নোয়াখালীর চাটখিল উপজেলার মোহাম্মদপুর ইউনিয়নে এক স্কুলছাত্রীকে বিয়ের প্রলোভনে একাধিকবার ধর্ষণের অভিযোগে আব্দুর রহমান প্রান্ত (১৮) নামে এক যুবককে আটক করেছে পুলিশ। আটককৃত আব্দুর রহমান প্রান্ত বানসা গ্রামের গোলাম মোস্তফার ছেলে।
রোববার (৪ অক্টোবর) বিকেল ৪টার দিকে ভুক্তভোগীর ভাবী বাদী হয়ে চাটখিল থানায় একটি মামলা দায়ের করেছেন।
আটককৃত যুবকের সাথে ওই কিশোরীর তিন মাস ধরে প্রেমের সম্পর্ক চলছিল বলে জানা গেছে। এ ঘটনায় একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে।
অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, শনিবার (৩ অক্টোবর) দিবাগত রাত ২টার দিকে আব্দুর রহমান প্রান্ত স্থানীয় একটি উচ্চ বিদ্যালয়ের নবম শ্রেণির ছাত্রীর (১৬) বাড়িতে গিয়ে তাদের বসতঘরে ঢুকে পড়ে। পরে স্থানীয় লোকজন বিষয়টি টের পেয়ে ওই ঘরের জানালার পাশে গিয়ে ঘরের ভেতর থেকে প্রান্তের কথার শব্দ শুনে ডাক দিলে প্রান্ত দ্রুত ঘর থেকে বের হয়ে ছাদ বেয়ে লাফিয়ে পালানোর চেষ্টা করে। এসময় স্থানীয় লোকজন তাকে আটক করে। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে ওই যুবককে আটক করে থানায় নিয়ে আসে।
মামলার বাদী বলেন, ‘গত ৬ বছর আগে তার শাশুড়ি মারা যান। তার শশুর, স্বামী ও দেবররা বিদেশে থাকায় ননদকে নিয়ে তারা বাড়িতে থাকতেন। শনিবার তিনি তার দুই সন্তানকে নিয়ে তাদের কক্ষে ঘুমিয়ে ছিলেন। ঘরের একটি কক্ষে তার ননদ একা থাকতেন। রাত দুইটার দিকে তাদের প্রতিবেশী আব্দুর রহমান প্রান্ত বাড়িতে এসে তার ননদের কক্ষে ঢুকে পড়েন। স্থানীয় লোকজন মাছ ধরতে এসে বিষয়টি টের পেয়ে প্রান্তকে আটক করে।’
নির্যাতিতার ভাবী অভিযোগ করে বলেন, ‘গত তিন মাস ধরে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে আব্দুর রহমান প্রান্ত তার ননদকে ইচ্ছের বিরুদ্ধে একাধিকবার ধর্ষণ করেছে।’
চাটখিল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আনোয়ারুল ইসলাম বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, ‘তাদের দুইজনের মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক ছিল বলে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে জানা গেছে। ওই সম্পর্কের সূত্র ধরে কিশোরীকে ধর্ষণ করেছে আব্দুর রহমান প্রান্ত। ঘটনায় ভুক্তভোগীর ভাবী বাদী হয়ে মামলা দায়ের করেছেন। আটককৃত আব্দুর রহমান প্রান্তকে সোমবার সকালে বিচারিক আদালতের মাধ্যমে কারাগারে প্রেরণ করা হবে।