করেন।দন্ডপ্রাপ্ত ব্যক্তির নাম উজ্জ্বল প্রাং (৪০)। তিনি সদর উপজেলার কৈচর দক্ষিণ পাড়া এলাকার গ্রামের মৃত আবুল হোসেনের ছেলে। উজ্জ্বল দীর্ঘদিন ধরে পলাতক রয়েছে। রায়ে তাকে এক লাখ টাকা অর্থদন্ড অনাদায়ে আরও এক বছর সশ্রম কারাদন্ প্রদান করেন আদালত ।এ মামলায় অভিযোগ প্রমাণ না হওয়ায় চার আসামীকে বেকসুর খালাস প্রদান করেছেন আদালত। তারা হলেন- উজ্জ্বলের ভাই হিরা প্রাং, উজ্জ্বলের মা আলেয়া বেওয়া, কাহালুর আলোক্ষছত্র এলাকার মৃত মজিবর রহমানের ছেলে নাজমুল হোসেন লাবু এবং তার স্ত্রী লাভলী বেগম।এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইবুন্যাল-১ বগুড়ার পিপি নরেশ মূখার্জী। এর আগে, ২০০৬ সালের জুন মাসে উজ্জ্বলের সাথে শহরের সূত্রাপুর এলাকার আকবর আলী শেখের মেয়ে আলো বেগমের বিয়ে হয়। এতে যৌতুক হিসেবে ৩০ হাজার টাকা প্রদান করে উজ্জ্বলকে। পরে বিদেশ যাওয়ার জন্য উজ্জ্বল আরও ৫০ হাজার টাকা দাবি করে। এ নিয়ে দুই পরিবারের মধ্যে বাকবিতন্ডাসহ শালিস হয়। পরে ৫০ হাজার টাকা না দিলে আলো বেগমকে তালাক দিবে বলে উজ্জ্বল জানায় এবং আলো বেগমের পরিবার থেকে আর কোন টাকা দেয়া হবে না বলেও উজ্জ্বলকে জানিয়ে দেয়। ২০০৬ সালের ১ আগস্ট বিকাল ৪টার দিকে আলো বেগমের লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। পরে নিহতের ১৮ আগস্ট নিহত আলো বেগমের ভগ্নিপতি জাহাঙ্গীর আলম উজ্জ্বলকে প্রধান আসামি করে ৫জনের বিরুদ্ধে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা দায়ের করেন। দীর্ঘ ১৬ বছর পর রোববার দুপুরে মামলার সাক্ষ্যপ্রমাণে দোষী সাব্যস্ত হওয়ায় আদালত এ রায় ঘোষণা করেন।নিহত আলো বেগমের স্বজনেরা জানান, আলো বেগমের বাবা-মা মারা গেলেও ন্যায় বিচারের প্রত্যাশায় তারা মামলা পরিচালনা করে আসছেন।নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইবুন্যাল-১ বগুড়ার পিপি নরেশ মূখার্জী জানান, ২০০৬ সালের মামলায় স্ত্রী হত্যার দায়ে পলাতক স্বামী উজ্জ্বলকে মৃত্যুদন্ড প্রদান করেছেন আদালত।
বগুড়ায় ১৬ বছর পর স্ত্রী হত্যার দায়ে স্বামীর ফাঁসির আদেশ
3 weeks ago
15 Views

You may also like
সর্বশেষ সংবাদ
অনিয়ম-দুর্নীতির আখড়া তানোর শিক্ষা অফিস
4 hours ago
বগুড়ায় যথাযোগ্য মর্যাদায় জাতীয় শোক দিবস পালন
4 hours ago