চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলার ভোলাহাট উপজেলার জামাবাড়ীয়া সরকারী হাই স্কুলের ৬ষ্ঠ শ্রেনির মেধাবী ছাত্রীকে আটকে রেখে ধর্ষণ করায় মামলা হয়েছে। মামলার বিবরণে জানা যায়, ১২ বছর বয়সের শিশু শিক্ষার্থী ৩১ জুলাই বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে তার বাড়ি থেকে ২শত মিটার দূরে নানীর বাড়ি বেড়াতে যায়। নানীর বাড়ি থেকে একই দিনে রাত সোয়া ৮ টার দিকে বাড়ি ফিরে। বাড়ি ফেরার পথে সেনারুলের বাড়ির সামনে পূর্ব পরিকল্পতি ভাবে ভোলাহাট উপজেলার বড়ইগাছি গ্রামের জবদুল হকের ছেলে নিঝুম হোসেন (২২) ও তার চাচাতো ভাই আব্দুল শেখের ছেলে নিরব হোসেন(২৩) কৌশলে তার পিছন দিক থেকে গামছা দিয়ে মুখ পেচিয়ে ধরলে ধস্তাধস্তি হয়। কিন্তু তারা তাকে জোরপূর্বক অপহরণ করে তাদের মটোরসাইকেলে তুলে নিয়ে আটকে রাখে। কিছুক্ষন পর নিঝুম তার যৌন কামনা চরিতার্থ করার জন্য ডিপ ঘরে ঢুকে এবং তার মুখ চেপে ধরে পরনের কাপর খুলে ফেলে। শিশু শিক্ষার্থীটি চিৎকার করার চেষ্টা করলে চর-থাপ্পড় মারে এবং মেরে ফেলার হুমকি দিয়ে তার ইচ্ছার বিরুদ্ধে ধর্ষণ করে। বিবরণে আরো জানা যায় বখাটে তাকে যৌনমিলন করার পর পুনরায় গামছা দিয়ে হাত মুখ বেঁধে রাখে এবং কিছুক্ষন পরপর ইচ্ছার বিরুদ্ধে ধর্ষণ করতে থাকে। ধর্ষণ শেষে পরদিন ১ আগস্ট ভোর সোয়া ৫টার দিকে হাত ও মুখের বাধন খুলে দিয়ে ধর্ষক সেখান থেকে দ্রুর্ত চলে যায়। পরবর্তীতে ধর্ষিতা শিশু শিক্ষার্থীটি তার বাবা-মাকে ঘটনাটি জানায়। এঘটনায় ১ আগস্ট ভোলাহাট থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন আইনে ধর্ষিতা শিশু শিক্ষার্থীটি বাদী হয়ে মামলা করে। মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা এসআই আব্দুর রউফ জানান, এ মামলার আসামি নিরব হোসেনকে গ্রেফতার করে জেল হাজতে পাঠানো হয়েছে। অপর আসামি নিঝুমকে গ্রেফতার অভিযান অবাহত আছে।
