পরীক্ষামুলক প্রচারঃ এক সময়ের ঈশ্বরদীর সরব ক্রীড়াজ্ঞন এখন স্থবীর । নেই কোন আয়োজন, নেই কোন ব্যস্ততা। নেই দল গঠনের প্রতিযোগীতা। নেই পাড়া মহল্লায় দল বেধে ক্লাব নির্মানের তড়িঘড়ি। সময়ের পালাক্রমে আধুনিক সভ্যতার বিলাশীতায় হারিয়ে যেতে বসেছে ঈশ্বরদী উপজেলার ক্রীড়াজ্ঞনের গৌরবজ্জল ঐতিহ্য। এ অঞ্চল থেকে জাতীয় পর্যায়ের ক্রীড়া ক্ষেত্রে বিশেষ অবদান রাখা খেলোয়াড়েরর সংখ্যাও নেহাত কম নয়। কিন্তু বর্তমান পেক্ষাপট ভিন্ন। সমাজের সামগ্রিক চিত্র বাধ্য করছে ক্রীড়াজ্ঞন থেকে পিঁছু হটতে। তার সাথে রয়েছে পৃষ্ঠপোষকতার অভাব, রয়েছে রাজনৈতিক অস্থিরতা। নানা বিধ কারনে ঈশ্বরদী ক্রীড়াজ্ঞন যেন ঝিমিয়ে পড়েছে। ঈশ্বরদীর ক্রীড়াজ্ঞনের কয়েকজন ব্যাক্তিত্যের স্বাক্ষাতকার তুলে ধরা হলো-ঈশ্বরদী ক্রীড়াজ্ঞনের উজ্জল নক্ষত্র হাবিবুর রহমান হবি ঃ মানুষ শুধু কাজ নিয়ে বেঁচে থাকতে পারে না ।বেঁচে থাকার জন্য প্রয়োজন চিত্র বিনোদন। বিনোদনের বিভিন্ন উপকরন ও উপায়ের মধ্যে খেলাধুলা সর্বশেষ্ঠ। খেলাধুলার মাধ্যমেই জাতীর ঐক্যের সৃষ্টি হয় , দেশপ্রেম জাগ্রত হয়। কোন জাতীর অতিত ঐত্যিহের সম্পর্কে জানা যায়। খেলাধুলার মাধ্যমে তাদের সাহস ও বিরত্বের সম্পর্কে ধারনা পাওয়া যায়। সিরাজুল ইসলাম মহন ঃ এখন গ্রামের পর গ্রাম ঘুরে বেড়ালেও সেভাবে খেলাধুলা খেলতে দেখা যায় না। সেই স্থান দখল করেছে টেলিভিশন,কম্পিউটার,কম্পিটারের বিভিন্ন গেমস্, কচিং-সেন্টার, প্রাইভেট টিউশন, বিভিন্ন বিদেশী রাইডস্ প্রভৃতি। অভিভাবকরা তার সন্তানকে সারাদিন শুধু লেখাপড়ার মধ্যেই ব্যস্ত রাখতে চেষ্টা করেন। কিভাবে তার পরীক্ষায় ভাল ফল হবে শুধু সেই চিন্তা করেন। কিন্তু কিভাবে তার শারীরিক ও মানুষীক বিকাশ করা যায় সেই চিন্তা করেন না। আর এতে ফল অনেক ক্ষেত্রেই হয় বিপরীত। তবে এই কথা আজ অস্বীকার করার উপায় নেই যে, বর্তমান ক্রীড়াঙ্গনের স্থবিরতায় জন্ম দিচ্ছে নানা অপরাধ । সংগঠিত হচ্ছে দূর্ষকৃতকারীরা। চলছে আধুনিক খেলাধুলা হত্যা,অপহরন। যেখানে বিকেল হলে মাঠে খেলা করতে যাওয়ার কথা, সেখানে উঠতি বয়সী তরুন যুবকেরা সভ্যতার ছোঁয়াই মোবাইল, কম্পিউটার নিয়ে ব্যস্ত সময় পার করছে। আবুল হোসেন ঃ ঈশ্বরদী উপজেলার ফুটবল জগতের এক উজ্জল নক্ষত্রের নাম আবুল হোসেন। ঈশ্বরদী ধুলোবালির সাথে বেড়ে উঠা ক্রিড়া ক্ষেত্রে বিশেষ অবস্থান গড়ে তোলার পেছনে ছিল তার একান্তিক প্রচেষ্টা, আগ্রহ ও সাফল্যদের সানিধ্য তাকে নিয়ে গিয়েছিল দেশের বিভিন্ন প্রান্তে । খেলেছেন ঢাকার বিভিন্ন ক্লাব পর্যায়ে। খেলেছেন দেশের শীর্ষ স্থানীয় ক্লাব ধানমন্ডী বর্তমানে শেখ জামাল ধানমন্ডী ক্লাবে। তার মতে, বর্তমান খেলাধুলার জন্য সে সময়ের নিবোদীত প্রাণ হবিবুর রহমান হবি ভাই, হিমেল ভাই, জিয়াউর রহমান,আবুল কালাম আজাদ রনা ভাই, আলম ভাই, নান্নু ভাই,কল্লোল ভাই, রাজু ভাই, অতিয়ার ভাইরা যেভাবে ক্রীড়া ক্ষেত্রে অবদান রেখে ঈশ্বরদীর মাটিতে আমাদের মতো খেলোয়াড়দের তৈরি করেছিল । তাদের প্রচেষ্টায় আমরা হয়েছিলাম তারকা। কিন্তু আজ সেই মানুষ গুলো বাধ্যক্যের কাছে হার মেনে নানা পরিপাশ্বিকতায় সরে চলতে বাধ্য হওযায়, হারাতে বসেছে ঈশ্বরদীর ক্রিড়া ক্ষেত্রের গৌরবজ্জল ইতিহাস। আলাউদ্দিন আহম্মেদ, সাবেক সভাপতি ঈশ্বরদী প্রেসক্লাব ঃ ঈশ্বরদী উপজেলা ক্রীড়া সংস্থা গুলো শুধু মাত্র বিভিন্ন দিবসে দুই একট ম্যাচের আয়োজন করেই খ্যান্ত। নেই সঠিক ব্যবস্থানা, নেই সংগঠক। সে সাথে রয়েছে মাঠের সংকট,যদিও বা দু-একটা মাঠ রয়েছে তবে সেখানেও রয়েছে নানা বিপত্তি। রয়েছে দখলের প্রতিযোগীতা।
স্থবির ঈশ্বরদীর ক্রীড়াজ্ঞন
June 10, 2015
48 Views
You may also like
সর্বশেষ সংবাদ
সারিয়াকান্দিতে থানা পুলিশের অভিযানে গ্রেফতার ৫
3 months ago
শোক সংবাদঃ নৈশ্য প্রহরী শাহজাহান আলীর ইন্তেকাল
3 months ago
কাজিটুলা থেকে বৃদ্ধ নিখোঁজ; ১৯ দিনেও মেলেনি খোঁজ
3 months ago