প্রেস রিলিজ-বিএনপির চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়ার উপদেষ্টা ও ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপির আহবায়ক আমানউল্লাহ্ আমান বলেন, এদেশে আরেকবার ৯০’এর চেতনায় গণঅভ্যুত্থান ঘটিয়ে এই অবৈধ আ.লীগ সরকারেক উৎখাত করতে হবে। কারণ এই আ.লীগ সরকার বিগত জাতীয় সংসদ নির্বাচনগুলোতে ভোট কারচুপির মাধ্যমে ক্ষমতায় এসেছিলো। এই সরকার জনগণের সরকার নয়। এই সরকারের মন্ত্রী ও লোকজন আমদানি এবং সিন্ডিকেটের মাধ্যমে নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্যের মুল্য বৃদ্ধি করে ও লুটপাট করে জনগণের ভোগান্তি বাড়িয়ে দিয়েছে। তিনি বলেন, ২৩ সালে এই সরকারের অধীনে নির্বাচন হতে দেওয়া হবে না। ২৩ সালে নির্বাচন হবে, তবে সেটা নিরপেক্ষ তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে হবে। বগুড়ার গাবতলী পৌরসভাধীন তরফসরতাজ মাদ্রাসা মাঠে আয়োজিত পৌর বিএনপির দ্বি-বার্ষিক সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ-কথাগুলো বলেন। সম্মেলনে উদ্বোধক হিসেবে বক্তব্য রাখেন জেলা বিএনপির আহবায়ক ও পৌর মেয়র রেজাউল করিম বাদশা। গাবতলী পৌর বিএনপির আহবায়ক ডা. ছাবেদ আলীর সভাপতিত্বে সম্মেলনে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন বেগম খালেদা জিয়ার উপদেষ্টা ও কেন্দ্রীয় কৃষকদলের সিনিয়র সহ-সভাপতি সাবেক এমপি হেলালুজ্জামান তালুকদার লালু, বিএনপির রাজশাহী বিভাগীয় সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক ওবায়দুর রহমান চন্দন, জেলা বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম আহবায়ক এ কে এম সাইফুল ইসলাম, ফজলুল বারী তালুকদার বেলাল, জেলা বিএনপির আহবায়ক কমিটির সদস্য আলী আজগর তালুকদার হেনা, এম আর ইসলাম স্বাধীন, মোর্শেদ মিল্টন, বগুড়া সদর থানা বিএনপির সভাপতি মাফতুন আহমেদ খান রুবেল, গাবতলী পৌর মেয়র সাইফুল ইসলাম। সম্মেলনে আরো বক্তব্য রাখেন জেলা মহিলাদলের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক সুরাইয়া জেরিন রনি, থানা বিএনপির আহবায়ক কমিটির সদস্য আতিকুর রহমান আতিক, এম আর ইসলাম রিপন, পৌর বিএনপির আহবায়ক কমিটির সদস্য সৈয়দজামান মানিক ও আতিয়ার রহমান আতোয়ার। অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন যুবদল নেতা আনোয়ার হোসেন। এসময় বিএনপি ও অঙ্গদলের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতাকর্মী ও ভোটারবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন। গতকাল শনিবার সকাল ৯টায় সম্মেলনের শুরুতেই জাতীয় ও দলীয় পতাকা উত্তোলন ও দলীয় এবং জাতীয় সংঙ্গীত পরিবেশন ও শান্তির পায়রা উড়িয়ে সম্মেলনের উদ্ধোধন করা হয়। সম্মেলনে গোপন ব্যালটের ভোটে মাধ্যমে কায়দুজ্জোহা টিপু সভাপতি, আব্দুর রহিম পিন্টু সাধারণ সম্পাদক, তরিকুল ইসলাম ও তাজুল ইসলাম সাংগঠনিক সম্পাদক নির্বাচিত হন।
