জামালপুরে টাকা আত্মসাতের অভিযোগে শুল্ক কর্মকর্তাকে দণ্ড

সরকারি রাজস্ব ও শুল্ক ফাঁকি দিয়ে টাকা আত্মসাতের অভিযোগে জামালপুরের ধানুয়া কামালপুর স্থল বন্দরের সাবেক শুল্ক কর্মকর্তাকে ১২ বছর কারাদণ্ডাদেশ দিয়েছেন স্পেশাল আদালত। এছাড়া কয়লা আমদানিকারকে ৩ বছরের কারাদণ্ডাদেশ দিয়েছেন স্পেশাল আদালত।

মঙ্গলবার জামালপুর স্পেশাল আদালতের বিজ্ঞ বিচারক মোহাম্মদ জহিরুল কবির এই দণ্ডাদেশ দেন।

মামলা সূত্র ও বাদী পক্ষের আইনজীবী জানায়, মেসার্স শেরপুর ট্রেডার্সের স্বত্ত্বাধিকারী মো: ইমারুল হক জামালপুরের ধানুয়া কামালপুর স্থল বন্দর দিয়ে ভারত থেকে কয়লা আমদানি করতো। সে সময় ধানুয়া কামালপুর স্থল বন্দরের তৎকালীন শুল্ক কর্মকর্তা শেখ মো: রফিকুল ইসলামের সাথে কয়লা আমদানিকারক মো: ইমারুল হক যোগসাজস করে সরকারি রাজস্ব ও শুল্ক ফাঁকি দিয়ে ১০ লক্ষ ২২ হাজার ৪৫৬ টাকা আত্মসাত করে। এ ঘটনায় ২০০৩ সালে দুদকের সহকারী পরিদর্শক মেনহাজ আলী খান বাদী হয়ে ওই দু’জনের বিরুদ্ধে দুর্নীতি দমন আইনে একটি মামলা দায়ের করেন। মামলায় আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় পলাতক শুল্ক কর্মকর্তা শেখ মো: রফিকুল ইসলামকে দন্ডবিধির ৪০৯ ধারায় ১০ বছরের সশ্রম কারাদণ্ড, ৫ লক্ষ ১১ হাজার ২২৮ টাকা জরিমানা অনাদায়ে আরও ২ বছরের কারাদণ্ড ও ১৯৪৭ সনের দুর্নীতি প্রতিরোধ আইনের ৫(২) ধারায় ২ বছরের কারাদণ্ড এবং কয়লা আমদানিকারক মো: ইমারুল হককে দণ্ডবিধির ১০৯ ধারায় ৩ বছরের কারাদণ্ড, ৫ লক্ষ ১১ হাজার ২২৮ টাকা জরিমানা অনাদায়ে ৬ মাসের কারাদণ্ডাদেশ দেয় স্পেশাল আদালতের বিচারক মোহাম্মদ জহিরুল কবির।

বাদী পক্ষে মামলাটি পরিচালনা করেন স্পেশাল আদালতের পিপি অ্যাডভোকেট মো. লুৎফর রহমান এবং বিবাদী পক্ষে অ্যাডভোকেট মো. ইকবাল হোসেন।

সর্বশেষ সংবাদ