ভাঙা হচ্ছে এফডিসি, তৈরি হচ্ছে বাণিজ্যিক ভবন

 

লোকসানে ডুবতে বসা চলচ্চিত্রের আঁতুড়ঘর এফডিসি ভাঙাভাঙির কাজ চলছে। সেখানে নির্মিত হবে ১৫ তলা বাণিজ্যিক ভবন। এফডিসির মূল ফটক থেকে ঢুকে একটু সামনে গেলেই ডানে পাশাপাশি ৩ ও ৪ নং ফ্লোর। একসময়ে শুটিংয়ে ব্যস্ত থাকা ফ্লোর দুটি এবার ভাঙার কাজ শুরু হয়েছে।

সেখানে ভাঙার কাজ করছেন অর্ধশতাধিক শ্রমিক। চলতি সপ্তাহে এ দুটি ফ্লোর ভাঙার কাজ শুরু হয়েছে বলে মুঠোফোনে চ্যানেল আই অনলাইনকে জানিয়েছেন এফডিসির কারিগরি ও প্রকৌশল পরিচালক ও প্রকল্পটির সহকারি পরিচালক কে এম আইয়ুব আলী।

তিনি বলেন, ফ্লোর দুটি ভেঙে অত্যাধুনিক ১৫ তলা কমপ্লেক্স নির্মাণ করা হচ্ছে। নতুন ভবন তৈরির কাজ শুরু হতে আগামি ডিসেম্বর-জানুয়ারি মাস পর্যন্ত লেগে যেতে পারে।

এফডিসির জনসংযোগ কর্মকর্তা হিমাদ্রী বড়ুয়া বলেন, এফডিসিতে বহুতল কমপ্লেক্স নির্মাণ করতেই এসব পুরনো স্থাপনা ভাঙার উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। বর্তমান সরকার এফডিসির আধুনিকায়ন করার জন্য ৯৪ কাঠা জমির ওপর নতুন এ ভবন নির্মাণের করছে। বহুতল ভবন হলে এফডিসির আয় বাড়বে এবং শুটিং ফ্লোরের অভাবও দূর হবে।

তিনি বলেন, এফডিসিকে আধুনিকভাবে গড়ে তুলতে ২০১৮ সালের ৩ অক্টোবর ৩২২ কোটি ৭০ লাখ টাকার একটি প্রকল্প অনুমোদন করে জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটি (একনেক)। এতে সভাপতিত্ব করেন প্রধানমন্ত্রী ও একনেক চেয়ারপারসন শেখ হাসিনা। উল্লেখ আছে, সেখানে থাকবে ৭৩ হাজার ৪৬৯ বর্গমিটারের ফ্লোর।

প্রকল্পের সহকারি পরিচালক কে এম আইয়ুব আলী বলেন, আপতত দুটি ফ্লোর ভাঙার কাজ চলছে। নতুন ভবনে হোটেল অ্যাকোমুডেশান, কর্পোরেট অফিস, চ্যানেলগুলোর চাহিদা অনুযায়ি ২টি ফ্লোর রাখার প্ল্যান আছে। থাকবে ফুডকোট, বিআরটিএ অফিস। এছাড়া ভবনের টপফ্লোরে থাকবে আধুনিক মাল্টিপ্লেক্স। এর ফলে বিনোদনের নতুন দিগন্ত উন্মোচন হবে।

এফডিসিতে ভবন নির্মাণ প্রসঙ্গে চলচ্চিত্রের প্রযোজক ও পরিবেশক সমিতির সভাপতি খোরশেদ আলম খসরু ও পরিচালক সমিতির সভাপতি মুশফিকুর রহমান গুলজার কথা বলেন চ্যানেল আই অনলাইনের সঙ্গে।

চলচ্চিত্রের ‘মাদার অর্গানাইজেশন’ প্রযোজক নেতা খসরু বলেন, সরকার চেয়েছে বলেই এতো টাকা ব্যয়ে ভবন নির্মিত হচ্ছে। তবে এর আগে দরকার ছিল আমাদের হলগুলোর দিকে নজর দেয়া। হল না থাকলে ছবি কই চলবে? দেশের ৬৪ জেলায় তথ্য কেন্দ্রে ৬৪ টি মাল্টিপ্লেক্স নির্মাণের কথা শুনেছিলেন। এটি সবকিছুর আগে হওয়া উচিত ছিল। আমি প্রযোজকদের সভাপতি হয়ে এখন হল নিয়ে সবসময় কথা বলি। অবস্থা কত খারাপ আমি এ হল নিয়ে কথা বলছি!

তবে নতুন বাণিজ্যিক ভবন নির্মাণের প্রক্রিয়াটিকে ইতিবাচক মনে করছেন মুশফিকুর রহমান গুলজার। তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রীর উদ্যোগে নতুন করে যে ভবন তৈরি হবে সেটা আমাদের কাজে লাগবে। বাণিজ্যিক ফ্লোরে হোটেল, শপিং মল, ফুডকোট থাকবে। তাছাড়াও ভবনে আমাদেরই অফিস, আধুনিক মাল্টিপ্লেক্স, অডিটোরিয়াম সবকিছুই থাকবে। এতে আমাদের সিনেমার উপকার হবে।

 

সর্বশেষ সংবাদ