নাসিরনগরে তরুণীকে ৪ দিন আটক রেখে ধর্ষণ

ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার নাসিরনগরে গৃহকর্মীকে ৪ দিন আটক রেখে ধর্ষণের ও সহায়তার অপরাধে জাহাঙ্গীর মিয়া নামে এক যুবক ও সহায়তার অপরাধে দুলাল মিয়া নামের এক ব্যবসায়ীকে গ্রেপ্তার করে আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে পাটিয়েছে থানা পুলিশ।
ওই ঘটনায় ৩১ জুলাই ২০২০ রোজ শুক্রবার সন্ধ্যায় ধর্ষনের শিকার তরুণী বাদী হয়ে ৪জনকে আসামি করে নাসিরনগর থানায় মামলা করেছে।
জানা গেছে জাহাঙ্গীর মিয়া (২৫) উপজেলার বুড়িশ্বর ইউনিয়নের বুড়িম্বর গ্রামের মো. ইয়াছ উদ্দিনের ছেলে।

মামলার সূত্রে জানা গেছে, ২০১৬ সালের ওই তরুণীর ভাবির বাড়িতে বেড়াতে গিয়ে পরিচয় হয় জাহাঙ্গীরের সঙ্গে। পরিচয়ের কিছুদিন পরই তরুণীকে বিয়ের প্রস্তাব দেন জাহাঙ্গীর। তখন তরুণী বিয়ের প্রস্তাব ফিরিয়ে দেন। পরে তরুণী ঢাকার ধানমন্ডি-১ নম্বরে একটি বাসায় পাঁচ হাজার টাকা বেতনে গৃহকর্মীর কাজ নেয়।

২০১৭ সালে ওই বাসার ঠিকানা খুঁজে বের করে জাহাঙ্গীর। আবারো বিয়ের প্রস্তাব দিলে তরুণী তখন রাজি। পরে জাহাঙ্গীর তার এক আত্মীয়ের বাসায় তরূণীকে নিজের স্ত্রী পরিচয়ে রেখে দীর্ঘদিন যাবৎ ধর্ষণ করে। কিছুদিন অাগে জাহাঙ্গীর তরুণীকে না জানিয়ে অন্য এক মেয়েকে বিয়ে করে। বিয়ের পরে অাবারো জাহাঙ্গীর তরুণীর সঙ্গে শারীরিক সম্পর্ক করতে বিভিন্ন হুমকি দিতে থাকে। পরে ওই তরুণী মামলা করা কথা বললে জাহাঙ্গীর তাকে নাসিরনগর সদরে তার খালু নাসিরনগর বাজারের ধান ব্যবসায়ী দুলাল মিয়ার বাড়িতে এনে অন্যন্যদের সহযোগিতায় ১ লাখ টাকায় রফাদফার চেষ্টা করে।

ওই তরুণী বলে,সেই প্রস্তাব প্রত্যাখান করায় আমাকে ৪ দিন আটক রেখে ধর্ষণ করে এবং জলন্ত সিগারেটের আগুন দিয়ে আমার মুখ মন্ডল ঝলসে দেয় জাহাঙ্গীর। খবর পেয়ে আমার পরিবারের লোকজন আমাকে উদ্ধার করে নাসিরনগর আধুনিক হাসপাতালে ভর্তি করে।

নাসিরনগর থানার উপ পুলিশ পরিদর্শক মোঃ ময়নাল হোসেন খান বলেন, বিষয়টি খুবই দুঃখজনক। আমরা অভিযুক্ত ২ জনকে আটক করেছি। তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে দাবী করেন উক্ত পুলিশ কর্মকর্তা।

 

সর্বশেষ সংবাদ