গাবতলীতে আ”লীগের বিক্ষোভ মিছিলে বিএনপির আ”লীগ সংঘর্ষ উভয়পক্ষের আহত ৩০

গাবতলী (বগুড়া) প্রতিনিধিঃ বগুড়ার গাবতলীতে আওয়ামী লীগ-বিএনপির দফায় দফায় ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া ও সংঘর্ষ হয়েছে। রবিবার পৌর সদরের থানার পূর্বপার্শ্বে এ ঘটনা ঘটে। এতে উভয়পক্ষের কমপক্ষে ২০/৩০আহত হয়েছে। পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে কয়েক রাউন্ড সর্টগানের গুলি ছুঁড়েছে। পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে বর্তমানে থানার মোড়ে মোড়ে দাঙ্গা পুলিশ ও ডিবি মোতায়েন রয়েছে।
জানা গেছে, গত ২৭ মে গাবতলী উপজেলা বিএনপির দ্বি-বার্ষিক সম্মেলনে বগুড়া জেলা মহিলাদলের যুগ্ম সম্পাদক সুরাইয়া জেরিন রনি কর্তৃক মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নিয়ে কটুক্তি করে বক্তব্য দেয়ার প্রতিবাদে গতকাল রবিবার বগুড়ার গাবতলী উপজেলা আওয়ামী লীগের উদ্যোগে দুপুর ১২টায় দলীয় কার্যালয়ের সামনে থেকে বিপুল সংখ্যক নেতাকর্মী নিয়ে বিশাল বিক্ষোভ মিছিল বের করে। মিছিলটি থানার মোড় পেরিয়ে থানার পূর্বপার্শ্বে উপজেলা বিএনপির নবনির্বাচিত সভাপতি মোরশেদ মিল্টনের বাড়ীর সামনের রাস্তায় পৌঁছিলে বিএনপি ও অঙ্গদলের নেতাকর্মীরা মিছিলের উপর ইট-পাটকেল নিক্ষেপ শুরু করে। পরবর্তীতে উভয়পক্ষের মধ্যে দু’ঘন্টা ব্যাপী দফায় দফায় চলে ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া ও সংঘর্ষ। পরে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আসতে পুলিশ কয়েক রাউন্ড সর্টগানের গুলি ছোঁড়ে। এ সময় সর্টগানের গুলি ও ইট-পাটকেলের আঘাতে উভয়পক্ষের কমপক্ষে ২০/৩০ আহত হয়েছে। আহতরা হলেন উপজেলা মহিলা আ’লীগের নেত্রী সালমা বেগম, জেলা স্বেচ্ছাসেবকলীগের সদস্য মামুনুর রশিদ রয়েল, স্বেচ্ছাসেবকলীগ নেতা সুজন, উপজেলা মৎস্যজীবি লীগের সদস্য সচিব লেমন পাইকার, গাবতলী সদর ইউনিয়ন আ’লীগের সাধারণ সম্পাদক আব্দুর রাজ্জাক, উপজেলা শ্রমিকলীগের সদস্য সচিব মানিক সরকার, যুগ্ম আহবায়ক সাইফুল ইসলাম, উপজেলা কৃষকলীগের সাধারণ সম্পাদক সাহানুর আলম, আ’লীগ নেতা হান্নান, আতিক, মতিন, পৌর যুবলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মনির ইসলাম পিপুল, উপজেলা ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি আবু হানযালা সরকার ছঈম, পৌর ছাত্রলীগের সহ-সম্পাদক সিহাব, ছাত্রলীগ নেতা বাবলা, আ’লীগ নেতা সিরাজুলসহ আরো অনেকে। অপরদিকে বিএনপি-অঙ্গদলের আহতরা হলো কাউন্সিলর হারুন, থানা ছাত্রদলের সভাপতি পলাশ, উপজেলা স্বেচ্ছাসেবকদল নেতা রাকিবুল ইসলাম হিরু, যুবদল নেতা জালাল, সেলিম, শিপন, ছাত্রদল নেতা লুকু, আল আমিন, আশিক, রক্সি, সোহাগ। পরে উত্তেজিত নেতাকর্মীরা বিএনপির পার্টি অফিস ও থানা মার্কেটের একটি দোকানঘর এবং পূর্বপাড়া গ্রামের মৃত ফরিদ উদ্দিনের ছেলে মজনুর বসতবাড়ীর টিনের বেড়া ভাংচুর করেছে। ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া চলাকালে গাবতলীতে যানবাহন ও দোকানপাট বন্ধ ছিল। এ ব্যাপারে থানার ওসি সিরাজুল ইসমাল বলেন, আওয়ামী লীগ ও বিএনপির মধ্যকার ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া ও উত্তেজনাকর পরিস্থিতি সামাল দিতে কয়েক রাউন্ড সর্টগানের গুলি ছোঁড়া হয়েছে। ঘটনাস্থলে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়ন করা হয়েছে। এ ব্যাপারে উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এ আই ফয়সাল খান জনি বলেন, আমাদের শান্তিপূর্ণ বিক্ষোভ মিছিলে বিএনপি ও অঙ্গদলের সন্ত্রাসীরা পরিকল্পিতভাবে ইট পাটকেল ও হ্যান্ড বোমা নিক্ষেপ করেছে। তাদের হামলায় আমাদের কমপক্ষে ২০/২৫জন নেতাকর্মী আহত হয়েছে। এ ব্যাপারে উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক এনামুল হক নতুন বলেন, উপজেলার বিএনপির সভাপতি মোরশেদ মিল্টনের বসতবাড়ীতে হামলার পরিকল্পনা করেছিল আ’লীগ। এদিকে বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশে প্রধানমন্ত্রীকে কটুক্তিকারী সুরাইয়া জেরিন রনিকে ৭২ঘন্টার মধ্যে গ্রেফতারের আল্টিমেটাম দিয়েছে আওয়ামী লীগ। অন্যথায় আগামীতে কঠোর কর্মসূচী ঘোষনা করা হবে বলে হুশিয়ারী উচ্চারণ করেন উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক।

 

সর্বশেষ সংবাদ