মোবাইল ব্যাংকিংয়ের প্রতারণার আঁতুড়ঘর ডুমাইন গ্রাম

মোবাইল ব্যাংকিংয়ের প্রতারণার আঁতুড়ঘর ফরিদপুরের মধুখালীর ডুমাইন গ্রাম। ঢাকায় বিভিন্ন এজেন্টের দোকান থেকে কৌশলে রেজিস্টার খাতার ছবি তুলে পাঠিয়ে দেওয়া হয় সেখানে। সেখান থেকে কখনো এজেন্ট, কখনো কাস্টমার কেয়ার প্রতিনিধি সেজে ফোন করা হয় গ্রাহককে। যোগ-বিয়োগ করে ধাঁধায় ফেলে হাতিয়ে নেওয়া হয় পিন-পাসওয়ার্ড। পুলিশ বলছে, এ খাতে সক্রিয় শত শত প্রতারক। দোকানদার ব্যস্ত রেজিস্টার খাতায় মোবাইল নম্বর লিখতে। এই ফাঁকে গ্রাহক সেজে কৌশলে সেই রেজিস্টারের ছবি তোলার কাজ করেন এক ব্যক্তি। সারা দিন ঢাকার বিভিন্ন দোকানে থেকে তোলা ছবি পাঠিয়ে দেওয়া হচ্ছে ডুমাইন গ্রামে। সেখানে একাধিক প্রতারক অপেক্ষায় থাকে এ ছবির জন্য। মোবাইল ব্যাংকিং প্রতারণার অন্যতম দুর্গ হিসেবে এরই মধ্যে পরিচিতি পেয়েছে এলাকাটি। চার থেকে পাঁচ ধাপে হয় মোবাইল ব্যাংকিং প্রতারণা। প্রথম ধাপে এজেন্টদের দোকান থেকে তোলা হয় রেজিস্ট্রার খাতার ছবি। সেই ছবি পাঠিয়ে দেওয়া হয় মধুখালীর ডুমাইনে। সেখানকার প্রতারক দল এজেন্ট সেজে ফোন দিতে থাকেন খাতায় থাকা মোবাইল নম্বরে। কখনো আবার তারাই হয়ে যান কাস্টমার কেয়ার প্রতিনিধি। অ্যাকাউন্ট নিয়ন্ত্রণে নেওয়ার পর টাকা পাঠিয়ে দেওয়া হয় অন্য কোনো জেলায়। ঢাকা, ফরিদপুর, যশোর ও ঝিনাইদহে অভিযান চালিয়ে গ্রেফতার করা হয়েছে মোট ছয় জনকে। এদের মধ্যে রয়েছেন জনপ্রতিনিধিও। ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের (গুলশান বিভাগ) উপকমিশনার মশিউর রহমান বলেন, প্রতারকদের ধরতে গিয়ে নাস্তানাবুদ হতে হয় পুলিশকেও। একজনকে ধরতে গেলে বাধা দিতে আসে অন্য প্রতারকরাও। এ রকম ঘটনা ঘটেছে যশোরের শার্শায়। লেনদেন আরও স্বচ্ছ ও জবাবহিহির আওতায় আনার পরামর্শ পুলিশের এ কর্মকর্তার। পুলিশ বলছে, এই একটি জেলার প্রতারণার ধরনটি প্রয়োগের চেষ্টা করছে অন্য জেলার প্রতারকরাও।

সর্বশেষ সংবাদ