রাবিতে পোষ্য কোটা বাতিল চায়ে ফের মানববন্ধন সাধারণ শিক্ষার্থীদের 

রাবি সংবাদদাতা : রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে ( রাবি) পোষ্য কোটা বাতিলসহ তিন দফা দাবিতে ফের মানববন্ধন করেছে বিশ্ববিদ্যালয়ের সাধারণ শিক্ষার্থীরা।
রোববার ( ২০ নভেম্বর) বেলা ১১ টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় গ্রন্থাগারের সামনে  সাধারণ শিক্ষার্থীদের ব্যানারে ফের মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করেন তারা।
এসময় রাকসু আন্দোলন মঞ্চের সদস্য সচিব আমানুল্লাহ খান বলেন, বাংলাদেশের এত শিক্ষক তাদের কি বিবেক কাজ করে না। তারা কেন অযোগ্যদের ভর্তির সুযোগ দিচ্ছে। তাদের মূল্যবোধ কাজ করে না।  শিক্ষকদের অযোগ্য ছেলে-মেয়েদের ভর্তি করানোর জন্য বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা করা হয়নি। পাস মার্ক ৪০ থেকে কমিয়ে ৩০ করা হয়েছে কোন যৌক্তিতে তা আমাদের জানা প্রয়োজন। আমাদের বিশ্ববিদ্যালয় কি তাহলে শিক্ষার্থী পাচ্ছে না। ফেল করা শিক্ষার্থীদের ভর্তি করাতে হবে? পিছিয়ে পড়া জনগোষ্ঠীর জন্য এ কোটা সিস্টেম তাহলে কি আমরা ভেবে নিবো আমাদের শিক্ষরাও পিছিয়ে পড়া জনগোষ্ঠী।
নাগরিক ছাত্র ঐক্যের সভাপতি মেহেদি হাসান মুন্না বলেন, পোষ্য কোটার বিরুদ্ধে আমারা প্রতিবছর দাড়াই কিন্তু এই শিক্ষকদের লজ্জা নাই। তারা মেধাবী শিক্ষার্থীদের ভর্তির সুযোগ নষ্ট করছে।বিশ্ববিদ্যালয়ের আইনে কোনো পোষ্য কোটার নিয়ম নেই। তারা বিশ্ববিদ্যালয়টিকে পারিবারিক প্রতিষ্ঠানে পরিনত করেছে। আজকে যে ক্ষমতার বলে তারা বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হচ্ছে একই ক্ষমতা বলে তারা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক-কর্মকর্তা-কর্মচারী হবেন। বিশ্ববিদ্যালয় দিনদিন সংকীর্ণের দিকে হাটছে। আগের উপাচার্য ৪১ জন শিক্ষার্থীকে পোষ্য কোটায় ভর্তি করালেও বর্তমান উপাচার্য তা বৃদ্ধি করে ৭১ জনে রূপান্তর করেছেন। আমরা পোষ্য কোটা বাতিল চাই এবং ফেল করা ভর্তিকৃত শিক্ষার্থীদের ভর্তি বাতিল চাই।
রাকসু আন্দোলন মঞ্চের সমন্বয়ক আব্দুল মজিদ অন্তর বলেন, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়কে পারিবারিক বিশ্ববিদ্যালয়ে রুপান্তরি করছে বর্তমান প্রশাসন। বিশ্ববিদ্যালয় জনগণের ট্যাক্সে চলে কারো পেতৃক সম্পত্তি না। সাধারণ শিক্ষার্থীরা ৬০ মার্ক পেয়েও চান্স পাচ্ছে না কিন্তু বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের অযোগ্য ছেলে মেয়েরা যারা ফেল করেও পৈতৃক কোটা নামে পোষ্য কোটায় ভালো সাবজেক্টে চান্স পেয়ে যাচ্ছেন। পরবর্তীতে তারা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক ও কর্মকর্তা কর্মচারী হচ্ছেন। আমরা পোষ্য কোটা নামে এমন প্রহসন আর চাইনা। আজকে আমরা এখানে দাঁড়িয়েছি দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত আমাদের এ ধারাবাহিক কর্মসূচি চলমান থাকবে।
এ সময় তারা ৩ দফা দাবিও পেশ করে। এগুলো :
১.প্রক্সি জালিয়াতি বন্ধ করতে হবে।
২.ফেল করা শিক্ষার্থীদের ভর্তি বাতিল করতে হবে।
৩.পোষ্য কোটা বাতিল করতে হবে।
মানববন্ধন কর্মসূচিতে প্রায় এক শতাধিক শিক্ষার্থী উপস্থিত ছিলেন।

সর্বশেষ সংবাদ