ফরিদপুরে নারী মেম্বারকে গণধর্ষণ

ফরিদপুরের আলফাডাঙ্গা উপজলার বুড়াইচ ইউনিয়নের সংরক্ষিত আসনের নারী সদস্য (মেম্বার) গণধর্ষণের শিকার হয়েছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। তিনি পার্শ্ববর্তী বোয়ালমারী উপজেলা থেকে পাত্রী দেখে বাড়ি ফেরার পথে গণধর্ষণের শিকার হন। রোববার (৩ জুলাই) দিনগত রাতে এ ঘটনায় বোয়ালমারী থানায় মামলা দায়ের করা হয়েছে। এরই মধ্যে জড়িত এক ব্যক্তিকে আটক করেছে বোয়ালমারী থানা পুলিশ। স্থানীয় ও পুলিশ সূত্রে জানা যায়, আলফাডাঙ্গা উপজেলার বুড়াইচ ইউনিয়নের ফলিয়া গ্রামের বাসিন্দা ও স্থানীয় নারী সদস্য (৩৫) শনিবার (২ জুলাই) বিকেলে পার্শ্ববর্তী বোয়ালমারী উপজেলার গুনবহা ইউনিয়নের অমৃতনগর গ্রামে পাত্রী দেখতে আসেন। পাত্রী দেখা শেষে সন্ধ্যার দিকে বাড়ি ফেরার পথে অমৃতনগর বটতলা নামক স্থানে আসলে তিনি দিক হারিয়ে ফেলেন। সে সময় ওই স্থানে বসে থাকা কয়েকজন যুবককে নারী মেম্বার বলেন- আমি আলফাডাঙ্গার বুড়াইচ যাবো, আমাকে একটু পথ দেখিয়ে দেন। পথ দেখানোর সুযোগে তারা ওই নারী মেম্বারকে পাশের একটি নির্জন স্থানে নিয়ে গিয়ে গণধর্ষণ করে ফেলে রেখে যায়। পরে অসুস্থ অবস্থায় ওই নারী মেম্বার কোনো রকমে ঘটনাস্থল থেকে রাস্তায় এলে স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে। পরবর্তীতে রোববার (৩ জুলাই) সকালে থানায় গিয়ে বিষয়টি পুলিশকে অবহিত করেন ওই মেম্বার। এরপর দুপুরের দিকে প্রধান অভিযুক্ত মাহাবুব আলমকে (৩০) আটক করে পুলিশ। মাহাবুব বোয়ালমারী পৌরসভার দক্ষিণ কামার গ্রাম-রায়পুর এলাকার আব্দুল হকের ছেলে। পেশায় মাইক্রোবাসের ড্রাইভার। এ ব্যপারে বোয়ালমারী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মুহাম্মদ আব্দুল ওহাব বলেন, ওই নারী মেম্বার বিষয়টি জানানোর সঙ্গে সঙ্গেই ঘটনার সাথে জড়িত মূলহোতা মাহাবুব আলমকে আটক করা হয়েছে। এছাড়া অন্যদেরও আটকের অভিযান চালানো হচ্ছে। তিনি আরও বলেন, দুপুরে ওই নারী মেম্বারকে মেডিক্যাল পরীক্ষার জন্য ফরিদপুরের বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়। এ ঘটনায় নারী মেম্বার বাদী হয়ে মামলা দায়ের করেছেন। প্রধান আসামিকে আটক করা হয়েছে। অন্যদের গ্রেফতারে অভিযান চলছে। ফরিদপুরের সহকারী পুলিশ সুপার (মধুখালী-বোয়ালমারী-আলফাডাঙ্গা সার্কেল) সুমন কর বাংলানিউজকে বলেন, এ ঘটনায় বোয়ালমারী থানায় একটি মামলা হয়েছে। আমাদের অভিযান অব্যাহত আছে। আশা করছি খুব দ্রুত আমরা সব আসামিদের আইনের আওতায় আনতে পারবো।

সর্বশেষ সংবাদ