এক মুখে আসাদের কয় কথা,তোলপাড় রাজশাহীর রাজনীতি

সারোয়ার হোসেন, তানোর: রাজশাহী বাসী জানতে চায় কিসের স্বার্থে কার ইশারায় এমপি ওমর ফারুক চৌধুরীর বিরুদ্ধে এমন জঘন্য মিথ্যা অপপ্রচার চালাচ্ছে পদ পদবী হারানো জেলা আওয়ামী লীগের তৃণমূল নেতাকর্মীদের মধ্যে দ্বন্দ্ব সৃষ্টিকারী সাবেক জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আসাদুজ্জামান আসাদ বলে তৃণমূল নেতাকর্মীদের মধ্যে গুঞ্জন উঠেছে। সেই সাথে উঠেছে দ্রুত সাংগঠনিক ভাবে ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি। তৃণমূল নেতাকর্মীরা অভিযোগ করে বলেন পদ-পদবি হারিয়ে জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সম্পাদক আসাদুজ্জামান এমপি ওমর ফারুক চৌধুরীর বিরুদ্ধে যেসব মিথ্যাচার গুলো করছেন তা অত্যন্ত দুঃখজনক ও নিন্দনীয়। তৃণমূল নেতাকর্মীদের দাবি আসাদুজ্জামান যদি আওয়ামী লীগের ত্যাগী নেতা হতেন তাহলে কখনোই আওয়ামী লীগের নৌকার এমপির বিরুদ্ধে মিথ্যাচার করতে পারতেন না। তুনি কখনো বলছেন এমপি ওমর ফারুক চৌধুরী মাদকের পৃষ্ঠপোষক, রাজাকারের সন্তান, তিনি কখনো নৌকায় ভোট দেননি। এমনকি তার পরিবারের মধ্যে যেন কেউ নৌকায় ভোট না দেয় সেজন্য শপথ করা আছে। আবার সেই মুখে জেলা আওয়ামী লীগের এ সাবেক নেতা আসাদুজ্জামান আসাদ বলছেন, এক সময় রাজশাহী অঞ্চলে আওয়ামী লীগের খুব দূর্দিন ছিল। ছিলনা নেতাদের তেমন আয়-ব্যয়ের মতো সামর্থ্য। যার জন্য আওয়ামী লীগ কে শক্তিশালী দল হিসেবে গড়ে তুলতে এমপি ওমর ফারুক চৌধুরীকে দলে যোগ দিয়ে আনা হয়েছিল। টাকা পয়সাওলা লোক ছিলো এমপি ওমর ফারুক চৌধুরী। এমপি ওমর ফারুক চৌধুরী যদি আওয়ামী লীগের দূর্দিনে কোটিপতি হয়ে থাকে তাহলে এখন তিনি তার তিনগুণ অর্থ-বিত্তের মালিক হবেন তাতে কোন সন্দেহ নেই। তাহলে এমপি ওমর ফারুক চৌধুরী এতো টাকার মালিক হওয়ার পরেও করবেন মাদকের ব্যবসা, আসলে এটা হাস্যকর ছাড়া কিছুই না। মানুষ মিথ্যা কথা বলে, তাই বলে এতো নিচু মনের নিখুঁত মিথ্যাচার একজন জেলার সাবেক নেতা হয়ে কিভাবে বলতে পারেন, এতেই বুঝা যায় তার অন্তরে আওয়ামী লীগের নৌকার প্রতি বঙ্গবন্ধুর প্রতি ধারণ আদর্শ কি বলেও জেলা আওয়ামী লীগের তৃণমূল নেতাকর্মীদের মধ্যে অসন্তোষ বিরাজ করছে। জেলা আওয়ামী লীগের বেশকিছু ত্যাগী নেতা চরম ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, ওমর ফারুক চৌধুরী জাতীয় চার নেতার এক নেতা শহীদ এএইচএম কামারুজ্জামান হেনার আপন ভগ্নিপতি শহীদ আজিজুল হক চৌধুরীর সুযোগ্য পুত্র। যার বাবাকে নিষ্ঠুরভাবে পদ্মার বাবলা বনে হত্যা করেছিলেন রাজাকার বাহিনীরা। অথচ সেই পরিবারের সন্তানকে আজ বলা হচ্ছে তিনি রাজাকারের সন্তান, তার মধ্যে আওয়ামী লীগের কোনো চেতনা নেই। কিন্তু জেলার এই সাবেক সাধারণ সম্পাদকের ভাবা উচিত, যে আজ কার কারণে রাজশাহী জেলা আওয়ামী লীগ চাঙ্গা হয়েছে। এমপি ওমর ফারুক চৌধুরী আছে বলেই তানোর-গোদাগাড়ীর কোথাও নেই মাস্তান চাঁদাবাজি টেন্ডার বাজি,নেই থানায় দালালদের দৌরাত্ম্য। সেই সাথে জেলা আওয়ামী লীগকে বিএনপি জামাতের চাইতেও করেছেন তিনগুণ শক্তিশালী সংগঠন হিসেবে পরিনত। যার ফলে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী দেশরত্ন শেখ হাসিনা কোন অকিবগি নেতারদের কান ভাঙ্গানিতে কান না দিয়ে পরপর তিন বার নৌকা তুলে দিয়েছেন। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জানেন উত্তরবঙ্গ আওয়ামী লীগের জন্য এমপি ওমর ফারুক চৌধুরী একটি সেরা নেতা। তার পরেও একের পর এক এমপি ওমর ফারুক চৌধুরীর বিরুদ্ধে সাবেক সম্পাদক আসাদুজ্জামান আসাদ যেকোনো মূল্য এমপির সাদা গায়ে কালো দাগ দিতে মরিয়া কেন বলেও জনসাধারণের মধ্যে প্রশ্ন দেখা দিয়েছে। পদ-পদবী হারানো জেলার এই সাবেক নেতার এমন জঘন্য মিথ্যা অপপ্রচারের বিরুদ্ধে ফুঁসে উঠেছে তৃণমূল নেতাকর্মীদের পাশাপাশি জনসাধারণ গনও। এমপি ওমর ফারুক চৌধুরীর সম্পদের দিকে না তাকিয়ে নিজের দিকে তাকিয়ে দেখুন যে আপনারা কথাই আছেন, আপনাদের বর্তমানে কি অবস্থা, তাই মিথ্যা বানোয়াট ভিত্তিহীন অপপ্রচার না চালিয়ে এখনো সময় থাকতে ভালো হয়ে যান। নয়তো আপনার এমন মিথ্যাচারের জন্য একদিন দেখবেন নেড়িকুত্তার সমান সম্মান মূল্য থাকবেনা বলেও তানোর গোদাগাড়ী উপজেলা আওয়ামী লীগের নেতারা হুশিয়ারি দিয়েছেন জেলার এই সাবেক নেতাকে। অন্যদিকে জনপ্রিয় এমপি ওমর ফারুক চৌধুরীর বিরুদ্ধে মিথ্যা অপপ্রচারের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়ে প্রতিবাদ সভা করেছেন গোদাগাড়ী উপজেলা ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা। প্রতিবাদ সভায় আসাদুজ্জামান আসাদের এমন জঘন্য মিথ্যা অপপ্রচার করাই কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের শীর্ষ নেতাদের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা।

সর্বশেষ সংবাদ