বরিশালে ডায়গনস্টিক সেন্টার সিলগালা, চার জনকে কারদন্ড

বরিশালে বিভিন্ন ডায়েগস্টিক, ল্যাব, ক্লিনিক ও ভূয়া হাসপাতালে মৃত্যু চিকিৎসকের স্বাক্ষর জাল করে চিকিৎসা ব্যবস্থাপত্র প্রদানসহ বিভিন্নভাবে প্রতরণা করার মাধ্যমে সাধারন রোগীদের কাছ টাকা হাতিয়ে নেয়ার অভিযোগের বিরুদ্ধে অভিযানে নেমেছে বরিশাল গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি) ও জেলা প্রশাসন অভিযান চালিয়ে। এসময় অভিযানকালে চারজনকে বিভিন্ন মেয়াদে কারাদন্ডসহ অভিযুক্তদের পক্ষ থেকে একটি প্রতরণা মামলা দায়ের করা হয়েছে।

বরিশাল নগরীর আগরপুর সড়কে দি মুন মেডিকেল সার্ভিসেস নামক একটি ডায়গনস্টিক সেন্টারে ডিবির ডিসি মঞ্জুর রহমানের নেতৃত্বে অতিরিক্ত উপ পুলিশ কমিশনার রেজাউল করীমসহ একদল নগর গোয়েন্দা পুলিশ ডিবি অভিযান শুরু করে। পরবর্তীতে জেলা প্রশাসনের পক্ষ নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মোঃ জিয়াউর রহমান ঘটনাস্থলে এসে বিভিন্ন ল্যাবের কাগজ-পত্র যাচাই-ক্ষাছাই করে বিভিন্ন জাল জায়িাতির কাগজ পত্র পাওয়ার অভিযোগে ল্যাবের চারজনকে ভ্রাম্যমান আদালতের মাধ্যমে সাজা প্রদান করে ল্যাবটি সিল গালা করে বন্ধ করে দেন।

আজ (২৫ জুলাই) শনিবার দুপুরের বেলা সাড়ে ১২ থেকে পোনে ৩টা পর্যন্ত এই যৌথ অভিযানে পারচালনা করেন তারা। এসময় মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)’র কাছে অভিযোগ করা ভূক্ত ভূগির পক্ষ থেকে একটি মামলা ডিবি কার্যলয়ে প্রত্রিয়াধঅন রয়েছে বলে বিষয়টি নিশ্চিত করে ডিবির অতিরিক্ত উপ পুলিশ কমিশনার রেজাউল করীম।

দন্ডপ্রাপ্তদের মধ্যে মো. দি মুন মেডিকেল মার্ভিসের পরিচালক শাহিন ও তার ভাই রোগীর দালার মো. ইব্রাহিমকে ৬ মাস করে কারাদন্ড এবং দুই ভূয়া টেকনিশিয়ান শ্যাম সাহা ও শ্যামল মজুমদারকে ৩ মাস করে কারাদন্ড দেয়া হয়েছে।’

অভিযান নিয়ে জেলা প্রশাসকের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট জিয়াউর রহমান বলেন, বরিশালের ডায়াগনিষ্টিক সেন্টারগুলো বিভিন্ন অনিয়ম করছে। এখানে ডাক্তার কিংবা ট্যাকনোজলিষ্ট নেই। পরীক্ষার সনদে চিকিৎসকের জাল স্বাক্ষর ব্যবহার করে রিপোর্ট দেওয়া হচ্ছে। পরীক্ষাগারে ব্যাহৃত উপকরণের মেয়াদ ও মান ঠিক নেই। এমনকি ল্যাবটির বৈধ কোন সনদ নেই। আজকে তেমনি একটি ডায়াগনিষ্টিক সেন্টারে অভিযান চালিয়ে বিভিন্ন মেয়াদে ৪জনকে কারাদন্ড দেয়া হয়েছে।

 

সর্বশেষ সংবাদ