চুয়াডাঙ্গায় আলোচিত যুবলীগ নেতা মিলনকে কুপিয়ে হত্যাচেষ্টা মামলায় চারজনের আদালতে আত্মসমার্পণ,

স্টাফ রিপোর্টার, ঝিনাইদহঃ আলোচিত যুবলীগ নেতা মিলনকে কুপিয়ে হত্যাচেষ্টা মামলায় চারজন চুয়াডাঙ্গা আদালতে আত্মসমার্পণ করার পর বিজ্ঞ আদালত একজনের জামিন মঞ্জুর করে বাকি তিনজনকে জেল হাজতে প্রেরণের নির্দেশ প্রদাণ করেছেন। যুবলীগ নেতা মিলনের আইনজীবী এপিপি ও চুয়াডাঙ্গা আইনজীবী সমীতির জয়েন্ট সেক্রেটারি মোঃ আসলাম উদ্দিন সাংবাদিকদের জানান, ডাক্তারকে ম্যানেজ করে সাধারণ ইন্জুরী মর্মে ডাক্তারি সার্টিফিকেটসহ মামলার আইওকে ম্যানেজ করে আসামিরা চুয়াডাঙ্গা আদালতে আত্মসমার্পণ করে। এসময় চুয়াডাঙ্গা সিনিয়র জুডিসিয়াল আদালতে বিজ্ঞ বিচারক জনাব মানিক দাস দীর্ঘ শুনানীর পর সদর উপজেলার জীবনা গ্রামের মৃত মনু বিশ্বাসের ছেলে মমিন বিশ্বাসের জামিন মন্জুর করেন। বাকি আসামি জীবনা গ্রামের মমিন বিশ্বাসের ছেলে মানিক, মন্টু বিশ্বাসের ছেলে মাসুদ, ও মৃত তুফোন বিশ্বাসের ছেলে শরিফুলের জামিন নামন্জুর করে জেল হাজতে পাঠানোর নির্দেশ দেন। তিনি বলেন, সবচেয়ে আশ্চর্যের বিষয় হচ্ছে আদালতের নির্দেশ না থাকা সত্বেও মামলার আইও পুলিশ পরিদর্শক অপরেশন জনাব একরামুল হুসাইন অতি উৎসাহি হয়ে সাধারন ইন্জুরি মর্মে মেডিকেল সার্টিফিকেট আদালতে দাখিল করেন। অথচ আমার মক্কেল মিলনের মাথায় আটটি সেলাই ও তার হাত পাসহ সারা শরীরে মেজর জখম রয়েছে। তার হাত ও পা প্রাথমিক ভাবে অকেজো হয়ে আছে। তিনি আরো বলেন সাধারণ ইনজুরি হলে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতাল থেকে কর্তব্যরত ডাক্তার কেনো মিলনকে ঢাকা মেডিকেলে রেফার্ড করেছে? মিলন এখনও ঢাকা মেডিকেলে চিকিৎসাধিন রয়েছে বলেও তিনি সাংবাদিকদের জানিয়েছেন। উল্লেখ্য, ২রা ফেব্রুয়ারি মঙ্গলবার চুয়াডাঙ্গার কুতুবপুর ইউনিয়ন যুবলীগ নেতা মিলনকে কুপিয়ে জখমের পর তার অবস্থা সংকটাপন্ন হওয়ায় ৩রা ফেব্রুয়ারি বুধবার দুপুরে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালের কর্তব্যরত ডাক্তার মিলনকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার্ড করে। এঘটনার পর চুয়াডাঙ্গা সদর থানায় মামলা রেকর্ড হয়েছে। মামলা নম্বর-০৬, ০৪.০২.২০২১ ইং তারিখ। মিলনের স্ত্রী খাদিজা আক্তার স্মৃতি সাংবাদিকদের নিকট অভিযোগ করে বলেন আমার স্বামী মিলনকে পুর্ব পরিকল্পিত ও সঙ্গবদ্ধ ভাবে হত্যার নীল নক্সা করা হয়। আমার স্বামী প্রানে বাঁচলেও ঘটনার তিন দিন পর সদর থানায় মামলা রেকর্ড হয়েছে। এখনও পর্যন্ত গ্রেফতার না হওয়ায় আমাদের দিন কাটছে হতাশা আর হাহাকারে। তিনি বলেন গত মঙ্গলবার দুপুরে ঝিনাইদহ সদর উপজেলার গোবিন্দপুর ও ভুলটিয়া এলাকার ঘুগুপোতার মাঠে মিলন নামে যুবলীগ নেতাকে কুপিয়ে হত্যার চেষ্টার অভিযোগে চুয়াডাঙ্গা সদর থানার অভিযোগ করা হয়। যুবলীগ নেতা মিলনের অবস্থা আশংকাজনক ছিল। মঙ্গলবার বিকালে জীবনা গ্রামের পার্শ্ববর্তী মাঠে এই হামলার ঘটনা ঘটে। আহত নেতা মিলন ইউনিয়ন যুবলীগের সহ-সভাপতি ও চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলার কুতুবপুর ইউনিয়নের জীবনা গ্রামের লুৎফর বিশ্বাসের ছেলে। মিলনের স্ত্রী আরো জানান, মঙ্গলবার দুপুরে ঘুগু পোতার মাঠে নিজের জমিতে পুকুর কাটার কাজ তদারকি করছিলেন তার স্বামী। এ সময় পুর্ব শত্রুতার জের ধরে জীবনা গ্রামের মৃত মনু বিশ্বাসের ছেলে মোমিন ও ডাবলু, মন্টু বিশ্বাসের ছেলে মাসুদ, রেজাউল মন্ডলের ছেলে কালু মন্ডল, মোমিন বিশ্বাসের ছেলে মানিক, মৃত শুকুর বিশ্বাসের ছেলে শওকত ও ডালু এবং মৃত তুফোন বিশ্বাসের ছেলে শরিফুল ইসলাম রাম দা ও লাঠিসোটা নিয়ে তার স্বামীকে হত্যার উদ্দেশ্যে কুপিয়ে জখম করে ফেলে রেখে যায়। খবর পেয়ে তাকে উদ্ধার করে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে ভর্তি করে। চিকিৎসকরা মিলনের অবস্থা সংকটাপন্ন হওয়ায় বুধবার ঢাকা মেডিকেলে নিয়ে যেতে বলেন। সেমোতাবেক বুধবার দুপুরে তাকে ঢাকা মেডিকেলে রেফার্ড করা হয়। চিকিৎসাধীন মিলন বিশ্বাস অভিযোগ করেন, এলাকায় মাছ চাষ ও বিল ইজারা নিয়ে হামলাকারীরা আগে থেকেই আমার উপর ক্ষুদ্ধ ছিল। সেই জের ধরে মঙ্গলবার তারা আমাকে হত্যার চেষ্টা চালায়। মিলনের মাথায় আটটি সেলাই দিতে হয়েছে। এছাড়া তার হাত ও পা প্রাথমিক ভাবে অকেজো হয়ে আছে। এ বিষয়ে চুয়াডাঙ্গা সদর থানার ওসি আবু জিহাদ মোহাম্মদ ফকরুল জানান, মিলন আহত হওয়ার ঘটনায় ০৪.০২.২০২১ ইং তারিখ মামলা এন্ট্রি হয়েছে। মামলা নম্বর-০৬।

সর্বশেষ সংবাদ