নওগাঁয় প্রশাসনের অভিযানে বিপুল পরিমাণ প্রেগন্যান্সি টেস্ট কিট উদ্ধার

সজীব হাসান,( নওগাঁ) প্রতিনিধি-নওগাঁয় আর এন কর্পোরেশন নামে একটি ঔষধ কারখানায় অবৈধভাবে প্রেগন্যান্সি কিট প্রস্তুত ও প্যাকেটজাত করে  বাজারজাত করার দায়ে মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করা হয়েছে। এসময় কর্পোরেশনের ম্যানেজার মোঃ গুলজার হোসেন (৫০) ও কেয়ারটেকার মোঃ গোলাম মোস্তফা ওরফে মোহন মোল্লা (৪৩)কে এক মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড প্রদান করা হয়েছে। পাশাপাশি প্রতিষ্ঠানের ৪জন কর্মচারীকে ১হাজার করে মোট ৪হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে। এছাড়া ওই প্রতিষ্ঠান থেকে প্রায় ১কোটি টাকা মূল্যের উপাদান জব্দ করা হয়। এনএসআইয়ের তথ্যের ভিত্তিতে শনিবার শহরের ইঁদুরবটতলী হাজি মনসুর সড়ক এলাকায় মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করেন এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট মোঃ তাহমিদুল ইসলাম।
দন্ডপ্রাপ্ত ম্যানেজার গুলজার হোসেন শহরের খাস নওগাঁ এলাকার মৃত রহিম উদ্দিনের ছেলে ও কেয়ারটেকার গোলাম মোস্তফা সদর উপজেলার চুনিয়াগাড়ী এলাকার মোঃ মফিজ উদ্দিনের ছেলে।
অর্থদন্ডপ্রাপ্ত কারখানার শ্রমিকেরা হলো -১. জেলার মান্দা উপজেলার রামপুর এলাকার মোঃ মনির উদ্দিনের ছেলে মোঃ আশরাফুল ইসলাম (৩৮), ২. রাণীনগর উপজেলার বড়গাছা গ্রামের মোঃ তৈয়ব আলীর ছেলে মোঃ তারেক আলী (৩৫), ৩. সদর উপজেলার বোয়ালিয়া গ্রামের মোঃ আতাউর রহমানের ছেলে মোঃ মিঠুন রানা (২৫) এবং চুনিয়াগাড়ী গ্রামের মোঃ মফিজ উদ্দিনের ছেলে ৪. মোঃ মনির উদ্দিন (৩২)। জানা যায়, আর এন কর্পোরেশনের স্বত্বাধিকারী মোঃ রুবেল হোসেন (৩২) এবং মোঃ নবীর হোসেন (৩২) দীর্ঘদিন ধরে বাড়ির নিচতলায় অনিয়মের মাধ্যমে অসৎ উদ্দেশ্যে অননুমোদিতভাবে প্রেগন্যান্সি কিট প্রস্তুত ও প্যাকেটজাত করে ঢাকাসহ সারাদেশে বাজারজাত করে আসছিল। এমন সংবাদে জেলা জাতীয় গোয়েন্দা সংস্থা (এনএসআই) এর তথ্যের ভিত্তিতে এদিন শহরের ইঁদুরবটতলী এলাকায় অভিযান পরিচালনা করা হয়। এনএসআই, জেলা প্রশাসনের এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট মোঃ তাহমিদুল ইসলাম এবং সিভিল সার্জন কার্যালয়ের প্রতিনিধি ডাঃ আশিস কুমার সরকার এর উপস্থিতিতে দুই ঘন্টা অভিযান চালিয়ে প্রায় ১কোটি মূল্যের অননুমোদিত প্রেগন্যান্সি টেস্ট কিট এবং কিট তৈরির যাবতীয় কেমিক্যালস, যন্ত্রপাতি ও প্যাকিং সামগ্রী জব্দ করা হয়। বর্তমানে প্রতিষ্ঠানটিকে সিলগালা করে রাখা হয়েছে। পরে এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট মোঃ তাহমিদুল ইসলাম মোবাইল কোর্টের মাধ্যমে উপরোক্ত রায় প্রদান করেন। এসময় অভিযানের উপস্থিতি টের পেয়ে কারখানার স্বত্বাধিকারী মূলহোতা মোঃ রুবেল হোসেন (৩২) এবং মোঃ নবীর হোসেন পালিয়ে থাকে। তাদের বিরুদ্ধে ঔষধ প্রশাসনের মাধ্যমে মামলা দায়ের করে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

সর্বশেষ সংবাদ