স্টাফ রিপোর্টার, ঝিনাইদহ-ঝিনাইদহের কালীগঞ্জে শেখ রাসেলের নামের সাথে কথিত দানবীর তরিকুল ইসলাম যৌথ নাম ব্যবহার করে প্রতিবন্ধী বিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা করে ব্যাপক নিয়োগ বাণিজ্য করে মোটা অংকের টাকা আত্মসাত করেছে। শুধু তাই নয়, শেখ রাসেলের ছবির সাথে তার নিজের একটি ছবি ব্যবহার করে প্রতিষ্ঠানের নামের ডিজিটাল ব্যানার টাঙিয়েছেন। খোঁজ নিয়ে জানা যায়, মূলত ২০১০ সালে তরিকুল ইসলাম শমশেরনগর মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয় নামে একটি বিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা করেন। সেটি ঠিক মত চালাতে না পেরে ওই একই বিদ্যালয়ের নাম পরিবর্তন করে গত দুই বছর আগে প্রতিবন্ধী বিদ্যালয় বলে ঘোষণা করেন। বিশেষ চাহিদা সম্পন্ন এইসব শিশুদের লেখাপড়ার ব্যাপারে মানুষের আবেগকে পুঁজি করে তিনি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান নিয়ে বাণিজ্য শুরু করেছেন। নিয়ম রয়েছে সরকার প্রধান শেখ পরিবারের কোন সদস্যের নাম বা নামের সাথে কোন ব্যক্তির নাম ব্যবহার করতে হলে ট্রাষ্টি বোর্ডর অনুমোদন নিতে হয়। তবে, সংশ্লিষ্ট ট্রাস্টি বোর্ডের কোন অনুমোদন না নিয়েই শেখ রাসেলের সাথে নিজের নাম ও ছবি জুড়ে দিয়েছেন কথিত দানবীর তরিকুল ইসলাম। ঝিনাইদহের কালীগঞ্জ উপজেলায় কাষ্টভাঙ্গা ইউনিয়নে শেখ রাসেল ও দানবীর তরিকুল ইসলাম প্রতিবন্ধী বিদ্যালয়টি ২০১০ সালে নয় ২০২০ সালে প্রতিষ্ঠা করেন। শেখ রাসেল ও দানবীর তরিকুল ইসলাম প্রতিবন্ধী বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক তরকুল ইসলাম জানান, আমি এলাকার প্রতিবন্ধীদের উন্নয়নে স্কুলটি প্রতিষ্ঠা করেছি। প্রতিষ্ঠার পর থেকে প্রতিবন্ধীদের জন্য নানা সুযোগ সুবিধা দিয়ে স্কুলটি চলছে। শেখ রাসেলের নাম ব্যবহারের প্রশ্নে বলেন, ট্রাস্টি বোর্ডের অনুমতি নেওয়ার বিষয়টি এখনও প্রক্রিয়াধীন রয়েছে। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলে বাণিজ্যের ব্যাপারটাও তিনি অস্বীকার করেন। এ ব্যাপারে কালীগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী অফিসার সাদিয়া জেরিন জানান, ট্রাস্টি বোর্ডের অনুমতি ছাড়া শেখ পরিবারের নাম ব্যবহারের কোনো সুযোগ নেই। নাম ব্যবহারের আগে অবশ্যই অনুমতি নিতে হয়। যদি কেউ ব্যবহার করে তার বিরুদ্ধে তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
কালীগঞ্জে বঙ্গবন্ধু পরিবারের সদস্যে শেখ রাসেলের নামে প্রতিবন্ধী স্কুল খুলে ব্যাপক অভিযোগ
July 5, 2022
18 Views
You may also like
সর্বশেষ সংবাদ
সারিয়াকান্দিতে থানা পুলিশের অভিযানে গ্রেফতার ৫
3 months ago
শোক সংবাদঃ নৈশ্য প্রহরী শাহজাহান আলীর ইন্তেকাল
3 months ago
কাজিটুলা থেকে বৃদ্ধ নিখোঁজ; ১৯ দিনেও মেলেনি খোঁজ
3 months ago