গাইবান্ধায় সদর হাসপাতালের তত্ত্বাবধানে পরিচালিত আইসোলেশন সেন্টারটির বেহাল অবস্থা

আরিফ উদ্দিন, গাইবান্ধা প্রতিনিধিঃ সংক্রমণ ঠেকাতে করোনা রোগিদের আলাদা রেখে চিকিৎসা প্রদান করতে গাইবান্ধা জেলা সদর হাসপাতালের তত্ত্বাবধানে পরিচালিত আইসোলেশন সেন্টারটি নানা সমস্যায় কবলিত। ফলে ওই সেন্টারে বর্তমানে চিকিৎসাধীন ১১জন করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত রোগীরা সুষ্ঠু চিকিৎসা বঞ্চিত হচ্ছে এবং নানা দুর্ভোগ পোহাচ্ছে বলে অভিযোগে জানা গেছে।
আইসোলেশন সেন্টারের মোবাইলে জানান, সেখানে সকাল ১০টার আগে কোনদিনই সকালের নাস্তা পৌঁছায় না। তদুপরি দুপুরের খাবার দেয়া হয় বিকাল ৩টা থেকে ৪টায়। খাবারে তরকারির পরিমাণ থাকে খুবই কম এবং নিম্নমানের। এমনকি বিশুদ্ধ পানির ব্যবস্থাও সেখানে নেই বলে অভিযোগে জানানো হয়। তদুপরি আইসোলেনশন সেন্টারে নিয়মিত পরিচ্ছন্নকর্মী না থাকায় ময়লা আবর্জনার সাথেই বাস করতে হচ্ছে রোগীদের।
এদিকে আইসোলেশন সেন্টারে চিকিৎসাধীন রোগীদের কাছে আরও জানা যায়, সেখানে চিকিৎসার জন্য কোন ডাক্তার যান না। ওখানে একজন কর্মরত নার্সের মাধ্যমে মোবাইল ফোনে হাসপাতালের ডাক্তার রোগীদের সাথে কথা বলে তাদের সমস্যা সম্পর্কে অবগত হন এবং সে মোতাবেক তাদের চিকিৎসার জন্য হাসপাতাল থেকে ওষুধ প্রেরণ করা হয়। আবার কোন কোন ক্ষেত্রে বাইরে থেকে ওষুধ কিনে নেয়ার জন্য ওই সেবিকার মাধ্যমে রোগীদের পরামর্শ দেয়া হয়। যাতে রোগীরা আত্মীয়-স্বজনদের মাধ্যমে ওষুধপত্র সংগ্রহ করতে পারে।
এব্যাপারে গাইবান্ধা জেলা সদর হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডা. মাহফুজার রহমান অভিযোগের সত্যতা স্বীকার করে সীমাবদ্ধতার নানা অজুহাত তুলে ধরেন। তিনি বলেন, হাসপাতালে রোগীদের খাবার রান্না করে সেখান থেকে আইসোলেশন সেন্টারে অটোবাইকে করে খাবার নিয়ে যাওয়া হয়। এজন্য অনেক সময় খাবার পাঠাতে বিলম্ব হচ্ছে। তবে সমস্যাগুলো সমাধান করা হবে বলে তিনি উলে¬খ করেন।
প্রসঙ্গত উলে¬খ্য যে, গাইবান্ধার বেসরকারি সংগঠন এসকেএস ফাউন্ডেশনের সহযোগিতায় আনসার ভিডিপি প্রশিক্ষণ কেন্দ্রে গত মার্চে অস্থায়ীভাবে এই আইসোলশন সেন্টারটি চালু করা হয়।

সর্বশেষ সংবাদ