গাইবান্ধায় হতদরিদ্র ও বন্যার্ত ২১শ’ পরিবারের মাঝে কোরবানির মাংস

আরিফ উদ্দিন, গাইবান্ধা প্রতিনিধিঃ করোনা ভাইরাসরোধের সরকারি সকল স্বাস্থ্যবিধি মেনে আন্তর্জাতিক দাতা সংস্থা ইসলামিক রিলিফ বাংলাদেশের অর্থায়নে এসকেএস ফাউন্ডেশনের উদ্যোগে কোরবানি কর্মসূচিতে হতদরিদ্র ও বন্যার্ত পরিবারের মাঝে কোরবানির মাংস বিতরণ করা হয়েছে।
২ আগষ্ট (রোববার) গাইবান্ধার দুই উপজেলার ৫টি ইউনিয়নের করোনা ও বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত ২ হাজার ১’শ পরিবারের মধ্যে কোরবানির মাংস বিতরণ করা হয়।
সকালে কোরবানি কর্মসূচির উদ্বোধন করেন সাঘাটা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো. মোশাররফ হোসেন সুইট। এসময় উপস্থিত ছিলেন মুক্তিনগর ইউপির সদস্য মো. সামসুজ্জোহা সরকার। সাঘাটা উপজেলার মুক্তিনগর ইউনিয়নের হাট ভরতখালী নূতনকুঁড়ি নিম্ন মাধ্যমিক বিদ্যালয় চত্ত্বরে সাঘাটা উপজেলার সাঘাটা ইউনিয়ন, মুক্তিনগর, ভরতখালী, কামালেরপাড়া ও ফুলছড়ি উপজেলার গজারিয়া ইউনিয়নের হতদরিদ্র, অসহায়, প্রতিবন্ধী, স্বামী পরিত্যক্তা ও বিধবা পরিবারের মধ্যে দুই কেজি করে মাংস বিতরণ করা হয়।
ইসলামিক রিলিফের হিউম্যানিটারিয়ান ও রেজিলিয়েন্স প্রোগ্রামের প্রোগ্রাম ম্যানেজার মঈন উদ্দিন আহম্মেদ বলেন, ইসলামিক রিলিফের অর্থায়নে বিশ্বব্যাপী ৩০টি দেশে এই কোরবানী কর্মসূচি অনুষ্ঠিত হয়েছে। এর মধ্যে বাংলাদেশের ২৮টি জেলায় ১০ হাজার ২০০ কোরবানী দেওয়া হয়েছে। এর মধ্যে কক্সবাজারের রোহিঙ্গা ক্যাম্পও যুক্ত আছে। আগের বছরগুলোর মতোই এ বছরও গাইবান্ধায় এসকেএসের মাধ্যমে কোরবানি কর্মসূচি বাস্তবায়িত হয়েছে।
এসময় আরও উপস্থিত ছিলেন ইসলামিক রিলিফ এর হিউম্যানিটারিয়ান ও রেজিলিয়েন্স প্রোগ্রামের প্রোগ্রাম ম্যানেজার মঈন উদ্দিন আহম্মেদ, এসকেএস ফাউন্ডশনের সহকারি পরিচালক খন্দকার জাহিদ সরওয়ার, সোশ্যাল এন্টারপ্রাইজের সমন্বয়কারী আবু সাঈদ সুমন, সমন্বয়কারী মো. জাহিদুল ইসলাম, মো. আবুল কালাম আজাদ, মো. আবু সোহেল, মো. আশরাফুল আলম, মো. ইউনুস আলী, মো. আব্দুস সামাদ, মো. বাহারাম খান, মো. উজ্জ্বল মিয়া, মো. মশিউর রহমান প্রধানসহ অন্যান্যরা।
উল্লেখ্য, দারিদ্র ও দুর্ভোগের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে আন্তর্জাতিক দাতা সংস্থা ইসলামিক রিলিফ ১৯৮৪ সালে প্রতিষ্ঠিত হয়। এর সদর দপ্তর যুক্তরাজ্যের বার্মিংহামে অবস্থিত। ইসলামিক রিলিফের কার্যক্রম ছড়িয়েছে বিশ্বের ৪৫টি দেশে।

সর্বশেষ সংবাদ